০২:৪৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
চীনের নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় ওষুধ তৈরির রাসায়নিক পাঠাতে অনুমতির বাধ্যবাধকতা ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, স্থবির রেল চলাচল তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল নিয়ে রায় ২০ নভেম্বর: রাজনৈতিক উত্তেজনা চরমে জুলাই চার্টারের সীমার বাইরে সিদ্ধান্ত মানতে বাধ্য নয়: সরকারকে সতর্ক করল বিএনপি অ্যামাজন বন বিপদে: খরা, বন উজাড় আর মানুষের চাপ মস্তিষ্কের সুরক্ষা: অ্যালকোহল কমিয়ে আনুন, কমান স্ট্রোক ও মস্তিষ্ক ক্ষতির ঝুঁকি বিশ্বের তেল সম্পদের নতুন এলাকা জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্তে আর্থিক পরামর্শকের ভূমিকা: কখন প্রয়োজন পেশাদার সহায়তা নিউইয়র্কের আকাশছোঁয়া মানবিক স্থাপনা: জেপি মরগান চেজ ভবনের নতুন দিগন্ত স্ট্যাটিনের বাইরে নতুন আশা: উচ্চ কোলেস্টেরল কমাতে আসছে আধুনিক ওষুধ ও জিন-সম্পাদনার যুগ

ফারিদাবাদে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার: ‘হোয়াইট-কলার’ সন্ত্রাস চক্রে সাতজন গ্রেপ্তার

জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশজুড়ে ছড়ানো শিক্ষিত পেশাজীবীদের গোপন সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক উন্মোচন


অভিযানে বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার

ফারিদাবাদে তিন দিনের অভিযানে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ, অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) তৈরির উপকরণ উদ্ধার করেছে। অভিযানে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার মধ্যে দুজন ডাক্তারও রয়েছেন।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ এই অভিযান ৮ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর অন্যতম বৃহৎ বিস্ফোরক জব্দ অভিযান।


সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসূত্র

তদন্তে জানা গেছে, এই নেটওয়ার্ক নিষিদ্ধ সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM) ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ (AGuH)-এর সঙ্গে যুক্ত। তাদের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তান ও উপসাগরীয় অঞ্চলে থাকা বিদেশি হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র জানান, এটি ছিল একটি “হোয়াইট-কলার সন্ত্রাস ইকোসিস্টেম”, যেখানে শিক্ষিত পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিদেশি সন্ত্রাসী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।


ডা. মুজাম্মিল শাকিলের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে প্রবেশ

তদন্তের সূত্রপাত হয় অক্টোবর মাসে, যখন শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় জইশ ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ-এর উসকানিমূলক পোস্টার পাওয়া যায়। এরপর UAPA, বিস্ফোরক পদার্থ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করে পুলিশ।

তদন্তে প্রথমে নজরে আসে ডা. মুজাম্মিল শাকিল নামের ৩৫ বছর বয়সী এক মেডিকেল শিক্ষার্থী, যিনি তিন বছর ধরে ফারিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছিলেন। অক্টোবরের শেষ দিকে তাঁর গ্রেপ্তারের পরই নেটওয়ার্কটির বৃহৎ পরিসর প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ জানায়, এই দলটি এনক্রিপ্টেড চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত, অর্থ সংগ্রহ করত দাতব্য সংস্থা বা শিক্ষাগত উদ্যোগের ছদ্মবেশে, এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লজিস্টিক সহায়তা দিত।


তিন দিনে পরপর অভিযানের ফল

৮ নভেম্বর প্রথম অভিযানে পুলিশ উদ্ধার করে একটি ক্রিনকভ অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি ম্যাগাজিন, ৮৩টি গুলি, একটি পিস্তল ও অতিরিক্ত কার্তুজ।

৯ নভেম্বর ধৌজ-ফতেপুর টাগা সড়কের একটি ভাড়া বাসা থেকে ৩৫৮ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, বিস্ফোরক রাসায়নিক, ব্যাটারি, টাইমার, রিমোট, তার ও ধাতব পাতসহ বিভিন্ন আইইডি উপকরণ পাওয়া যায়।

