চালের বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকারি অনুমতির পর গত চার মাসে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে দিল্লির অঞ্চলের প্রায় ১৪ হাজার টন মোটা চাল দেশে এসেছে। আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত ধারাবাহিকভাবে এসব চাল ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে সরবরাহ করা হয়েছে।
চাল আমদানির পরিমাণ
বেনাপোল বন্দর সূত্রে জানা যায়,
- আগস্টে আমদানি হয়েছে ১,২৬০ টন
- সেপ্টেম্বরে ৫,৪৩৫ টন
- অক্টোবরে ৫,১৮৮ টন
- নভেম্বরে ১,৬৪৫ টন
মোট ৩৯৫টি ট্রাকে করে ১৪৫টি চালানে চাল দেশে এসেছে।
আমদানি পুনরায় শুরু
চার মাস বন্ধ থাকার পর ২১ আগস্ট থেকে বেনাপোল দিয়ে চাল আমদানি পুনরায় শুরু হয়। বাজারে চালের দাম স্থিতিশীল রাখতে সরকার এ সিদ্ধান্ত নেয়।

এজেন্ট ও ব্যবসায়ীদের মন্তব্য
বেনাপোলের পাঁচটি সি অ্যান্ড এফ (C&F) এজেন্ট চালের চালান খালাসের কাজ করছে। এম/এস ভূঁইয়া এন্টারপ্রাইজের প্রতিনিধি বাবুল রহমান জানান, আমদানি শুরু হওয়ার পর থেকেই তারা কাস্টমস হাউসের সঙ্গে সমন্বয় করে দ্রুত খালাস নিশ্চিত করছেন।
বেনাপোল ইমপোর্টার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের ভাইস প্রেসিডেন্ট আমিনুল হকের মতে, আমদানি শুরুর পর পাইকারি ও খুচরা বাজারে চালের দাম কিছুটা কমেছে। তার বিশ্বাস, আমদানি অব্যাহত থাকলে বাজারে দাম আরও কমবে।
বন্দর কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থা
বেনাপোল বন্দর প্লান্ট কোয়ারেন্টাইন সেন্টারের উপ-সহকারী কর্মকর্তা শ্যামল কুমার নাথ জানান, ১৩,৫২৮ টন মোটা চাল দ্রুত খালাসের জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
#চালআমদানি #বেনাপোল #ভারতবাংলাদেশবাণিজ্য #ঢাকারবাজার #সারাক্ষণরিপোর্ট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















