বাংলাদেশে যে গণতন্ত্র শহীদ জিয়াউর রহমানের হাতে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল এবং দেশনেত্রী খালেদা জিয়া যাকে লালন করেছেন, সেই গণতন্ত্রকে সামনে রেখেই তারেক রহমান দেশে ফিরছেন বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। তিনি বলেন, তারেক রহমানের প্রত্যাবর্তন মানেই দেশে গণতন্ত্রের প্রত্যাবর্তন। জনগণ সেই প্রত্যাবর্তনের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
গণতন্ত্রবিরোধী শক্তির বিরুদ্ধে হুঁশিয়ারি
মির্জা আব্বাস বলেন, যারা দেশের মঙ্গল চায় না, যারা দেশকে ভালোবাসে না, তারা দেখতে মানুষের মতো হলেও আসলে মানুষরূপী শয়তান। ইতিহাসের দিকে তাকালে দেখা যায়, ১৯৪৭ সালে তারা পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছে, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। এরা কখনোই দেশের শান্তি চায় না। কিছুদিন চুপ থাকলেও আবার সুযোগ পেলে তাদের নখ ও বিষদাঁত বের হয়ে আসে। তাদের কর্মকাণ্ড ধারাবাহিক ও পরিকল্পিত।
প্রস্তুতিসভায় বক্তব্য
শনিবার গোপীবাগের সাদেক হোসেন খোকা কমিউনিটি সেন্টারে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন উপলক্ষে আয়োজিত এক প্রস্তুতিসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মির্জা আব্বাস।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার প্রসঙ্গ
তিনি বলেন, গণতন্ত্রের সামনে অগণতান্ত্রিক শক্তি কখনো টিকে থাকতে পারে না। যারা নানা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, তাদের সাবধান হয়ে যেতে হবে। প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় জড়িতরা কারা—এ প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, এরা জাতির শত্রু। এদের থামানো জরুরি।
সরকারের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন
মির্জা আব্বাস অভিযোগ করে বলেন, সরকারকে একাধিকবার সহযোগিতার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। কিন্তু সেই সহযোগিতা গ্রহণ না করে বরং দেশবিরোধীদের সঙ্গে চলা হচ্ছে। যখন অগ্নিসন্ত্রাস ও মব সহিংসতা চলছে, তখন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কোথায় ছিল—সে প্রশ্নও তোলেন তিনি। উল্টো বিএনপির ওপর দোষ চাপানোর চেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। তার ভাষায়, বহুদলীয় গণতন্ত্রের সুযোগে কিছু গোষ্ঠী গণতন্ত্রের নাম ভাঙিয়ে মব সৃষ্টি করে জনজীবন দুর্বিষহ করে তুলছে। সরকারকে অবিলম্বে মব সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে।
বিএনপির অবস্থান
তিনি বলেন, বিএনপি গণতন্ত্রের রক্ষক, ভক্ষক নয়। বিএনপি হত্যা, মব বা গুমের রাজনীতি করে না। তবে এর অর্থ এই নয় যে, দলটি হাত গুটিয়ে বসে থাকবে। মানুষের অধিকার রক্ত দিয়ে আদায় করা হয়েছে, আর সেই অধিকার ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। আজ দেশের সর্বত্র অসহায়ত্বের ধ্বনি শোনা যাচ্ছে। শহীদ জিয়া যেভাবে বাকশাল ভেঙে গণতন্ত্র এনেছিলেন, খালেদা জিয়া ও তারেক রহমান যেভাবে জনগণের পাশে থেকেছেন, এবারও বিএনপি জনগণের পাশে থাকবে। প্রয়োজনে দেশকে অস্থিতিশীল করতে চাওয়া শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা হবে।
সভায় উপস্থিত নেতারা
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় আরও বক্তব্য দেন ঢাকা ১০ আসনের বিএনপি মনোনীত প্রার্থী শেখ রবিউল আলম, ঢাকা ৬ আসনের মনোনীত প্রার্থী ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন, ঢাকা ৭ আসনের মনোনীত প্রার্থী হামিদুর রহমান হামিদ, ঢাকা ৯ আসনের মনোনীত প্রার্থী হাবিবুর রশিদ হাবিব, ঢাকা ৫ আসনের মনোনীত প্রার্থী নবী উল্লাহ নবীসহ মহানগর দক্ষিণ বিএনপির একাধিক নেতা।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 


















