১১:০১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫
মরুভূমিতে হঠাৎ বন্যা: ওমানে প্রাণঘাতী বৃষ্টির নতুন বাস্তবতা চীনের বিনিয়োগে ঐতিহাসিক মোড়, তিন দশকের ধারাবাহিকতা ভাঙার মুখে অর্থনীতি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা প্রত্যাহারের দাবি সম্পাদক পরিষদের সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীর পাঁচ দিনের রিমান্ডে সমালোচনা করা যাবে না- এই বার্তাই কি দেওয়া হলো আনিস আলমগীরের ঘটনায় ড. ইউনূস চাইলে সারা দেশকে কারাগার বানাতে পারেন: আদালতে সাংবাদিক আনিস আলমগীর বাংলাদেশে অবস্থানরত মার্কিন নাগরিকদের জন্য নতুন নিরাপত্তা সতর্কতা জারি টানা পতনে আতঙ্ক: দ্বিতীয় দিনেও লাল পুঁজিবাজার, বিনিয়োগকারীদের আস্থা নড়বড়ে আগে গ্রেপ্তার, পরে মামলা: সিনিয়র সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনের অভিযোগ

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত রাজ্যগুলোকে আলাদা করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে জড়িতদের ভারত আশ্রয় ও সহায়তা দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই তিনি এমন বক্তব্য দেন।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সর্বদলীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, সন্ত্রাস চালাচ্ছে, ভোটাধিকার হরণ করছে এবং হাদিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত—তাদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত। তাঁর দাবি, দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চলছে।

ভারতকে সরাসরি উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, তাদের আশ্রয় দিলে আমরাও বাংলাদেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব।

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় ভারত অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি পক্ষকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাঁর মতে, ভারতকে আর শুধু ‘পার্শ্ববর্তী দেশ’ হিসেবে দেখার সুযোগ নেই; দেশটির অবস্থান স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

এদিকে, একই দিন এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে মানুষের মৃত্যু কেবল একটি সংখ্যা। তাঁর ভাষ্য, কমিশনের এমন মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীনতারই প্রতিফলন।

জনপ্রিয় সংবাদ

মরুভূমিতে হঠাৎ বন্যা: ওমানে প্রাণঘাতী বৃষ্টির নতুন বাস্তবতা

ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব

০৮:৪৬:৪৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫

ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের ‘সেভেন সিস্টার্স’ নামে পরিচিত রাজ্যগুলোকে আলাদা করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) দক্ষিণাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক হাসনাত আব্দুল্লাহ। তাঁর অভিযোগ, বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ অস্থিতিশীলতা সৃষ্টি ও নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্রে জড়িতদের ভারত আশ্রয় ও সহায়তা দিচ্ছে। এই প্রেক্ষাপটেই তিনি এমন বক্তব্য দেন।

সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আয়োজিত এক সর্বদলীয় সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার প্রতিবাদে ইনকিলাব মঞ্চ এই সমাবেশের আয়োজন করে।

সমাবেশে হাসনাত আব্দুল্লাহ অভিযোগ করে বলেন, বাংলাদেশে যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে, সন্ত্রাস চালাচ্ছে, ভোটাধিকার হরণ করছে এবং হাদিকে হত্যার সঙ্গে জড়িত—তাদের আশ্রয়, প্রশ্রয় ও পৃষ্ঠপোষকতা দিচ্ছে ভারত। তাঁর দাবি, দেশের পরিবেশ অস্থিতিশীল করে নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চলছে।

ভারতকে সরাসরি উদ্দেশ করে তিনি বলেন, যারা বাংলাদেশের সার্বভৌমত্ব, ভোটাধিকার ও মানবাধিকারকে বিশ্বাস করে না, তাদের আশ্রয় দিলে আমরাও বাংলাদেশে ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব।

এনসিপির এই নেতা আরও বলেন, হাসিনার পৃষ্ঠপোষকতায় ভারত অস্ত্র, অর্থ ও প্রশিক্ষণ দিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে একটি পক্ষকে দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাঁর মতে, ভারতকে আর শুধু ‘পার্শ্ববর্তী দেশ’ হিসেবে দেখার সুযোগ নেই; দেশটির অবস্থান স্পষ্ট হওয়া প্রয়োজন।

এদিকে, একই দিন এক অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিন হাদির ওপর হামলার ঘটনাকে ‘বিচ্ছিন্ন ঘটনা’ হিসেবে উল্লেখ করেন। এ বিষয়ে প্রতিক্রিয়ায় হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, নির্বাচন কমিশনের কাছে মানুষের মৃত্যু কেবল একটি সংখ্যা। তাঁর ভাষ্য, কমিশনের এমন মন্তব্য দায়িত্বজ্ঞানহীনতারই প্রতিফলন।