০১:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
বিশ্বজুড়ে যৌন সহিংসতায় আক্রান্ত ৮৪ কোটি নারী: নিরাপত্তার প্রশ্নে ব্রাকের ভূমিকা দক্ষিণ চীন সাগরে ভেসে থেকেও বেঁচে ফিরলেন ইন্দোনেশীয় জেলে, দশ দিনের লড়াই শেষে সারাওয়াকে উদ্ধার যুদ্ধের মাঝেও জীবন বাঁচানোর লড়াই: সুদানের হাসপাতালের ভেতরের কঠিন বাস্তবতা বাংলাদেশী, পাকিস্তানীসহ ৪৯ জন আটক মালয়েশিয়ায় রোবটের হাতে সবুজ বিপ্লব, নগর কৃষিতে নতুন দিগন্ত লাগোসের নাচ থামেনি মন্দার মধ্যেও ট্রাম্পের নিষেধাজ্ঞায় কাঁপছে রাশিয়ার তেল সাম্রাজ্য, বিশ্ব জ্বালানি মানচিত্রে বড় পালাবদলের ইঙ্গিত বিজয় দিবসের কুচকাওয়াজ কেন বন্ধ করলো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকার? বিদেশের অফিসেও ভারতীয়ের বিরুদ্ধে ভারতীয়: প্যারিসে কাজ করা যুবকের ভিডিও ঘিরে তুমুল বিতর্ক সিডনির বন্ডি বিচে ইহুদি উৎসবে রক্তপাত, বাবা–ছেলের হামলায় নিহত ষোল

বন্ডি বিচ রক্তপাতের পর ইহুদিবিদ্বেষ দমনে ছাড় নয়, অস্ট্রেলিয়াকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি বিচে হনুক্কা অনুষ্ঠানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে ইহুদি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শারেন হাস্কেল। তাঁর ভাষায়, এই রক্তপাত শুধু হৃদয়বিদারক নয়, বহুদিনের উপেক্ষিত ইহুদিবিদ্বেষের পরিণতিও।

নিরাপদ দেশের ভাবমূর্তি ভেঙে পড়া

শারেন হাস্কেল বলেন, একসময় ইহুদিদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সাম্প্রতিক দুই বছরে সেই বাস্তবতা বদলে গেছে। বন্ডি বিচের হামলায় এগারো জন নিহত হওয়ার ঘটনা সেই বদলে যাওয়ার নির্মম প্রমাণ। তাঁর মতে, ইহুদিবিদ্বেষ এখন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বিষয়টি আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

আগাম সতর্কবার্তা উপেক্ষার অভিযোগ

হাস্কেল জানান, গত দুই বছর ধরে ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উসকানি থামাতে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ মহলকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকেরা উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তাঁর কথায়, ইহুদিবিদ্বেষকে সরাসরি মোকাবিলা না করলে রক্তপাত অনিবার্য—এই বার্তাই তখন দেওয়া হয়েছিল।

ব্যক্তিগত স্মৃতি ও ভয়

ছয় বছর সিডনিতে বসবাস করা শারেন হাস্কেলের কাছে এই হামলা ছিল ব্যক্তিগতভাবে নাড়া দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, স্থানীয় ইহুদি সম্প্রদায়কেই তিনি নিজের ঘর মনে করেন। কয়েক বছর আগেও অস্ট্রেলিয়ায় এমন হামলা কল্পনাতীত ছিল। এখন বহু ইহুদি অস্ট্রেলীয় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে ইসরায়েলে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন। সিডনি ও মেলবোর্নে অভিবাসন বিষয়ক সাম্প্রতিক আয়োজনগুলোতে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে বলেও জানান তিনি।

আইন প্রয়োগে ব্যর্থতার অভিযোগ

হাস্কেলের অভিযোগ, ঘৃণা ও সহিংসতার উসকানির বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। সাম্প্রতিক বিক্ষোভগুলোতে উগ্র স্লোগান, নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতীক এবং প্রকাশ্য হুমকির পরও গ্রেপ্তার বা শাস্তির নজির খুব কম। তাঁর মতে, শাস্তির অভাব ভয়ংকর বার্তা দেয় এবং সহিংসতাকে উৎসাহিত করে।

কঠিন সিদ্ধান্তের সামনে অস্ট্রেলিয়া

উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন দুটো পথ। একদিকে আইন প্রয়োগ, ঘৃণার উসকানিদাতাদের বিচার এবং প্রতিরোধ শক্তিশালী করা। অন্যদিকে নিষ্ক্রিয় থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এই প্রশ্নে কোনো মাঝামাঝি পথ নেই।

