০১:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
আলাস্কায় টাইফুনে বিধ্বস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষায় মরিয়া চেষ্টা এআই যুগে নতুন প্রেমের খোঁজ: ডেটিং অ্যাপের রূপান্তর খারাপ রাষ্ট্রে ভালো নাগরিক হওয়ার সাহস: নৈতিক দায়িত্ব ও বিবেকের লড়াই মধ্যবয়সী নারীর শরীর ও মনকে ঘিরে নতুন ব্যবসায়িক সাম্রাজ্য: ‘বিগ ওয়েলনেস’-এর উত্থান নাৎসি দখলের বিরুদ্ধে সাহসী ডাচ ইহুদির প্রতিরোধ সংগ্রাম: মৃত্যুর ছায়া পেরিয়ে মানবতার জয়গান 💊 ফাইজারের বিক্রি ও মুনাফায় ধস: কোভিড-১৯ ভ্যাকসিনের চাহিদা কমে বড় ধাক্কা সপ্তদশ শতাব্দীর ডাচ পুতুলবাড়ি: এক ক্ষুদ্র জগতের বিলাসী প্রাসাদ নিখোঁজ সন্তান ও উদ্বিগ্ন মা: ‘অল হার ফল্ট’-এর গল্পে আধুনিক মাতৃত্ব ও অপরাধের জটিলতা ইন্ডি রকিং যমজ কেটি ও অ্যালিসনের ‘স্নোক্যাপস’—সুরে সুরে নতুন যুগের সূচনা রাসায়নিকের সংস্পর্শে পারকিনসনের ঝুঁকি বাড়ছে: পরিবেশই বড় কারণ বলে সতর্ক বিজ্ঞানীরা

আলু চাষে ধস: দাম তলানিতে, চাষিরা দিশেহারা

জয়পুরহাটে শুরু, এখন সারা দেশের বাস্তবতা

ভালো লাভের আশায় জয়পুরহাটের চাষি ও ব্যবসায়ীরা এ বছরও হিমাগারে বিপুল পরিমাণ আলু সংরক্ষণ করেছিলেন। কিন্তু বাজারে দাম না থাকায় এখন তারা গভীর সংকটে পড়েছেন। প্রতি কেজি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণে যেখানে খরচ পড়েছে ২৪–২৫ টাকা, সেখানে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৯–১০ টাকায়। ফলে প্রতি কেজিতে ১৫–১৬ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

এই পরিস্থিতি শুধু জয়পুরহাটেই নয়, দেশের প্রায় সব প্রধান আলু উৎপাদন জেলা— রংপুর, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নওগাঁ, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চলেও একই চিত্র। অতিরিক্ত উৎপাদন, বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং সরকারের নির্ধারিত দরের অকার্যকরতায় দেশের আলু খাত এখন এক ভয়াবহ অচলাবস্থায়।


খরচ বাড়ছে, দাম কমছে

গত কয়েক মৌসুমে আলু চাষে খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। সার, বীজ, শ্রম ও হিমাগার ভাড়ার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাবে, গড়ে এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয় ১৫–১৭ টাকা, আর সংরক্ষণসহ মোট খরচ দাঁড়ায় ২৪–২৫ টাকা।

অন্যদিকে, বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯–১২ টাকা দরে। অর্থাৎ, প্রতি কেজিতে ১২–১৬ টাকার ক্ষতি। এতে চাষিরা মূলধন হারিয়ে ঋণের বোঝায় জর্জরিত হয়ে পড়ছেন।

জয়পুরহাটের এক ব্যবসায়ী জানান, “৪ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছিলাম। খরচ হয়েছিল ৫৬ লাখ টাকা, বিক্রি করে মাত্র ৫ লাখ টাকাও ওঠেনি। বাকি সব লোকসান।”


হিমাগার এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে

দেশজুড়ে প্রায় ৪০০টির মতো হিমাগারে এখন লাখ লাখ বস্তা আলু মজুত রয়েছে। শুধু জয়পুরহাটেই আছে ২১টি হিমাগার, যেখানে এখনও ১৩ লাখ ৮০ হাজারের বেশি বস্তা আলু পড়ে আছে।

