বিশ্বজুড়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর প্রযুক্তির চাহিদা হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় তীব্র সংকটে পড়েছে মেমোরি চিপের বাজার। তথ্য সংরক্ষণের জন্য অপরিহার্য এই উপাদানের সরবরাহ কমে যাওয়ায় দাম বেড়েছে দ্রুত, যার প্রভাব পড়ছে স্মার্টফোন, কম্পিউটার থেকে শুরু করে ডেটা সেন্টার পর্যন্ত।
এআই দৌড়ে সরবরাহের চাপ
জাপান ও চীনের ইলেকট্রনিক্স বাজারে এখন মেমোরি পণ্যের জন্য কড়াকড়ি শুরু হয়েছে। জাপানের দোকানগুলো একসঙ্গে কতটি হার্ডডিস্ক বা মেমোরি কেনা যাবে, তার সীমা বেঁধে দিচ্ছে। চীনের স্মার্টফোন নির্মাতারা আগাম সতর্ক করছে, খুব শিগগিরই হ্যান্ডসেটের দাম বাড়তে পারে। বড় প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলো মেমোরি নির্মাতাদের কাছে সরবরাহ নিশ্চিত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
সব ধরনের মেমোরিতেই সংকট
ইউএসবি ড্রাইভ ও ফোনে ব্যবহৃত সাধারণ ফ্ল্যাশ মেমোরি থেকে শুরু করে ডেটা সেন্টারে ব্যবহৃত উন্নত উচ্চ ব্যান্ডউইথ মেমোরি—প্রায় সব ক্ষেত্রেই ঘাটতি দেখা দিয়েছে। বাজার গবেষণায় দেখা যাচ্ছে, বছরের শুরু থেকে কিছু মেমোরির দাম দ্বিগুণেরও বেশি বেড়েছে। এই পরিস্থিতি দীর্ঘ হলে শুধু প্রযুক্তি খাত নয়, সামগ্রিক অর্থনীতিতেও চাপ তৈরি হতে পারে বলে সতর্ক করছেন বিশ্লেষকেরা।

অর্থনীতির জন্য নতুন ঝুঁকি
বিশেষজ্ঞদের মতে, মেমোরি চিপের এই সংকট এখন আর শুধু একটি যন্ত্রাংশের সমস্যা নয়, এটি বৈশ্বিক অর্থনীতির ঝুঁকিতে পরিণত হয়েছে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নির্ভর উৎপাদনশীলতা বাড়ানোর পরিকল্পনা বিলম্বিত হতে পারে, পাশাপাশি মূল্যস্ফীতির চাপও বাড়তে পারে।
উৎপাদন বাড়াতে সময়ের বাধা
নতুন কারখানা গড়ে মেমোরি উৎপাদন বাড়াতে অন্তত দুই বছর সময় লাগে। নির্মাতারা অতিরিক্ত বিনিয়োগে সতর্ক, কারণ চাহিদা কমে গেলে অতিরিক্ত সক্ষমতা অলস পড়ে থাকার ঝুঁকি রয়েছে। ফলে সংকট দ্রুত কাটার সম্ভাবনা কম।
স্মার্টফোনে বাড়তি দামের শঙ্কা
চীনের বড় স্মার্টফোন নির্মাতারা জানিয়েছে, মেমোরির দাম নজিরবিহীনভাবে বেড়েছে। এই খরচ পুরোপুরি নিজেদের কাঁধে নেওয়া সম্ভব নয়। ফলে আগামী মাসগুলোতে ফোনের দাম উল্লেখযোগ্য হারে বাড়তে পারে।
দোকান ও দ্বিতীয় বাজারে তোলপাড়
টোকিও ও শেনঝেনের বাজারে মেমোরি পণ্যের দাম প্রায় প্রতিদিন বদলাচ্ছে। কোথাও কোথাও পণ্যের এক-তৃতীয়াংশই স্টকশূন্য। এই সুযোগে পুরোনো ও পুনর্ব্যবহৃত মেমোরির বাজারও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে।
মূল শব্দগুচ্ছ
বিশ্বব্যাপী মেমোরি চিপ সংকট
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