#বন্ডিবিচ #সিডনি #ইহুদিবিদ্বেষ #সন্ত্রাসীহামলা #অস্ট্রেলিয়া #হনুক্কা #ইসরায়েল

জনপ্রিয় সংবাদ

বিশ্বজুড়ে যৌন সহিংসতায় আক্রান্ত ৮৪ কোটি নারী: নিরাপত্তার প্রশ্নে ব্রাকের ভূমিকা

বন্ডি বিচ রক্তপাতের পর ইহুদিবিদ্বেষ দমনে ছাড় নয়, অস্ট্রেলিয়াকে কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে

১১:৩৩:১৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

অস্ট্রেলিয়ার সিডনির বন্ডি বিচে হনুক্কা অনুষ্ঠানে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে ইহুদি জীবনের নিরাপত্তা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসরায়েলের উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী শারেন হাস্কেল। তাঁর ভাষায়, এই রক্তপাত শুধু হৃদয়বিদারক নয়, বহুদিনের উপেক্ষিত ইহুদিবিদ্বেষের পরিণতিও।

নিরাপদ দেশের ভাবমূর্তি ভেঙে পড়া

শারেন হাস্কেল বলেন, একসময় ইহুদিদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে নিরাপদ দেশগুলোর একটি হিসেবে পরিচিত ছিল অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু সাম্প্রতিক দুই বছরে সেই বাস্তবতা বদলে গেছে। বন্ডি বিচের হামলায় এগারো জন নিহত হওয়ার ঘটনা সেই বদলে যাওয়ার নির্মম প্রমাণ। তাঁর মতে, ইহুদিবিদ্বেষ এখন রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছেছে এবং বিষয়টি আর অস্বীকার করার সুযোগ নেই।

আগাম সতর্কবার্তা উপেক্ষার অভিযোগ

হাস্কেল জানান, গত দুই বছর ধরে ইহুদি সম্প্রদায়ের বিরুদ্ধে ঘৃণা ও উসকানি থামাতে অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষ মহলকে বারবার সতর্ক করা হয়েছিল। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী, রাষ্ট্রপতি ও জ্যেষ্ঠ কূটনীতিকেরা উদ্বেগ জানিয়েছিলেন। কিন্তু কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। তাঁর কথায়, ইহুদিবিদ্বেষকে সরাসরি মোকাবিলা না করলে রক্তপাত অনিবার্য—এই বার্তাই তখন দেওয়া হয়েছিল।

ব্যক্তিগত স্মৃতি ও ভয়

ছয় বছর সিডনিতে বসবাস করা শারেন হাস্কেলের কাছে এই হামলা ছিল ব্যক্তিগতভাবে নাড়া দেওয়ার মতো। তিনি বলেন, স্থানীয় ইহুদি সম্প্রদায়কেই তিনি নিজের ঘর মনে করেন। কয়েক বছর আগেও অস্ট্রেলিয়ায় এমন হামলা কল্পনাতীত ছিল। এখন বহু ইহুদি অস্ট্রেলীয় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগে ইসরায়েলে চলে যাওয়ার কথা ভাবছেন। সিডনি ও মেলবোর্নে অভিবাসন বিষয়ক সাম্প্রতিক আয়োজনগুলোতে অভূতপূর্ব সাড়া মিলেছে বলেও জানান তিনি।

আইন প্রয়োগে ব্যর্থতার অভিযোগ

হাস্কেলের অভিযোগ, ঘৃণা ও সহিংসতার উসকানির বিরুদ্ধে বিদ্যমান আইন যথাযথভাবে প্রয়োগ করা হয়নি। সাম্প্রতিক বিক্ষোভগুলোতে উগ্র স্লোগান, নিষিদ্ধ সংগঠনের প্রতীক এবং প্রকাশ্য হুমকির পরও গ্রেপ্তার বা শাস্তির নজির খুব কম। তাঁর মতে, শাস্তির অভাব ভয়ংকর বার্তা দেয় এবং সহিংসতাকে উৎসাহিত করে।

কঠিন সিদ্ধান্তের সামনে অস্ট্রেলিয়া

উপপররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, অস্ট্রেলিয়ার সামনে এখন দুটো পথ। একদিকে আইন প্রয়োগ, ঘৃণার উসকানিদাতাদের বিচার এবং প্রতিরোধ শক্তিশালী করা। অন্যদিকে নিষ্ক্রিয় থাকলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হবে। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য, এই প্রশ্নে কোনো মাঝামাঝি পথ নেই।

#বন্ডিবিচ #সিডনি #ইহুদিবিদ্বেষ #সন্ত্রাসীহামলা #অস্ট্রেলিয়া #হনুক্কা #ইসরায়েল