০৪:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
সিডনির বন্ডি বিচে হনুকা অনুষ্ঠানে হামলা, সন্ত্রাস তদন্তে নিরাপত্তা জোরদার কানাডায় ‘টার্গেটেড’ হামলায় পাঞ্জাবের দুই যুবক গুলিতে নিহত বাংলাদেশে ফেরার পথে আসামে আটক সাত রোহিঙ্গা আহসানউল্লাহ মাস্টার ও কিবরিয়ার হত্যার নজির টেনে সিইসি: হাদির ওপর গুলির ঘটনা বিচ্ছিন্ন, নির্বাচনী নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগের কারণ নেই নিখোঁজ অস্ত্র: কঠোর অভিযান কি নিশ্চিত করবে শান্তিপূর্ণ নির্বাচন? কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিজেকে বুদ্ধিমান ভাবে, শিম্পাঞ্জিরা দেখাল ভিন্ন বাস্তবতা শীতকালীন অলিম্পিকের বরফে বিতর্ক: হকি রিঙ্কের মাপ নিয়ে সমালোচনার জবাব দিল আয়োজকরা ফার্নান্দো সেরিমেদো: লাতিন আমেরিকার ডানপন্থী রাজনীতির নেপথ্য কুশলী ক্যারিবিয়ানে সেনা ঢল, পুয়ের্তো রিকো কেন আবার আমেরিকার সামরিক কেন্দ্র ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তির মঞ্চ: অহং, প্রদর্শন আর বাস্তবতার কঠিন পরীক্ষা

আইএস–এর সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে বাংলাদেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

কুয়ালালামপুর

ফেসবুকের মাধ্যমে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীকে সমর্থন করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করায় এক বাংলাদেশি নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারক দাতুক আজহার আবদুল হামিদ ২৯ বছর বয়সী রেস্তোরাঁকর্মী মোহাম্মদ দিদারুল আলমকে এই সাজা দেন। একই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, গ্রেপ্তারের দিন ২১ জুলাই থেকেই তার কারাদণ্ড কার্যকর হবে।

আদালতের কার্যক্রম চলাকালে বিচারক বলেন, সাজা ভোগ শেষ হলে আসামিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ‘আল মু’বিন ইসলাম’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দিদারুল ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে সমর্থন করেন। ২০২৪ সালের ২৭ মে সকাল ৮টায় কুয়ালালামপুরের বুকিত আমানে রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশের সদর দপ্তরের টাওয়ার–২-এর ২৪ তলায় বিশেষ শাখার ই৮এম (সন্ত্রাসবাদবিরোধী) বিভাগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

দণ্ডবিধির ১৩০জে (১)(ক) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই ধারায় সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। পাশাপাশি অপরাধে ব্যবহৃত যেকোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সুযোগও রয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, পুলিশি তদন্তে জানা যায়, দিদারুল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির পক্ষে ছবি, ভিডিও ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু পোস্ট ও শেয়ার করেছেন।

একজন বাংলা অনুবাদকের বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে আরও নিশ্চিত করা হয়, ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগঠনটির সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রচারমূলক ভিডিও, বক্তব্য ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর আফতাল মারিজ মাহামেদ আদালতে বলেন, আসামি ও অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের জন্য এটি যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, সে জন্য কঠোর সাজা দেওয়া প্রয়োজন—বিশেষ করে যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আগে কোনো অপরাধের রেকর্ড না থাকলেও এটি একটি গুরুতর অপরাধ, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

তবে কোনো আইনজীবী ছাড়াই আদালতে হাজির হওয়া দিদারুল দয়া প্রার্থনা করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে তিনি তার পরিবার ও বাবা–মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করতেন।

দোভাষীর মাধ্যমে বাংলায় তিনি বলেন, কাজ করার উদ্দেশ্যেই তিনি মালয়েশিয়ায় এসেছিলেন। নিজের ভুলের জন্য তিনি ক্ষমা চান।

( The New Straits Times, এর রিপোর্টের অনুবাদ)