কিন্তু ১৫ নভেম্বর সংরক্ষণের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও চাষি আলু বের করছেন না— কারণ বাজারে ক্রেতা নেই, দামও নেই। ফলে হিমাগার ফি, বিদ্যুৎ বিল ও পরিবহন ব্যয়সহ বাড়তি বোঝা তৈরি হচ্ছে।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, “প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার বস্তা আলু বের হওয়ার কথা, কিন্তু দিনে ৫০০ বস্তাও বের হচ্ছে না। সবাই লোকসান কমাতে অপেক্ষা করছে।”


সরকার দাম নির্ধারণ করেও কার্যকর করতে পারেনি

সরকার হিমাগার গেটে প্রতি কেজি আলুর ন্যূনতম মূল্য ২২ টাকা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বাস্তবে কোনো ক্রেতাই সেই দামে কিনছে না। কৃষি বিপণন বিভাগও স্বীকার করেছে, নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।

ফলে আলুর দাম এখন মুক্ত বাজারে নির্ধারিত হচ্ছে, যেখানে মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম আরও কমিয়ে দিচ্ছেন। এতে চাষিরা কার্যত বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছেন।


অতিরিক্ত উৎপাদনের ফাঁদে চাষি

গত মৌসুমে দেশে আলুর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাহিদা ৮০–৮৫ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ, প্রায় ২৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত।

রপ্তানি সুযোগ থাকলেও তা সীমিত— প্রতিবছর গড়ে মাত্র ১ লাখ টন আলু রপ্তানি হয়। ফলে অতিরিক্ত উৎপাদনই এখন বাজার সংকটের মূল কারণ।


চাষির মনোবল ভাঙছে

কৃষকরা বলছেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে আগামী মৌসুমে অনেকেই আলু চাষ থেকে সরে যাবেন। কারণ, জমি প্রস্তুত, সার, সেচ, শ্রম—সব খরচ দিয়ে শেষে এত বড় ক্ষতি কেউ দীর্ঘদিন টিকতে পারে না।

ঠাকুরগাঁওয়ের চাষি মো. ফজলুল হক বলেন, “আমরা আলু চাষ করি লাভের আশায়। এখন লাভ তো দূরের কথা, ঘরে চাল আনার মতো অবস্থাও থাকছে না।”


যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে

  • অনেক চাষি ক্ষতির মুখে অন্য ফসলে চলে যাবেন— ফলে আলুর উৎপাদন কমে যাবে।
  • আগামী বছর আলুর ঘাটতি দেখা দিলে দাম উল্টো বেড়ে যেতে পারে, যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াবে।
  • হিমাগার খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ চাষি কমলে সংরক্ষণও কমে যাবে।
  • কৃষক-ব্যবসায়ী-মজুর—সব মিলিয়ে এক বৃহৎ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ধসের মুখে পড়বে।


টিকে থাকার পথ কোথায়?

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সংকট কাটাতে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে—

১. ন্যূনতম ক্রয়মূল্য বাস্তবায়ন: সরকার নির্ধারিত ২২ টাকার দর মাঠপর্যায়ে নিশ্চিত করতে হবে।
২. রপ্তানি সম্প্রসারণ: ভারত, মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
৩. প্রক্রিয়াজাত শিল্প: আলু চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, স্টার্চ শিল্প গড়ে তুলতে হবে— যাতে উদ্বৃত্ত আলু কাজে লাগে।
৪. সংরক্ষণে সহায়তা: হিমাগারের খরচ কমিয়ে চাষিদের ভর্তুকি দিতে হবে।
৫. বাজার ব্যবস্থাপনা: মধ্যস্বত্বভোগী নিয়ন্ত্রণ ও কৃষক-ভিত্তিক সমবায় গঠন করতে হবে।


শেষ কথা

জয়পুরহাট থেকে শুরু হওয়া এই সংকট এখন সারাদেশের চাষিদের একই প্রশ্নে একত্র করেছে—
“আমরা আলু চাষ করে টিকে থাকতে পারব তো?”

বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে টিকে থাকতে হলে এখনই জরুরি ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ প্রয়োজন। নইলে ভবিষ্যতে আলু চাষ শুধু ক্ষতির নয়, বিলুপ্তির পথে চলে যেতে পারে।


#বাংলাদেশ_কৃষি #আলু_চাষি #আলুর_দাম #কৃষক_সংকট #জয়পুরহাট #কৃষি_অর্থনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট

জনপ্রিয় সংবাদ

আলাস্কায় টাইফুনে বিধ্বস্ত প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন রক্ষায় মরিয়া চেষ্টা

আলু চাষে ধস: দাম তলানিতে, চাষিরা দিশেহারা

১১:০২:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৬ নভেম্বর ২০২৫

জয়পুরহাটে শুরু, এখন সারা দেশের বাস্তবতা

ভালো লাভের আশায় জয়পুরহাটের চাষি ও ব্যবসায়ীরা এ বছরও হিমাগারে বিপুল পরিমাণ আলু সংরক্ষণ করেছিলেন। কিন্তু বাজারে দাম না থাকায় এখন তারা গভীর সংকটে পড়েছেন। প্রতি কেজি আলু উৎপাদন ও সংরক্ষণে যেখানে খরচ পড়েছে ২৪–২৫ টাকা, সেখানে বিক্রি হচ্ছে মাত্র ৯–১০ টাকায়। ফলে প্রতি কেজিতে ১৫–১৬ টাকা পর্যন্ত লোকসান গুনছেন কৃষক ও ব্যবসায়ীরা।

এই পরিস্থিতি শুধু জয়পুরহাটেই নয়, দেশের প্রায় সব প্রধান আলু উৎপাদন জেলা— রংপুর, বগুড়া, ঠাকুরগাঁও, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, নওগাঁ, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামের কিছু অঞ্চলেও একই চিত্র। অতিরিক্ত উৎপাদন, বাজার ব্যবস্থাপনার দুর্বলতা এবং সরকারের নির্ধারিত দরের অকার্যকরতায় দেশের আলু খাত এখন এক ভয়াবহ অচলাবস্থায়।


খরচ বাড়ছে, দাম কমছে

গত কয়েক মৌসুমে আলু চাষে খরচ বেড়েছে প্রায় ৩০ শতাংশ। সার, বীজ, শ্রম ও হিমাগার ভাড়ার খরচ উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। কৃষি বিভাগের হিসাবে, গড়ে এক কেজি আলু উৎপাদনে খরচ হয় ১৫–১৭ টাকা, আর সংরক্ষণসহ মোট খরচ দাঁড়ায় ২৪–২৫ টাকা।

অন্যদিকে, বাজারে বিক্রি হচ্ছে ৯–১২ টাকা দরে। অর্থাৎ, প্রতি কেজিতে ১২–১৬ টাকার ক্ষতি। এতে চাষিরা মূলধন হারিয়ে ঋণের বোঝায় জর্জরিত হয়ে পড়ছেন।

জয়পুরহাটের এক ব্যবসায়ী জানান, “৪ হাজার বস্তা আলু সংরক্ষণ করেছিলাম। খরচ হয়েছিল ৫৬ লাখ টাকা, বিক্রি করে মাত্র ৫ লাখ টাকাও ওঠেনি। বাকি সব লোকসান।”


হিমাগার এখন বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছে

দেশজুড়ে প্রায় ৪০০টির মতো হিমাগারে এখন লাখ লাখ বস্তা আলু মজুত রয়েছে। শুধু জয়পুরহাটেই আছে ২১টি হিমাগার, যেখানে এখনও ১৩ লাখ ৮০ হাজারের বেশি বস্তা আলু পড়ে আছে।

কিন্তু ১৫ নভেম্বর সংরক্ষণের মেয়াদ শেষ হচ্ছে। এখন পর্যন্ত অধিকাংশ ব্যবসায়ী ও চাষি আলু বের করছেন না— কারণ বাজারে ক্রেতা নেই, দামও নেই। ফলে হিমাগার ফি, বিদ্যুৎ বিল ও পরিবহন ব্যয়সহ বাড়তি বোঝা তৈরি হচ্ছে।

হিমাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, “প্রতিদিন অন্তত দুই হাজার বস্তা আলু বের হওয়ার কথা, কিন্তু দিনে ৫০০ বস্তাও বের হচ্ছে না। সবাই লোকসান কমাতে অপেক্ষা করছে।”


সরকার দাম নির্ধারণ করেও কার্যকর করতে পারেনি

সরকার হিমাগার গেটে প্রতি কেজি আলুর ন্যূনতম মূল্য ২২ টাকা ঘোষণা করেছিল। কিন্তু বাস্তবে কোনো ক্রেতাই সেই দামে কিনছে না। কৃষি বিপণন বিভাগও স্বীকার করেছে, নির্ধারিত দাম কার্যকর হয়নি।

ফলে আলুর দাম এখন মুক্ত বাজারে নির্ধারিত হচ্ছে, যেখানে মধ্যস্বত্বভোগীরা দাম আরও কমিয়ে দিচ্ছেন। এতে চাষিরা কার্যত বাজার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছেন।


অতিরিক্ত উৎপাদনের ফাঁদে চাষি

গত মৌসুমে দেশে আলুর উৎপাদন হয়েছিল প্রায় ১ কোটি ১০ লাখ মেট্রিক টন, যা আগের বছরের তুলনায় ১৫ শতাংশ বেশি। কিন্তু অভ্যন্তরীণ চাহিদা ৮০–৮৫ লাখ মেট্রিক টন। অর্থাৎ, প্রায় ২৫ লাখ টন আলু উদ্বৃত্ত।

রপ্তানি সুযোগ থাকলেও তা সীমিত— প্রতিবছর গড়ে মাত্র ১ লাখ টন আলু রপ্তানি হয়। ফলে অতিরিক্ত উৎপাদনই এখন বাজার সংকটের মূল কারণ।


চাষির মনোবল ভাঙছে

কৃষকরা বলছেন, যদি এই পরিস্থিতি চলতে থাকে, তাহলে আগামী মৌসুমে অনেকেই আলু চাষ থেকে সরে যাবেন। কারণ, জমি প্রস্তুত, সার, সেচ, শ্রম—সব খরচ দিয়ে শেষে এত বড় ক্ষতি কেউ দীর্ঘদিন টিকতে পারে না।

ঠাকুরগাঁওয়ের চাষি মো. ফজলুল হক বলেন, “আমরা আলু চাষ করি লাভের আশায়। এখন লাভ তো দূরের কথা, ঘরে চাল আনার মতো অবস্থাও থাকছে না।”


যদি এই ধারা অব্যাহত থাকে

  • অনেক চাষি ক্ষতির মুখে অন্য ফসলে চলে যাবেন— ফলে আলুর উৎপাদন কমে যাবে।
  • আগামী বছর আলুর ঘাটতি দেখা দিলে দাম উল্টো বেড়ে যেতে পারে, যা সাধারণ মানুষের ভোগান্তি বাড়াবে।
  • হিমাগার খাতও ক্ষতিগ্রস্ত হবে, কারণ চাষি কমলে সংরক্ষণও কমে যাবে।
  • কৃষক-ব্যবসায়ী-মজুর—সব মিলিয়ে এক বৃহৎ কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি ধসের মুখে পড়বে।


টিকে থাকার পথ কোথায়?

কৃষি অর্থনীতিবিদরা বলছেন, এই সংকট কাটাতে জরুরি কিছু পদক্ষেপ নিতে হবে—

১. ন্যূনতম ক্রয়মূল্য বাস্তবায়ন: সরকার নির্ধারিত ২২ টাকার দর মাঠপর্যায়ে নিশ্চিত করতে হবে।
২. রপ্তানি সম্প্রসারণ: ভারত, মালয়েশিয়া, মধ্যপ্রাচ্যসহ নতুন বাজার খুঁজে বের করতে হবে।
৩. প্রক্রিয়াজাত শিল্প: আলু চিপস, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, স্টার্চ শিল্প গড়ে তুলতে হবে— যাতে উদ্বৃত্ত আলু কাজে লাগে।
৪. সংরক্ষণে সহায়তা: হিমাগারের খরচ কমিয়ে চাষিদের ভর্তুকি দিতে হবে।
৫. বাজার ব্যবস্থাপনা: মধ্যস্বত্বভোগী নিয়ন্ত্রণ ও কৃষক-ভিত্তিক সমবায় গঠন করতে হবে।


শেষ কথা

জয়পুরহাট থেকে শুরু হওয়া এই সংকট এখন সারাদেশের চাষিদের একই প্রশ্নে একত্র করেছে—
“আমরা আলু চাষ করে টিকে থাকতে পারব তো?”

বাংলাদেশের কৃষি অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ খাতে টিকে থাকতে হলে এখনই জরুরি ও বাস্তবসম্মত পদক্ষেপ প্রয়োজন। নইলে ভবিষ্যতে আলু চাষ শুধু ক্ষতির নয়, বিলুপ্তির পথে চলে যেতে পারে।


#বাংলাদেশ_কৃষি #আলু_চাষি #আলুর_দাম #কৃষক_সংকট #জয়পুরহাট #কৃষি_অর্থনীতি #সারাক্ষণ_রিপোর্ট