চীনের সামরিক বাহিনীর মুখপত্রের মতে, ভবিষ্যৎ যুদ্ধে সস্তা ও ব্যয়যোগ্য ড্রোনের ব্যাপক ব্যবহারই জয়ের মূল চাবিকাঠি। সংখ্যাগত আধিপত্যের ভিত্তিতে স্যাচুরেশন হামলা চালিয়ে শত্রুপক্ষকে ক্লান্ত ও নিষ্ক্রিয় করে ফেলা সম্ভব বলে মনে করছে পিপলস লিবারেশন আর্মি বা পিএলএ।
পিএলএ ডেইলির মন্তব্য
মঙ্গলবার পিএলএ ডেইলিতে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণধর্মী লেখায় বলা হয়েছে, মানববিহীন ক্ষয়যুদ্ধের ক্ষেত্রে জয়ের সূত্র খুঁজে পাওয়াই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। লেখাটিতে উল্লেখ করা হয়, ভবিষ্যৎ যুদ্ধক্ষেত্রে কম খরচের মানববিহীন অস্ত্রব্যবস্থাকে নমনীয়ভাবে ব্যবহার করে প্রতিপক্ষের উচ্চমূল্যের যুদ্ধসম্পদ ধীরে ধীরে নিঃশেষ করা হবে। এতে তুলনামূলকভাবে কম ব্যয়ে সর্বোচ্চ সামরিক ফল অর্জন সম্ভব হবে।
সংকেন্দ্রিত ড্রোন হামলার কৌশল
প্রতিবেদন অনুযায়ী, একসঙ্গে বিপুল সংখ্যক ড্রোন ছেড়ে দিয়ে বিভিন্ন দিক ও ভিন্ন ভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে একযোগে অভিযান চালানো যেতে পারে। এতে শত্রুপক্ষ ক্রমাগত চাপে পড়বে এবং শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধক্ষমতা হারিয়ে প্রতিরক্ষামূলক অবস্থানে চলে যেতে বাধ্য হবে।
ভূমি ও আকাশে সমন্বিত অভিযান
লেখায় আরও বলা হয়, মানববিহীন যুদ্ধব্যবস্থা বিভিন্ন যুদ্ধক্ষেত্রে সমন্বিতভাবে কাজ করতে পারবে। উদাহরণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়, ভূমিতে চলাচলকারী মানববিহীন যান লক্ষ্যবস্তুতে আঘাত ও নির্দেশনা দেবে, আর আকাশে থাকা ড্রোন নজরদারি ও সহায়ক ভূমিকা পালন করবে। এই সমন্বয় যুদ্ধের কার্যকারিতা বহুগুণ বাড়িয়ে দেবে।
ধাপে ধাপে চাপ সৃষ্টি
যুদ্ধকালীন বাস্তবতায় মানববিহীন ব্যবস্থা নিয়মিত, ধীরগতির কিন্তু দীর্ঘমেয়াদি অভিযানের মাধ্যমে শত্রুপক্ষকে ক্লান্ত করে তুলতে পারে। এই ধারাবাহিক চাপ প্রতিপক্ষের মনোবল ও সামরিক সক্ষমতা দুর্বল করে দেবে।
অসম শক্তির জয়ে প্রযুক্তির ভূমিকা
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মানববিহীন ব্যবস্থার নমনীয়তা, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ও বৈচিত্র্য কাজে লাগিয়ে অসম শক্তির লড়াইয়েও জয় অর্জন করা সম্ভব। তবে এ জন্য এসব ব্যবস্থাকে আরও স্বয়ংসম্পূর্ণ, সমন্বিত ও বুদ্ধিমান করে তুলতে হবে এবং প্রচলিত সামরিক কৌশলের সঙ্গে আধুনিক মানববিহীন প্রযুক্তির সমন্বয় জরুরি।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