সবচেয়ে বড় উদ্ধারটি হয় ১০ নভেম্বর, যখন ফতেপুর টাগার দেহর কলোনির একটি বাড়ি থেকে ২,৫৬৩ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জব্দ করা হয়। এই বাড়িটি স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ ইস্তাকের, যিনি আট মাস আগে মুজাম্মিলকে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলেন।

পুলিশের ধারণা, এসব বিস্ফোরক উচ্চমাত্রার আইইডি তৈরির প্রস্তুতি হিসেবে মজুত করা হয়েছিল।


তদন্তে নতুন মাত্রা

ফারিদাবাদ পুলিশের এএসপি বরুণ দাহিয়া বলেন, “দুটি ভাড়া বাসা থেকে অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মাওলানা ইস্তাককে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, তবে এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।”

একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, এই পরিমাণ বিস্ফোরক দিয়ে একাধিক বৃহৎ আইইডি তৈরি করা সম্ভব হতো।

তিনি আরও বলেন, “এই যৌথ অভিযান একটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করেছে। উদ্ধারকৃত উপকরণ ও পরিকল্পনার মাত্রা দেখে বোঝা যায় এটি ছিল একটি সংগঠিত ও দক্ষ নেটওয়ার্ক।”


অভিযুক্তদের পরিচয়

গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন—
আরিফ নিসার দার ওরফে সাহিল, ইয়াসির-উল-আশরাফ, মাকসুদ আহমদ দার ওরফে শহিদ (নওগাম), মৌলভি ইরফান আহমদ (শোপিয়ান), জামির আহমদ আহাঙ্গার ওরফে মুতলাশা (গান্দেরবল), ডা. মুজাম্মিল আহমদ গণাই ওরফে মুসায়িব (কইল, পুলওয়ামা) এবং ডা. আদিল রাঠার (ওয়ানপোরা, কুলগাম)।

পুলিশ জানায়, এই ব্যক্তিরা “একটি চরমপন্থী নেটওয়ার্ক”-এর সদস্য, যারা নতুন সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ এবং লজিস্টিক ব্যবস্থা করত।


বিস্ফোরকের প্রকৃতি ও সম্ভাব্য লক্ষ্য

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের নমুনা বিশ্লেষণ করছেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি অত্যন্ত বিস্ফোরক প্রমাণিত হয়েছে।

অফিসাররা জানিয়েছেন, সংগঠনটি দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে হামলার পরিকল্পনা করছিল। মুজাম্মিলের কাছে যে বিস্ফোরক পাওয়া গেছে, তা তাঁর গ্রেপ্তারের দুই সপ্তাহ আগেই সরবরাহ করা হয় বলে সন্দেহ।

এক কর্মকর্তা বলেন, “উদ্ধারকৃত উপকরণ দিয়ে জনবহুল স্থানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল।”


আর্থিক তদন্তও শুরু

এই চক্রের অর্থ লেনদেন ও বিদেশি অর্থপ্রবাহ শনাক্ত করতে আর্থিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ বলছে, এটি ছিল “শিক্ষিত পেশাজীবীদের পরিচালিত সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক”, যারা সামাজিক মর্যাদা ব্যবহার করে নিজেদের কার্যক্রম আড়াল করত।


#Faridabad #Explosives #WhiteCollarTerror #IndiaSecurity #JammuAndKashmir #SarakkhonReport

জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের নতুন রপ্তানি নিয়ন্ত্রণ: যুক্তরাষ্ট্র, কানাডা ও মেক্সিকোয় ওষুধ তৈরির রাসায়নিক পাঠাতে অনুমতির বাধ্যবাধকতা

ফারিদাবাদে ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক উদ্ধার: ‘হোয়াইট-কলার’ সন্ত্রাস চক্রে সাতজন গ্রেপ্তার

১১:৪৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫

জম্মু ও কাশ্মীর, হরিয়ানা ও উত্তরপ্রদেশজুড়ে ছড়ানো শিক্ষিত পেশাজীবীদের গোপন সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক উন্মোচন


