বলিউডের কিংবদন্তি অভিনেতা ধর্মেন্দ্রর মৃত্যুসংবাদ ছড়িয়ে পড়তেই ভারতজুড়ে শোকের ছায়া নেমে আসে। খবরটি শুনেই আবেগ চেপে রাখতে পারেননি টলিউড অভিনেতা নিখিল সিদ্ধার্থ। সাক্ষাৎকারের মধ্যেই ধর্মেন্দ্রকে নিয়ে নিজের শৈশব স্মৃতি, অনুপ্রেরণার গল্প এবং গভীর শ্রদ্ধা জানালেন তিনি।
নিখিলের চোখে ধর্মেন্দ্র—আজও আদর্শের শীর্ষে
নিকিল জানান, ছোটবেলায় তিনি এতটাই ধর্মেন্দ্র-ভক্ত ছিলেন যে খাওয়ার সময় টিভিতে শোলে না চললে তিনি খাবার মুখে দিতেন না। তাঁর ভাষায়—“টিভিতে শোলে চললেই তবেই খাব।” তাঁর শৈশবের বিনোদনের মূল কেন্দ্র ছিল ছবিটির জয়–বীরু জুটি।
তিনি বলেন, ধর্মেন্দ্র এমন এক অভিনেতা, যাঁকে দেখে যেকোনো অভিনেতাই অনুপ্রাণিত হন। জীবনে এত সাফল্য ও ভালোবাসা পাওয়াকে তিনি একজন অভিনেতার স্বপ্ন হিসেবেই দেখেন। ধর্মেন্দ্রর সন্তানরাও সফল—সানি দেওল, ববি দেওল, বিজেতা, ইশা এবং অহনা—যা কিংবদন্তি অভিনেতার ‘গর্ব’ বলে উল্লেখ করেন নিখিল।

ধর্মেন্দ্র: এক অনবদ্য জীবন, এক অমর উত্তরাধিকার
১৯৩৫ সালের ৮ ডিসেম্বর পাঞ্জাবে জন্ম নেওয়া ধর্মেন্দ্র কেওয়াল কৃষণ দেওল ভারতীয় সিনেমার ইতিহাসে অন্যতম জনপ্রিয় এবং সুদর্শন অভিনেতা হিসেবে পরিচিত। ‘হি-ম্যান অব বলিউড’ খ্যাত এই তারকা ৩০০-টিরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছেন—অ্যাকশন, রোম্যান্স, কমেডি—সব ক্ষেত্রেই সমান দক্ষতা দেখিয়েছেন তিনি।
সম্প্রতি শাহিদ কাপুর ও কৃতি শ্যাননের সঙ্গে তাঁকে দেখা গিয়েছিল তেরি বাতোঁ ম্যায় আইসা উলঝা জিয়া (২০২৪) ছবিতে। শীঘ্রই তিনি অভিনয় করতে চলেছিলেন শ্রীরাম রাঘবনের ইক্কিস ছবিতে, যা প্যারামবীর চক্রপ্রাপ্ত অরুণ খেতরপালের জীবনের ওপর নির্মিত একটি যুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র।
এক মহাপুরুষের বিদায়ে চলচ্চিত্রজগতের শূন্যতা
শোলে, ফুল অউর পাথর, দ্য বার্নিং ট্রেনসহ অসংখ্য কালজয়ী ছবিতে অভিনয়ের জন্য চিরকাল স্মরণীয় থাকবেন ধর্মেন্দ্র। তাঁর মৃত্যু ভারতীয় চলচ্চিত্রজগতের এক মহাপুরুষের যুগের অবসান ঘটাল।
# বলিউড ধর্মেন্দ্র নিখিল_সিদ্ধার্থ
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















