চীন শনিবার ১৯৩৭ সালের নানজিং হত্যাকাণ্ডের ৮৮তম বার্ষিকী স্মরণ করেছে সংক্ষিপ্ত ও নীরব এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে। তাইওয়ান ইস্যুতে বেইজিং ও টোকিওর কূটনৈতিক টানাপোড়েন চললেও এবারের স্মরণানুষ্ঠান ছিল তুলনামূলকভাবে কম আলোচনা মুখর ও সংযত।
নানজিং এর সংক্ষিপ্ত স্মরণ
জিয়াংসু প্রদেশের নানজিং হত্যাকাণ্ড স্মৃতি জাদুঘরে জাতীয় স্মরণ দিবসের আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন হয় আধা ঘণ্টারও কম সময়ে। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সরকারি কর্মকর্তা, পুলিশ সদস্য ও স্কুলশিক্ষার্থীরা। শেষে শান্তির প্রতীক হিসেবে আকাশে উড়ছে শান্তির পায়রা।
রাষ্ট্রপ্রধানের অনুপস্থিতি
চীনের রাষ্ট্রপ্রধান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন না। তিনি সর্বশেষ দুই হাজার সতেরো সালে সরাসরি এই স্মরণানুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। দুই হাজার চৌদ্দ সালে প্রথম জাতীয় স্মরণ দিবসে তিনি বক্তব্য রেখে অতীতের ঘৃণা ভুলে বর্তমান সম্পর্ককে ক্ষতিগ্রস্ত না করার আহ্বান জানিয়েছিলেন।
সংযত বক্তব্য, স্পষ্ট বার্তা
অনুষ্ঠানে ক্ষমতাসীন দলের শীর্ষ এক নেতা অতীত ইতিহাসের প্রসঙ্গ তুলে বলেন, চীনা জাতি কোনো শক্তিকে ভয় করে না এবং নিজের পায়ে দাঁড়িয়ে আছে। সাম্প্রতিক কূটনৈতিক উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে বক্তব্যে সরাসরি কাউকে আক্রমণ না করে যুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক ব্যবস্থাকে চ্যালেঞ্জ করার যে কোনো প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে—এমন সতর্কতাই উচ্চারিত হয়।
ইতিহাস নিয়ে বিরোধ
চীনের ভাষ্য অনুযায়ী, তৎকালীন রাজধানী নানজিংয়ে জাপানি সেনাদের হাতে প্রায় তিন লাখ মানুষ নিহত হন। তবে যুদ্ধোত্তর আন্তর্জাতিক বিচার প্রক্রিয়ায় নিহতের সংখ্যা ধরা হয় এক লাখ বেয়াল্লিশ হাজার। জাপানের কিছু রক্ষণশীল রাজনৈতিক ও গবেষক এখনো এই হত্যাকাণ্ডের অস্তিত্ব অস্বীকার করে আসছেন, যা দুই দেশের মধ্যে দীর্ঘদিনের ঐতিহাসিক বিরোধকে জিইয়ে রেখেছে।
তাইওয়ান ঘিরে টানাপোড়েন
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে তাইওয়ান প্রসঙ্গে জাপানের এক শীর্ষ নেতার মন্তব্য বেইজিংকে ক্ষুব্ধ করেছে। সেই প্রেক্ষাপটে নানজিং স্মরণে নরম সুরে অনুষ্ঠান আয়োজন কূটনৈতিক হিসাবনিকাশের দিকেই ইঙ্গিত দিচ্ছে বলে মনে করছেন পর্যবেক্ষকেরা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















