বৈশ্বিক বাজারে ঝুঁকি নেওয়ার প্রবণতা বাড়ায় ডলার কিছুটা দুর্বল হলেও ভারতীয় রুপি সোমবার রেকর্ড নিম্নমানের কাছাকাছি অবস্থান করেছে। আন্তঃব্যাংক পর্যায়ে ডলারের স্থায়ী চাহিদা রুপিকে তেমন কোনো স্বস্তি দিতে পারেনি।
রুপির বর্তমান অবস্থা
দিন শেষে রুপি ডলারের বিপরীতে ৮৮.৬৯৭৫ রুপিতে লেনদেন শেষ করে, যা আগের দিনের ৮৮.৬৬ থেকে সামান্য নিম্ন। সেপ্টেম্বরের শেষ দিকে রুপি সর্বকালের সর্বনিম্ন ৮৮.৮০-এ নেমে গিয়েছিল।
এশীয় মুদ্রার তুলনামূলক চিত্র
রুপি যখন সরকারি ব্যাংকগুলোর ডলার বিক্রয় ও হেজিংয়ের চাহিদার চাপে সীমিত পরিসরে আটকে ছিল, তখন অন্যান্য এশীয় মুদ্রা ০.১% থেকে ০.৫% পর্যন্ত শক্তিশালী হয়।
ডলার সূচক ০.২% কমে ৯৯.৫-এ দাঁড়ায়। এদিকে, যুক্তরাষ্ট্রের ঐতিহাসিক সরকারি শাটডাউন সমাপ্তির সম্ভাবনায় বৈশ্বিক শেয়ারবাজারে আশাবাদ ছড়িয়ে পড়ে।
ভারতের নিফটি ৫০ সূচক ০.৩% বৃদ্ধি পায়, আর নাসডাক ফিউচার্স বেড়ে ১.৫% পর্যন্ত উন্নীত হয়।
বিশ্লেষকদের মন্তব্য
আইএনজি ব্যাংকের এক বিশ্লেষক মন্তব্য করেন, “শাটডাউনের সমাপ্তি বৈদেশিক মুদ্রাবাজারে ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদের প্রতি আগ্রহ বাড়াতে পারে, যা ডলারের জন্য নেতিবাচক হতে পারে। তবে এর প্রভাব মিশ্রও হতে পারে—বিশেষত ঝুঁকিসংবেদনশীল মুদ্রাজোড়গুলোর ক্ষেত্রে।”
বিনিয়োগ প্রবাহ ও বাণিজ্য সম্পর্ক
ডলারের চাপ কিছুটা কমলে রুপির ওপর চাপও লাঘব হতে পারে। তবে ব্যবসায়ীরা বড় কোনো উলট-পালট আশা করছেন না, যদি না যুক্তরাষ্ট্র–ভারত বাণিজ্য আলোচনায় অগ্রগতি হয় বা বৈদেশিক বিনিয়োগ প্রবাহে পুনরুদ্ধার দেখা যায়।
নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই বিদেশি বিনিয়োগকারীরা ভারতের স্থানীয় শেয়ারবাজার থেকে প্রায় ১.৫ বিলিয়ন ডলার তুলে নিয়েছেন।
ইতিবাচক দিক
গোল্ডম্যান স্যাক্স ভারতের শেয়ারবাজারের রেটিং ‘নিউট্রাল’ থেকে বাড়িয়ে ‘ওভারওয়েট’ করেছে। তাদের মতে, দীর্ঘ এক বছরের আয়-হ্রাস পর্ব এখন তলানিতে পৌঁছেছে।
এইচএসবিসি-ও ভারতীয় শেয়ারবাজার নিয়ে একই ইতিবাচক মনোভাব পোষণ করছে। পাশাপাশি তারা রুপি এবং দেশের ১০ বছর মেয়াদি সরকারি বন্ডে বিনিয়োগকেও মূল্যবান সুযোগ হিসেবে দেখছে।
#রুপি #ডলার #ভারতীয়অর্থনীতি #বিনিয়োগ #গোল্ডম্যানস্যাক্স #এইচএসবিসি #শেয়ারবাজার
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















