০৯:১৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

তরুণরাই এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে; নতুন ৫৯৩ ডেঙ্গু রোগী, আরও ৩ মৃত্যু

সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৯৩ জন আক্রান্ত ও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্তদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।


পরিষ্কার–সংশোধিত পূর্ণ সংবাদ

ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও গুরুতর আকার ধারণ করেছে। শনিবার শেষ হওয়া ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৫৯৩ জন আক্রান্ত এবং আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯,৪৮৬ এবং মৃত্যু বেড়ে ৩৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

মৃতদের মধ্যে রয়েছে—ভোলার ২ বছরের এক শিশু, বরগুনার ৫০ বছরের এক পুরুষ (দুজনেই শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন) এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ বছরের এক তরুণী।


ঢাকার অবস্থাই সবচেয়ে উদ্বেগজনক

রাজধানী এখনও দেশের ডেঙ্গুর মূল কেন্দ্র। দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতেই সর্বোচ্চ ভর্তি দেখা গেছে।

  • ডিএনসিসি এলাকায় আক্রান্ত ২১১ জন—সব অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ
  • ডিএসসিসি এলাকায় আক্রান্ত ৭৮ জন

রাজধানীর বাইরে যেসব অঞ্চলে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে:

  • চট্টগ্রাম বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ৯৭ জন
  • বরিশাল বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ৯০ জন
  • ঢাকা বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ৮৮ জন
  • খুলনা বিভাগে ২৯ জন

একই ২৪ ঘণ্টায় ৬২৮ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। যদিও এটি কিছুটা স্বস্তির, তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।


তরুণরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে—তরুণ প্রাপ্তবয়স্করাই ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। ২১–৩০ বছর বয়সী গোষ্ঠীর আক্রান্ত সংখ্যা সর্বোচ্চ:

  • ২১–২৫ বছর বয়সী: ৮১ জন
  • ২৬–৩০ বছর বয়সী: ৯০ জন

এই বয়সী তরুণ ও ৩১–৫০ বছর বয়সী গোষ্ঠীতেও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি—উভয় গোষ্ঠীতেই এ বছর ৫০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে।


পুরুষ রোগী তুলনামূলকভাবে বেশি

লিঙ্গভিত্তিক আক্রান্তের হিসাবেও আগের ধারা বজায় আছে:

  • পুরুষ: ৬২.৬%
  • নারী: ৩৭.৪%

বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মক্ষেত্রে চলাফেরা, বাইরে কাজের সময় বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে পুরুষদের আক্রান্তের হার বেশি।


ঢাকাতেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু

এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ মৃত্যু ঘটেছে রাজধানীতে:

  • ডিএসসিসি এলাকায় আক্রান্ত ২১,৬০০ জনের বেশি, মৃত্যু ১৬৫ জন
  • ডিএনসিসি এলাকায় আক্রান্ত ১৫,২০০ জনের বেশি, মৃত্যু ৬১ জন

ডেঙ্গু পরিস্থিতির চাপ কমতে না থাকায় বিশেষজ্ঞরা দ্রুত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।


জনপ্রিয় সংবাদ

দি ডনের সম্পাদকীয়ঃ শাসনব্যবস্থার ব্যর্থতা

তরুণরাই এখন সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে; নতুন ৫৯৩ ডেঙ্গু রোগী, আরও ৩ মৃত্যু

০৭:৫৫:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ নভেম্বর ২০২৫

সারা দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও খারাপের দিকে। গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে ৫৯৩ জন আক্রান্ত ও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, আক্রান্তদের মধ্যে তরুণদের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি হওয়ায় পরিস্থিতি আরও উদ্বেগজনক হয়ে উঠছে।


পরিষ্কার–সংশোধিত পূর্ণ সংবাদ

ডেঙ্গু পরিস্থিতি আবারও গুরুতর আকার ধারণ করেছে। শনিবার শেষ হওয়া ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে ৫৯৩ জন আক্রান্ত এবং আরও ৩ জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর (ডিজিএইচএস)। এ নিয়ে চলতি বছরের শুরু থেকে মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৮৯,৪৮৬ এবং মৃত্যু বেড়ে ৩৫৬ জনে দাঁড়িয়েছে।

মৃতদের মধ্যে রয়েছে—ভোলার ২ বছরের এক শিশু, বরগুনার ৫০ বছরের এক পুরুষ (দুজনেই শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন) এবং ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ১৮ বছরের এক তরুণী।


ঢাকার অবস্থাই সবচেয়ে উদ্বেগজনক

রাজধানী এখনও দেশের ডেঙ্গুর মূল কেন্দ্র। দুই সিটি করপোরেশনের হাসপাতালগুলোতেই সর্বোচ্চ ভর্তি দেখা গেছে।

  • ডিএনসিসি এলাকায় আক্রান্ত ২১১ জন—সব অঞ্চলের মধ্যে সর্বোচ্চ
  • ডিএসসিসি এলাকায় আক্রান্ত ৭৮ জন

রাজধানীর বাইরে যেসব অঞ্চলে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে:

  • চট্টগ্রাম বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ৯৭ জন
  • বরিশাল বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ৯০ জন
  • ঢাকা বিভাগের সিটি করপোরেশন এলাকার বাইরে ৮৮ জন
  • খুলনা বিভাগে ২৯ জন

একই ২৪ ঘণ্টায় ৬২৮ জন রোগী হাসপাতাল থেকে ছাড়পত্র পেয়েছেন। যদিও এটি কিছুটা স্বস্তির, তবে সামগ্রিক পরিস্থিতি এখনো উদ্বেগজনক।


তরুণরাই সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত

সাম্প্রতিক পরিসংখ্যানে দেখা যাচ্ছে—তরুণ প্রাপ্তবয়স্করাই ডেঙ্গুতে সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত। ২১–৩০ বছর বয়সী গোষ্ঠীর আক্রান্ত সংখ্যা সর্বোচ্চ:

  • ২১–২৫ বছর বয়সী: ৮১ জন
  • ২৬–৩০ বছর বয়সী: ৯০ জন

এই বয়সী তরুণ ও ৩১–৫০ বছর বয়সী গোষ্ঠীতেও মৃত্যু সবচেয়ে বেশি—উভয় গোষ্ঠীতেই এ বছর ৫০ জনের বেশি মৃত্যু হয়েছে।


পুরুষ রোগী তুলনামূলকভাবে বেশি

লিঙ্গভিত্তিক আক্রান্তের হিসাবেও আগের ধারা বজায় আছে:

  • পুরুষ: ৬২.৬%
  • নারী: ৩৭.৪%

বিশেষজ্ঞদের মতে, কর্মক্ষেত্রে চলাফেরা, বাইরে কাজের সময় বৃদ্ধি এবং পরিবেশগত ঝুঁকির কারণে পুরুষদের আক্রান্তের হার বেশি।


ঢাকাতেই সবচেয়ে বেশি মৃত্যু

এ বছরের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত বেশির ভাগ মৃত্যু ঘটেছে রাজধানীতে:

  • ডিএসসিসি এলাকায় আক্রান্ত ২১,৬০০ জনের বেশি, মৃত্যু ১৬৫ জন
  • ডিএনসিসি এলাকায় আক্রান্ত ১৫,২০০ জনের বেশি, মৃত্যু ৬১ জন

ডেঙ্গু পরিস্থিতির চাপ কমতে না থাকায় বিশেষজ্ঞরা দ্রুত মশক নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম জোরদারের পাশাপাশি সচেতনতা বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছেন।