আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে জোট রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। জোটসঙ্গী জামায়াত উলেমা-ই-ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি সংসদীয় আসন ছেড়ে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে সিদ্ধান্তের ঘোষণা
মঙ্গলবার গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই সিদ্ধান্তের কথা জানান দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, জোটের আসন সমঝোতার অংশ হিসেবেই জামায়াত উলেমা-ই-ইসলাম বাংলাদেশকে চারটি আসন দেওয়া হয়েছে।
কোন কোন আসনে লড়বে জামায়াত
মির্জা ফখরুল জানান, সমঝোতা অনুযায়ী নীলফামারী-১, নারায়ণগঞ্জ-৪, ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ ও সিলেট-৫ আসনে জামায়াত উলেমা-ই-ইসলাম বাংলাদেশ প্রার্থী দেবে। এসব আসনে দলটি খেজুর গাছ প্রতীকে নির্বাচন করবে। বিএনপি এসব আসনে কোনো প্রার্থী দেবে না।
জোটের শর্ত ও পারস্পরিক সমঝোতা
সমঝোতার অংশ হিসেবে জামায়াত উলেমা-ই-ইসলাম বাংলাদেশও দেশের অন্য কোনো আসনে প্রার্থী দেবে না বলে জানান বিএনপি মহাসচিব। তিনি বলেন, এই বোঝাপড়ার ভিত্তিতেই দুই দল একসঙ্গে নির্বাচনে অংশ নেবে।
নেতাকর্মীদের প্রতি নির্দেশনা
বিএনপি নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল আহ্বান জানান, নির্ধারিত চার আসনে জামায়াত প্রার্থীদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করতে হবে। তিনি ভোটারদের খেজুর গাছ প্রতীকে ভোট দিয়ে ধানের শীষকে শক্তিশালী করার আহ্বান জানান।
শৃঙ্খলাভঙ্গের বিরুদ্ধে সতর্কবার্তা
তিনি স্পষ্ট করে বলেন, জোটসঙ্গীর জন্য ছেড়ে দেওয়া আসনে কেউ যদি বিএনপির পক্ষ থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করে, তাহলে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
জামায়াতের চার প্রার্থী
চারটি আসনে জামায়াত উলেমা-ই-ইসলাম বাংলাদেশের প্রার্থীরা হলেন নীলফামারী-১ এ মাওলানা মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম আফেন্দি, নারায়ণগঞ্জ-৪ এ মুফতি মোনির হোসাইন কাসেমি, সিলেট-৫ এ মাওলানা মোহাম্মদ উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ এ মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব।
বিএনপির প্রার্থী ঘোষণা পরিস্থিতি
এর আগে দুই ধাপে বিএনপি ২৭২টি আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে। বাকি ২৮টি আসনের মধ্যে চারটি এখন জোটসঙ্গী জামায়াত উলেমা-ই-ইসলাম বাংলাদেশকে দেওয়া হলো।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিতি
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদসহ দলটির শীর্ষ নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পাশাপাশি জামায়াত উলেমা-ই-ইসলাম বাংলাদেশের আমির মাওলানা মোহাম্মদ উবায়দুল্লাহ ফারুক এবং মহাসচিব মাওলানা মোহাম্মদ মনজুরুল ইসলাম আফেন্দিসহ জ্যেষ্ঠ নেতারাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















