ডেটা সঞ্চালনের জন্য সমুদ্রতল কেবল
প্রযুক্তি সাইট আরস টেকনিকা জানিয়েছে, ভারত মহাসাগরের পূর্বাংশে অবস্থিত ছোট এক দ্বীপে অবতরণ কেন্দ্র ও সমুদ্রতল কেবল বসানোর পরিবেশগত অনুমোদন চেয়েছে গুগল। দ্বীপটি জনবসতিহীন, উপকূল জুড়ে লাল কাঁকড়ার চলাচল থাকে, ফলে খবরটি দ্রুত সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে যে এটি নাকি যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক উপস্থিতি বাড়ানোর ছক। গুগল শুক্রবার স্পষ্ট করে বলেছে, প্রকল্পের লক্ষ্য কেবলই ডেটা ট্র্যাফিককে অস্ট্রেলিয়ার ডারউইনে পৌঁছে দেওয়া এবং দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ব্যবহারকারীদের জন্য গুগল ক্লাউড ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক সেবার গতি বাড়ানো। কোম্পানির ভাষায়, এটি তাদের চলমান সাবমেরিন কেবল নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণের আরেকটি ধাপ—যেমনটি পূর্বে আফ্রিকা ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে করা হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা কোনো সামরিক ঠিকাদার এই প্রকল্পের মালিক নয় বলেও গুগল জানায়।
সংবেদনশীল পরিবেশ ও রাজনৈতিক হিসাব
দ্বীপটির তটরেখা সংরক্ষিত হওয়ায় সেখানে যেকোনো খনন বা কেবল টানা মৌসুমি নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়তে পারে। গুগল স্থানীয় সংরক্ষণ প্রকল্পে সহায়তা ও নির্মাণশেষে রুট-ডেটা প্রকাশের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যাতে পরিবেশবিদরা প্রভাব পর্যালোচনা করতে পারেন। তবু বিশ্লেষকদের মতে, অরক্ষিত সমুদ্র পথে যুক্তরাষ্ট্রঘনিষ্ঠ একটি প্রতিষ্ঠানের কেবল নামানোকে চীন ও অন্য আঞ্চলিক শক্তিগুলো সমুদ্রগর্ভে ‘দৃশ্যমান সার্বভৌমত্ব’ বাড়ানোর অংশ হিসেবেই দেখবে। অন্যদিকে প্রতিবেশী দেশগুলো জানতে চাইবে, তারা কি এই নতুন ব্যাকবোনে যুক্ত হতে পারবে এবং এর খরচ কত হবে। সবকিছুর মধ্যেও গুগলের চেষ্টা একটাই—এটিকে স্বাভাবিক বাণিজ্যিক টেলিকম প্রকল্প হিসেবে তুলে ধরা, যাতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা অনুমোদনে প্রকল্প আটকে না যায়।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