অভিযানে বিপুল বিস্ফোরক ও অস্ত্র উদ্ধার

ফারিদাবাদে তিন দিনের অভিযানে নিরাপত্তা সংস্থাগুলো প্রায় ২,৯০০ কেজি বিস্ফোরক ও দাহ্য পদার্থ, অ্যাসল্ট রাইফেল, পিস্তল এবং ইম্প্রোভাইজড এক্সপ্লোসিভ ডিভাইস (IED) তৈরির উপকরণ উদ্ধার করেছে। অভিযানে সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়, যার মধ্যে দুজন ডাক্তারও রয়েছেন।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ ও হরিয়ানা পুলিশের যৌথ এই অভিযান ৮ থেকে ১০ নভেম্বর পর্যন্ত চলে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, এটি সাম্প্রতিক বছরগুলোর অন্যতম বৃহৎ বিস্ফোরক জব্দ অভিযান।


সন্ত্রাসী সংগঠনের যোগসূত্র

তদন্তে জানা গেছে, এই নেটওয়ার্ক নিষিদ্ধ সংগঠন জইশ-ই-মোহাম্মদ (JeM) ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ (AGuH)-এর সঙ্গে যুক্ত। তাদের নিয়ন্ত্রণ পাকিস্তান ও উপসাগরীয় অঞ্চলে থাকা বিদেশি হ্যান্ডলারদের মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছিল।

জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের মুখপাত্র জানান, এটি ছিল একটি “হোয়াইট-কলার সন্ত্রাস ইকোসিস্টেম”, যেখানে শিক্ষিত পেশাজীবী ও শিক্ষার্থীরা অনলাইনে বিদেশি সন্ত্রাসী নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছিল।


ডা. মুজাম্মিল শাকিলের মাধ্যমে নেটওয়ার্কে প্রবেশ

তদন্তের সূত্রপাত হয় অক্টোবর মাসে, যখন শ্রীনগরের নওগাম এলাকায় জইশ ও আনসার গাজওয়াত-উল-হিন্দ-এর উসকানিমূলক পোস্টার পাওয়া যায়। এরপর UAPA, বিস্ফোরক পদার্থ আইন ও অস্ত্র আইনে মামলা করে পুলিশ।

তদন্তে প্রথমে নজরে আসে ডা. মুজাম্মিল শাকিল নামের ৩৫ বছর বয়সী এক মেডিকেল শিক্ষার্থী, যিনি তিন বছর ধরে ফারিদাবাদের আল-ফালাহ মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করছিলেন। অক্টোবরের শেষ দিকে তাঁর গ্রেপ্তারের পরই নেটওয়ার্কটির বৃহৎ পরিসর প্রকাশ্যে আসে।

পুলিশ জানায়, এই দলটি এনক্রিপ্টেড চ্যানেলের মাধ্যমে যোগাযোগ রাখত, অর্থ সংগ্রহ করত দাতব্য সংস্থা বা শিক্ষাগত উদ্যোগের ছদ্মবেশে, এবং সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লজিস্টিক সহায়তা দিত।


তিন দিনে পরপর অভিযানের ফল

৮ নভেম্বর প্রথম অভিযানে পুলিশ উদ্ধার করে একটি ক্রিনকভ অ্যাসল্ট রাইফেল, তিনটি ম্যাগাজিন, ৮৩টি গুলি, একটি পিস্তল ও অতিরিক্ত কার্তুজ।

৯ নভেম্বর ধৌজ-ফতেপুর টাগা সড়কের একটি ভাড়া বাসা থেকে ৩৫৮ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট, বিস্ফোরক রাসায়নিক, ব্যাটারি, টাইমার, রিমোট, তার ও ধাতব পাতসহ বিভিন্ন আইইডি উপকরণ পাওয়া যায়।

