১২:১৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫
অসম্ভবকে সম্ভব মনে করা অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার, পঞ্চান্নেও ব্যস্ত ও আত্মবিশ্বাসী জীবন যে সিনেমাটি দেখতে আমি ভয় পেয়েছিলাম অস্ট্রেলিয়ার ক্ষত সারাতে লড়াই: বন্ডি বিচ হত্যাযজ্ঞের পর ঐক্য আর বিভাজনের সন্ধিক্ষণ ঢাকায় উদীচী কার্যালয়ে হামলার পর অগ্নিকাণ্ড প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা ও অগ্নিসংযোগের তীব্র নিন্দা, দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি প্রথম আলোর কারওয়ান বাজার কার্যালয়ে হামলার ঘটনায় বিচার দাবি নিক্কেই এশিয়া প্রতিবেদন: বাংলাদেশ –ভারত সম্পর্কের অবনতি জামায়াতের আহ্বান সংযম ও ঐক্যের পথে থাকার চীনের স্যাটেলাইট ‘সুপার ফ্যাক্টরি’: স্টারলিংকের প্রতিদ্বন্দ্বী হতে বড় পদক্ষেপ চীনের ড্রোন ঝাঁকের সক্ষমতায় বড় অগ্রগতি

খুলনায় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা, আরেকজন গুরুতর আহত

খুলনা নগরীর আরংঘাটা থানাধীন শোলুয়া বাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার বিবরণ
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাত আনুমানিক দশটার দিকে শোলুয়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হঠাৎ করে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি এসে এলাকায় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বাজারে উপস্থিত লোকজন ভয়ে এদিক-ওদিক ছুটে পালায়। এর পর হামলাকারীদের মধ্যে দুজন চায়ের দোকানে ঢুকে কাছ থেকে গুলি চালায়।

নিহত ও আহতের পরিচয়
গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন। তার বয়স ছিল ৪৫ বছর। তিনি একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন এবং শোলুয়া বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। গুরুতর আহত দেবাশীষ বিশ্বাস, বয়স ৩০, পেশায় স্থানীয় একজন ভেটেরিনারি চিকিৎসক। তার মাথায় গুলি লাগে।

চিকিৎসা পরিস্থিতি
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দেবাশীষ বিশ্বাসকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পারিবারিক তথ্য
নিহত ইমদাদুল হক মিলন শোলুয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি মো. বজলুর রহমানের ছেলে। আহত দেবাশীষ বিশ্বাস একই এলাকার রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সন্তান।

পুলিশের বক্তব্য
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) টি এম আর রোকনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গুলিতে দুইজন আহত হন, তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন এবং অন্যজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) অমিত কুমার বর্মন বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তি একজন সাংবাদিক এবং স্থানীয় সংগঠনের নেতা ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে হামলার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

তদন্ত ও আইনগত পদক্ষেপ
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

অসম্ভবকে সম্ভব মনে করা অভিনেত্রী মিনি ড্রাইভার, পঞ্চান্নেও ব্যস্ত ও আত্মবিশ্বাসী জীবন

খুলনায় সাংবাদিককে গুলি করে হত্যা, আরেকজন গুরুতর আহত

০৩:২৭:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫

খুলনা নগরীর আরংঘাটা থানাধীন শোলুয়া বাজার এলাকায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে এক সাংবাদিক নিহত হয়েছেন। একই ঘটনায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত হয়েছেন আরও একজন। বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনায় এলাকাজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

ঘটনার বিবরণ
স্থানীয় সূত্র ও প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্য অনুযায়ী, রাত আনুমানিক দশটার দিকে শোলুয়া বাজারের একটি চায়ের দোকানে এই হামলার ঘটনা ঘটে। হঠাৎ করে দুটি মোটরসাইকেলে চারজন সশস্ত্র ব্যক্তি এসে এলাকায় কয়েক রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছোড়ে। এতে বাজারে উপস্থিত লোকজন ভয়ে এদিক-ওদিক ছুটে পালায়। এর পর হামলাকারীদের মধ্যে দুজন চায়ের দোকানে ঢুকে কাছ থেকে গুলি চালায়।

নিহত ও আহতের পরিচয়
গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন সাংবাদিক ইমদাদুল হক মিলন। তার বয়স ছিল ৪৫ বছর। তিনি একটি অনলাইন সংবাদমাধ্যমে কাজ করতেন এবং শোলুয়া বাজার উন্নয়ন কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছিলেন। গুরুতর আহত দেবাশীষ বিশ্বাস, বয়স ৩০, পেশায় স্থানীয় একজন ভেটেরিনারি চিকিৎসক। তার মাথায় গুলি লাগে।

চিকিৎসা পরিস্থিতি
গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর দেবাশীষ বিশ্বাসকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকদের মতে, তার অবস্থা আশঙ্কাজনক।

পারিবারিক তথ্য
নিহত ইমদাদুল হক মিলন শোলুয়া বাজার এলাকার বাসিন্দা এবং তিনি মো. বজলুর রহমানের ছেলে। আহত দেবাশীষ বিশ্বাস একই এলাকার রবীন্দ্রনাথ বিশ্বাসের সন্তান।

পুলিশের বক্তব্য
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার (মিডিয়া) টি এম আর রোকনুজ্জামান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, গুলিতে দুইজন আহত হন, তাদের মধ্যে একজন মারা গেছেন এবং অন্যজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার (উত্তর) অমিত কুমার বর্মন বলেন, হত্যাকাণ্ডের পেছনের কারণ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তি একজন সাংবাদিক এবং স্থানীয় সংগঠনের নেতা ছিলেন বলে প্রাথমিকভাবে জানা গেছে। তবে হামলার উদ্দেশ্য এখনও স্পষ্ট নয়।

তদন্ত ও আইনগত পদক্ষেপ
পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য অভিযান চলছে। ঘটনাটি ঘিরে এলাকায় অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং তদন্ত অব্যাহত রয়েছে।