এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক ভারতের অর্থনীতিকে ঘিরে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছে। আগের অনুমান থেকে উল্লেখযোগ্য সংশোধন এনে ২০২৫-২৬ অর্থবছরে দেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশে উন্নীত করা হয়েছে। সেপ্টেম্বরে দেওয়া পূর্বাভাসে যেখানে প্রবৃদ্ধি ছিল ৬.৫ শতাংশ, সেখানে এক লাফে এই বৃদ্ধি ভারতের সামগ্রিক অর্থনৈতিক গতি আবারও শক্তিশালী বলেই প্রতীয়মান করছে।
ভারতের প্রবৃদ্ধির ভিত্তি: ভোগব্যয় ও শিল্পসেবা খাতের জোড়া উত্থান
এডিবি জানাচ্ছে, অভ্যন্তরীণ ভোগব্যয়ের শক্তিশালী প্রবাহ ভারতের প্রবৃদ্ধিকে টেনে তুলছে। এর সঙ্গে যোগ হয়েছে আঞ্চলিক উচ্চ-আয় ও প্রযুক্তি রপ্তানিকারক দেশগুলোর দৃঢ় রপ্তানি বাজার। ফলে উন্নয়নশীল এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সামগ্রিক প্রবৃদ্ধির দৃষ্টিভঙ্গিও উন্নত হয়েছে, যা আগামী বছরে দাঁড়াতে পারে ৫.১ শতাংশে।
![]()
২০২৭ অর্থবছরের জন্য ভারতের প্রবৃদ্ধি পূর্বাভাস ৬.৫ শতাংশই অপরিবর্তিত রাখা হয়েছে। ব্যাংকের মতে, মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে থাকা, আর্থিক স্থিতি বজায় থাকা এবং প্রযুক্তি রপ্তানির শক্তি পুরো অঞ্চলের জন্য ইতিবাচক ইঙ্গিত দিচ্ছে।
৮.২ শতাংশ প্রবৃদ্ধির চমক: অর্থনীতিতে বাড়তি আশার আলো
চলতি অর্থবছরের সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ভারতের জিডিপি প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৮.২ শতাংশ, যা প্রত্যাশার চেয়ে বেশি। এডিবির হিসাব বলছে, উৎপাদনশিল্প ও সেবা খাতে সমানতালে ৯ শতাংশের ওপরে প্রবৃদ্ধি এ সাফল্যের মূল চালিকাশক্তি। পাশাপাশি পরিবারভিত্তিক খরচ ও বিনিয়োগ খাতও এই প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন দিয়েছে। দ্বিতীয় প্রান্তিকে ব্যক্তিগত ভোগব্যয় বেড়েছে ৭.৯ শতাংশ এবং স্থায়ী পুঁজি বিনিয়োগ বেড়েছে ৭.৩ শতাংশ।

নীতিনির্ধারকরা বলছেন, এই গতি অব্যাহত থাকলে পুরো বছরের প্রবৃদ্ধি ৭ শতাংশেরও বেশি হতে পারে। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন এবং প্রধান অর্থনৈতিক উপদেষ্টা আনন্ত নাগেশ্বরন ইতিমধ্যেই সে সম্ভাবনার ইঙ্গিত দিয়েছেন।
বিশেষজ্ঞরা কী বলছেন
ইওয়াই–এর নীতিগত উপদেষ্টা ডি.কে. শ্রীবাস্তব জানান, আগের বছরের প্রথমার্ধে ৮ শতাংশ প্রবৃদ্ধি পাওয়া ভারতের সামগ্রিক জিডিপি সম্ভাবনাকে আরও উজ্জ্বল করেছে। আরবিআইও ডিসেম্বরে তাদের পূর্বাভাস বাড়িয়ে ৭.৩ শতাংশ করেছে। উৎপাদন ও সেবা খাতের সমানুপাতিক বৃদ্ধি ভারতের গ্রোথ স্টোরিকে আরও শক্তিশালী করছে বলে মনে করছেন তিনি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















