ক্রমবর্ধমান ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষতি
ফিলিপাইনে অন্তত ১৮৮ জনের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার মাত্র একদিন পর শক্তি না হারিয়েই ভিয়েতনামের মধ্যাঞ্চলে আঘাত করেছে ঘূর্ণিঝড় ‘কালমেগি’। শুক্রবার সকাল থেকে দা নাং ও আশপাশের প্রদেশগুলোতে ঘর-বাড়ির ছাদ উড়ে যায়, নদী ও খাল উপচে কয়েকটি শহরের নীচু এলাকা প্লাবিত হয়, হাজারো মানুষকে স্কুল ও সরকারি ভবনে সরিয়ে নিতে হয়—রয়টার্স এমনটিই জানিয়েছে। ভিয়েতনামের দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ পাঁচজনের মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছে হলেও বিচ্ছিন্ন জেলাগুলোতে সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, দক্ষিণ চীন সাগরের অস্বাভাবিক উষ্ণ জলরাশির ওপর দিয়ে চলতে গিয়ে ঝড়টি আবার শক্তি সঞ্চয় করে, ফলে দ্বিতীয়বার স্থলভাগে আঘাতের সময়ও ঝড়ো বাতাসের গতি ঘণ্টায় ১৪০ কিমির কম ছিল না—এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেখা বিপজ্জনক একটি ধারা।
বেলেমে জলবায়ু আলোচনায় প্রভাব
কালমেগির ধ্বংসযজ্ঞের ছবি একই দিনে ছড়িয়ে পড়েছে ব্রাজিলের বেলেম শহরে চলমান জাতিসংঘ-সমর্থিত জলবায়ু সম্মেলনে, যেখানে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরের দেশগুলো আগেই অভিযোজন সহায়তা বাড়ানোর দাবি তুলেছিল। অংশগ্রহণকারীরা বলছেন, একের পর এক দেশকে আঘাত করা এমন শক্তিশালী ঝড় মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা, ম্যানগ্রোভ পুনরুদ্ধার ও টেকসই ঘরবাড়ি নির্মাণে দ্রুত অর্থ না এলে তারা অর্জিত উন্নয়নই ধরে রাখতে পারবে না। ধনী দেশগুলোর প্রতিশ্রুতি আবারও মার্কিন রাজনৈতিক টানাপোড়েনে ঝুলে যেতে পারে—এমন আশঙ্কা থাকলেও কালমেগির ধ্বংসের পর দরিদ্র ও মাঝারি আয়ের দেশগুলোর দর-কষাকষির অবস্থান কিছুটা জোরালো হয়েছে। বিজ্ঞানীদের সতর্কতা স্পষ্ট: সমুদ্র যত গরম হবে, ততই ঝড় স্থলভাগ পেরিয়েও আবার শক্তি সঞ্চয় করবে, ফলে এক মৌসুমেই একই অঞ্চলকে একাধিকবার আঘাত করার ঝুঁকি বেড়ে যাবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