সবচেয়ে বড় উদ্ধারটি হয় ১০ নভেম্বর, যখন ফতেপুর টাগার দেহর কলোনির একটি বাড়ি থেকে ২,৫৬৩ কেজি অ্যামোনিয়াম নাইট্রেট জব্দ করা হয়। এই বাড়িটি স্থানীয় মসজিদের ইমাম মাওলানা মোহাম্মদ ইস্তাকের, যিনি আট মাস আগে মুজাম্মিলকে বাড়িটি ভাড়া দিয়েছিলেন।

পুলিশের ধারণা, এসব বিস্ফোরক উচ্চমাত্রার আইইডি তৈরির প্রস্তুতি হিসেবে মজুত করা হয়েছিল।


তদন্তে নতুন মাত্রা

ফারিদাবাদ পুলিশের এএসপি বরুণ দাহিয়া বলেন, “দুটি ভাড়া বাসা থেকে অত্যন্ত দাহ্য পদার্থ উদ্ধার করা হয়েছে। আমরা মাওলানা ইস্তাককে জিজ্ঞাসাবাদ করছি, তবে এখনই বিস্তারিত বলা সম্ভব নয়।”

একজন সিনিয়র কর্মকর্তা জানান, এই পরিমাণ বিস্ফোরক দিয়ে একাধিক বৃহৎ আইইডি তৈরি করা সম্ভব হতো।

তিনি আরও বলেন, “এই যৌথ অভিযান একটি বড় ধরনের সন্ত্রাসী হামলা প্রতিরোধ করেছে। উদ্ধারকৃত উপকরণ ও পরিকল্পনার মাত্রা দেখে বোঝা যায় এটি ছিল একটি সংগঠিত ও দক্ষ নেটওয়ার্ক।”


অভিযুক্তদের পরিচয়

গ্রেপ্তারদের মধ্যে রয়েছেন—
আরিফ নিসার দার ওরফে সাহিল, ইয়াসির-উল-আশরাফ, মাকসুদ আহমদ দার ওরফে শহিদ (নওগাম), মৌলভি ইরফান আহমদ (শোপিয়ান), জামির আহমদ আহাঙ্গার ওরফে মুতলাশা (গান্দেরবল), ডা. মুজাম্মিল আহমদ গণাই ওরফে মুসায়িব (কইল, পুলওয়ামা) এবং ডা. আদিল রাঠার (ওয়ানপোরা, কুলগাম)।

পুলিশ জানায়, এই ব্যক্তিরা “একটি চরমপন্থী নেটওয়ার্ক”-এর সদস্য, যারা নতুন সদস্য সংগ্রহ, অর্থ সংগ্রহ এবং লজিস্টিক ব্যবস্থা করত।


বিস্ফোরকের প্রকৃতি ও সম্ভাব্য লক্ষ্য

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা অ্যামোনিয়াম নাইট্রেটের নমুনা বিশ্লেষণ করছেন। প্রাথমিক পরীক্ষায় এটি অত্যন্ত বিস্ফোরক প্রমাণিত হয়েছে।

অফিসাররা জানিয়েছেন, সংগঠনটি দিল্লি-এনসিআর অঞ্চলে হামলার পরিকল্পনা করছিল। মুজাম্মিলের কাছে যে বিস্ফোরক পাওয়া গেছে, তা তাঁর গ্রেপ্তারের দুই সপ্তাহ আগেই সরবরাহ করা হয় বলে সন্দেহ।

এক কর্মকর্তা বলেন, “উদ্ধারকৃত উপকরণ দিয়ে জনবহুল স্থানে বড় ধরনের বিস্ফোরণ ঘটানোর পরিকল্পনা ছিল।”


আর্থিক তদন্তও শুরু

এই চক্রের অর্থ লেনদেন ও বিদেশি অর্থপ্রবাহ শনাক্ত করতে আর্থিক তদন্ত শুরু হয়েছে। পুলিশ বলছে, এটি ছিল “শিক্ষিত পেশাজীবীদের পরিচালিত সন্ত্রাস নেটওয়ার্ক”, যারা সামাজিক মর্যাদা ব্যবহার করে নিজেদের কার্যক্রম আড়াল করত।


#Faridabad #Explosives #WhiteCollarTerror #IndiaSecurity #JammuAndKashmir #SarakkhonReport