প্যারিসে কর্মরত এক ভারতীয় পেশাজীবীর অভিজ্ঞতা ঘিরে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নতুন করে শুরু হয়েছে বিদেশে কর্মক্ষেত্রের রাজনীতি নিয়ে আলোচনা। নিজের ভিডিও বার্তায় তিনি দাবি করেছেন, দেশের গণ্ডি পেরিয়েও ভারতীয়দের মধ্যে পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা ও অভিযোগের সংস্কৃতি থেমে থাকে না, বরং অনেক সময় তা আরও তীব্র হয়ে ওঠে।
প্যারিসের অভিজ্ঞতা, প্রকাশ্যে অভিযোগ
ইনস্টাগ্রামে প্রকাশিত ভিডিওতে বরুণ বর্ষণী নামের ওই যুবক জানান, প্যারিসে একটি বহুজাতিক প্রতিষ্ঠানে কাজ করার সময় তিনি দেখেছেন, একই দেশের সহকর্মীরা একে অপরের ভুল ধরিয়ে দিতে সবসময় তৎপর থাকেন। কখনো সামান্য দেরিতে অফিসে আসা, কখনো ছোটখাটো ত্রুটি—এসব বিষয় সরাসরি ব্যবস্থাপকদের সামনে তুলে ধরা হয়। তাঁর ভাষায়, এতে কর্মপরিবেশ ধীরে ধীরে বিষাক্ত হয়ে ওঠে।
একই প্রকল্পে একমাত্র ভারতীয় হওয়াই স্বস্তি
বরুণ বলেন, বর্তমান প্রকল্পে তিনি একমাত্র ভারতীয় হওয়ায় নিজেকে অনেকটাই স্বস্তিতে রাখছেন। এতে পেছনে কথা বলা, অভিযোগ বাড়িয়ে তোলা কিংবা সহকর্মীদের মধ্যে বিভাজন তৈরির মতো পরিস্থিতি থেকে দূরে থাকা সম্ভব হচ্ছে। ভিডিওর ক্যাপশনে তিনি লেখেন, অফিস রাজনীতি শুধু দেশের ভেতর নয়, বিদেশেও ভারতীয়দের হাত ধরেই অনেক সময় দেখা যায়।
সামাজিক মাধ্যমে প্রতিক্রিয়ার ঝড়
ভিডিওটি প্রকাশের পরপরই অসংখ্য মানুষ নিজেদের অভিজ্ঞতা তুলে ধরেন। কেউ লিখেছেন, আমরা যদি নিজেরা ঐক্যবদ্ধ থাকতে পারতাম, তবে ইতিহাস অন্যরকম হতো। আবার কেউ যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করার অভিজ্ঞতা শেয়ার করে জানান, একই ধরনের পরিবেশে কাজ করে তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছিলেন। অনেকেই মন্তব্য করেছেন, রাজনীতি সব অফিসেই থাকে, তবে নিজের দেশের মানুষের কাছ থেকে পেলে কষ্টটা বেশি লাগে।
বৃহত্তর প্রশ্ন, মানসিকতার পরিবর্তন কবে
অনেক প্রতিক্রিয়ায় উঠে এসেছে, এই মানসিকতা বদলানো না গেলে বৈশ্বিক কর্মক্ষেত্রে সম্মান পাওয়া কঠিন হবে। বরুণের ভিডিও তাই শুধু ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতায় সীমাবদ্ধ নেই, বরং প্রবাসী কর্মসংস্কৃতিতে পারস্পরিক আচরণ নিয়ে বড় প্রশ্ন ছুড়ে দিয়েছে।
#বিদেশেরকর্মজীবন #অফিসরাজনীতি #প্রবাসীঅভিজ্ঞতা #সামাজিকমাধ্যম #প্যারিস #ভারতীয়কর্মসংস্কৃতি
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















