সাম্প্রতিক সংঘাত ও আলোচনার নতুন উদ্যোগ
বহু মাসের বিমান হামলা ও সীমান্ত সংঘাতের পর আফগান অন্তর্বর্তী সরকার ও পাকিস্তান ইস্তাম্বুলে আলোচনায় ফিরেছে। তুরস্ক ও কাতারের মধ্যস্থতায় দুই দেশ স্পিনবোলদাক–চামান সীমান্তে অবিলম্বে উত্তেজনা কমানোর পরিকল্পনা করছে, যেখানে এ বছর গোলাবর্ষণে বহু মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়। মার্চে পাকিস্তানের বিমান হামলাকে কাবুল সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন বলেছিল, ইসলামাবাদ দাবি করেছিল টিটিপি জঙ্গিদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল।
তুরস্ক এ প্রক্রিয়াকে মুসলিম বিশ্বে শান্তি মধ্যস্থতায় নিজের ভূমিকা পুনরুদ্ধারের সুযোগ হিসেবে দেখছে। একই সঙ্গে চীন ও ইরান চাইছে শীতের আগেই সীমান্তে শান্তি ফিরুক, কারণ এ সময়ে শরণার্থী চলাচল ও চোরাচালান বাড়ে। বেইজিং সতর্ক করেছে, উত্তেজনা বাড়লে বিনিয়োগপথ ঝুঁকিতে পড়বে।
নিরাপত্তা নিশ্চয়তা, শরণার্থী ও বাণিজ্যপথ
মূল সমস্যা হলো, আফগান ভূখণ্ডে টিটিপি দমন না করলে পাকিস্তান সীমান্তে আস্থা পাবে না; অন্যদিকে পাকিস্তান হঠাৎ অবৈধ আফগানদের ফেরত পাঠানো থামাতে হবে। ইসলামাবাদ ইঙ্গিত দিয়েছে, গোয়েন্দা সহযোগিতা বাড়লে ফেরত পাঠানো ধাপে ধাপে করা যেতে পারে এবং বাণিজ্যপথও খোলা থাকবে। মানবিক সংস্থাগুলো সতর্ক করেছে, সীমান্ত বন্ধ থাকলে শীতকালে আফগানিস্তানে খাদ্য ও জ্বালানির দাম আরও বাড়বে।
আলোচনায় সীমান্ত কমান্ডারদের হটলাইন, ২৪ ঘণ্টা বন্দর খোলা রাখা এবং আগামী বছরের শুরুতে নতুন বৈঠকের প্রস্তাব উঠেছে। এসব বাস্তবায়িত হলে সীমান্ত সংঘাত কমে পারস্পরিক আস্থা বাড়বে। এই বৈঠক একই সঙ্গে তালেবান সরকারের কূটনৈতিক সক্ষমতারও পরীক্ষা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