জনপ্রিয় সংবাদ

সিডনির বন্ডি বিচে হনুকা অনুষ্ঠানে হামলা, সন্ত্রাস তদন্তে নিরাপত্তা জোরদার

আইএস–এর সঙ্গে সম্পৃক্ততার দায়ে বাংলাদেশির ১০ বছরের কারাদণ্ড

০১:১৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২৫

কুয়ালালামপুর

ফেসবুকের মাধ্যমে ইসলামিক স্টেট (আইএস) গোষ্ঠীকে সমর্থন করার অভিযোগে দোষ স্বীকার করায় এক বাংলাদেশি নাগরিককে ১০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন মালয়েশিয়ার হাইকোর্ট।

হাইকোর্টের বিচারক দাতুক আজহার আবদুল হামিদ ২৯ বছর বয়সী রেস্তোরাঁকর্মী মোহাম্মদ দিদারুল আলমকে এই সাজা দেন। একই সঙ্গে তিনি নির্দেশ দেন, গ্রেপ্তারের দিন ২১ জুলাই থেকেই তার কারাদণ্ড কার্যকর হবে।

আদালতের কার্যক্রম চলাকালে বিচারক বলেন, সাজা ভোগ শেষ হলে আসামিকে নিজ দেশে ফেরত পাঠানো হবে।

মামলার অভিযোগপত্র অনুযায়ী, ‘আল মু’বিন ইসলাম’ নামের একটি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে দিদারুল ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীকে সমর্থন করেন। ২০২৪ সালের ২৭ মে সকাল ৮টায় কুয়ালালামপুরের বুকিত আমানে রয়্যাল মালয়েশিয়া পুলিশের সদর দপ্তরের টাওয়ার–২-এর ২৪ তলায় বিশেষ শাখার ই৮এম (সন্ত্রাসবাদবিরোধী) বিভাগে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়।

দণ্ডবিধির ১৩০জে (১)(ক) ধারায় তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই ধারায় সর্বোচ্চ ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড বা অর্থদণ্ডের বিধান রয়েছে। পাশাপাশি অপরাধে ব্যবহৃত যেকোনো সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করার সুযোগও রয়েছে।

মামলার বিবরণে বলা হয়, পুলিশি তদন্তে জানা যায়, দিদারুল তার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটির পক্ষে ছবি, ভিডিও ও অন্যান্য সংশ্লিষ্ট বিষয়বস্তু পোস্ট ও শেয়ার করেছেন।

একজন বাংলা অনুবাদকের বিশ্লেষণ প্রতিবেদনে আরও নিশ্চিত করা হয়, ওই ফেসবুক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে সন্ত্রাসী সংগঠনটির সঙ্গে সম্পৃক্ত প্রচারমূলক ভিডিও, বক্তব্য ও ছবি ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল।

ডেপুটি পাবলিক প্রসিকিউটর আফতাল মারিজ মাহামেদ আদালতে বলেন, আসামি ও অন্যান্য বিদেশি নাগরিকদের জন্য এটি যেন দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হয়, সে জন্য কঠোর সাজা দেওয়া প্রয়োজন—বিশেষ করে যারা সন্ত্রাসী কার্যক্রমে জড়িত।

তিনি আরও বলেন, আসামির বিরুদ্ধে আগে কোনো অপরাধের রেকর্ড না থাকলেও এটি একটি গুরুতর অপরাধ, যা জাতীয় নিরাপত্তার জন্য হুমকি।

তবে কোনো আইনজীবী ছাড়াই আদালতে হাজির হওয়া দিদারুল দয়া প্রার্থনা করেন। তিনি জানান, বাংলাদেশে তিনি তার পরিবার ও বাবা–মায়ের ভরণপোষণের দায়িত্ব পালন করতেন।

দোভাষীর মাধ্যমে বাংলায় তিনি বলেন, কাজ করার উদ্দেশ্যেই তিনি মালয়েশিয়ায় এসেছিলেন। নিজের ভুলের জন্য তিনি ক্ষমা চান।

( The New Straits Times, এর রিপোর্টের অনুবাদ)