সর্বশেষ প্রকাশিত জেফ্রি এপস্টিন–সংক্রান্ত নথিতে ব্রিটিশ রাজপরিবারের সদস্য প্রিন্স অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসরের বিরুদ্ধে নতুন করে চাপ বাড়ছে। নথিতে থাকা ইমেইল বিনিময়ে দেখা যাচ্ছে, অ্যান্ড্রু নামের আদ্যক্ষর ব্যবহার করে ঘিসলেইন ম্যাক্সওয়েলের সঙ্গে যোগাযোগে ‘অনুপযুক্ত বন্ধু’ খোঁজার অনুরোধ করা হয়েছিল বলে ইঙ্গিত পাওয়া যাচ্ছে। এই তথ্যগুলো যুক্তরাষ্ট্রের বিচার বিভাগের প্রকাশিত সবচেয়ে বড় নথি-সংকলনের অংশ।
ইমেইল আদান–প্রদানের নতুন তথ্য
প্রকাশিত নথিতে দুই হাজার এক ও দুই হাজার দুই সালের ইমেইলগুলোতে ‘এ’ নামে স্বাক্ষরিত এক ব্যক্তির কথোপকথন উঠে এসেছে, যাকে প্রিন্স অ্যান্ড্রু হিসেবেই শনাক্ত করা হচ্ছে। স্কটল্যান্ডের রাজকীয় বাসভবন বালমোরাল থেকে লেখা হয়েছে বলে উল্লেখ থাকা এসব বার্তায় ‘নতুন অনুপযুক্ত বন্ধু’ খুঁজে দেওয়ার কথা বলা হয়। জবাবে ম্যাক্সওয়েল ‘বন্ধুত্বপূর্ণ, গোপনীয় ও মজার’ মেয়েদের কথা উল্লেখ করেন।
পেরু সফর ও আয়োজনের আলোচনা
নথিতে পেরু সফরের আগে আয়োজন সংক্রান্ত ইমেইলও রয়েছে। সেখানে স্থানীয় এক মধ্যস্থতাকারীর সঙ্গে যোগাযোগ, ফোন নম্বর বিনিময় এবং মেয়েদের বয়স নিয়ে প্রশ্নের উল্লেখ আছে। ইমেইলে বলা হয়, অতিথির আনন্দের জন্য ‘বুদ্ধিমান, সুন্দর ও মজার’ মেয়েদের ব্যবস্থা করার কথা। পরবর্তী সময়ে পেরু সফরে প্রিন্স অ্যান্ড্রুর ছবি প্রকাশিত হয়েছিল।

তদন্ত ও রাজনৈতিক চাপ
নথি অনুযায়ী, ব্রিটেনের মেট্রোপলিটন পুলিশ সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের তদন্ত সংস্থার সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে চেয়েছিল, অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে কোনো চলমান তদন্ত আছে কি না। একই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের আইনজীবীরা তার পক্ষে দেওয়া আগের বিবৃতিতে তথ্যগত অসংগতি থাকার দাবি তুলেছেন। যুক্তরাজ্যের বিরোধী নেতা কিয়ার স্টারমারসহ যুক্তরাষ্ট্রের সিনেট নেতারাও এপস্টিন মামলায় জড়িতদের বিষয়ে পূর্ণ তথ্য প্রকাশের আহ্বান জানিয়েছেন।
অ্যান্ড্রুর অবস্থান
প্রিন্স অ্যান্ড্রু এর আগে তার বিরুদ্ধে আনা সব অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করেছেন। নতুন নথি প্রকাশের পর তিনি তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য দেননি। তবে এই তথ্য সামনে আসায় এপস্টিনের ভুক্তভোগীদের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে তদন্তে সহযোগিতার দাবি আবারও জোরালো হয়েছে।
সারাক্ষণ রিপোর্ট 



















