ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ
পাকিস্তানের উপপ্রধানমন্ত্রী ইসহাক দার অভিযোগ করেছেন, ভারত আগাম কোনো নোটিস না দিয়েই নিজেদের বাঁধ থেকে পানি ছেড়ে দিয়ে পানি অস্ত্র হিসেবে ব্যবহার করছে। তার দাবি, এই পদক্ষেপ বিশ্বব্যাংকের মধ্যস্থতায় স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন এবং এতে গোটা অঞ্চলের শান্তি ও স্থিতিশীলতা হুমকির মুখে পড়ছে। শুক্রবার এ বিষয়ে তিনি প্রকাশ্যে বক্তব্য দেন।

চেনাব নদীর পানি ছাড় নিয়ে উদ্বেগ
ইসহাক দারের বক্তব্যের আগে পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় নয়াদিল্লিকে একটি চিঠি পাঠায়। সেখানে চেনাব নদী থেকে অনিয়মিতভাবে পানি ছাড়ার ব্যাখ্যা চাওয়া হয়। দারের অভিযোগ, পাকিস্তানের কৃষি মৌসুমের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়ে ভারত ইচ্ছাকৃতভাবে পানির প্রবাহ নিয়ন্ত্রণ করছে। এতে কৃষকের জীবিকা, খাদ্য উৎপাদন এবং সামগ্রিক অর্থনৈতিক নিরাপত্তা মারাত্মক ঝুঁকিতে পড়ছে।
মানবিক সংকটের আশঙ্কা
ইসহাক দার বলেন, ভারতের এই অবৈধ ও দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ পাকিস্তানে বড় ধরনের মানবিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে। তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, গত সেপ্টেম্বরেও একই ধরনের পানি ছাড়ার ফলে ভয়াবহ বন্যা দেখা দেয়, যার কারণে শত শত গ্রাম মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তবে এ বিষয়ে ভারতের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।

সিন্ধু পানি চুক্তির পটভূমি
১৯৬০ সালে স্বাক্ষরিত সিন্ধু পানি চুক্তি অনুযায়ী রবি, সুতলজ ও বিয়াস নদীর পানি ব্যবহারের অধিকার ভারতের, আর ঝিলাম, চেনাব ও সিন্ধু নদীর পানি ব্যবহারের অধিকার পাকিস্তানের। বিশ্বব্যাংকের তত্ত্বাবধানে পরিচালিত এই চুক্তি যুদ্ধ ও সীমান্ত সংঘাতের মধ্যেও দীর্ঘদিন ধরে টিকে আছে।
জাতিসংঘে বিষয়টি উত্থাপন
ইসহাক দার জানান, পাকিস্তান ইতোমধ্যে জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস এবং জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের সভাপতিকে বিষয়টি অবহিত করেছে এবং তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে। তিনি স্পষ্ট করে বলেন, পাকিস্তানের দিকে পানির প্রবাহ বন্ধ বা অন্যদিকে ঘুরিয়ে দেওয়ার যে কোনো চেষ্টা দেশটি যুদ্ধের শামিল বলে গণ্য করবে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















