০১:০০ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
স্বাধীনতার সাহস থেকে ভবিষ্যতের প্রেম: নতুন বইয়ে দাসত্ব, ধনকুবের আর জলবায়ুর গল্প শব্দের ঘর কি ভেঙে পড়ছে অভিধান টিকে থাকবে তো শেষ মহাসড়কে আমেরিকার গল্প, বয়ে চলেছেন উইলি নেলসন বিয়ের আগে চুক্তির নতুন বাস্তবতা, তরুণদের সংসারে প্রেনাপের উত্থান চোখ বন্ধ করলেই সিনেমা বদলে যায়: ধ্যান আর পর্দার সহজ গল্প ডিসলেক্সিয়া বোঝা গেলেও উপেক্ষিত শিক্ষা পদ্ধতি: শিশুদের পড়া শেখায় ব্যর্থতার গল্প নিউইয়র্কে নতুন অধ্যায়: জোহরান মামদানি যুগের শুরু সিরাজগঞ্জে প্রকাশ্যে কলেজছাত্রকে কুপিয়ে হত্যা সুনামগঞ্জের হাওরে সরিষার সোনালি সাফল্য, মৌসুমের শুরুতেই লাভের মুখ দেখছেন কৃষকেরা পোশাক ও বস্ত্র খাতে অন্তর্বর্তী সরকার পুরোপুরি ব্যর্থ: বিটিএমএ সভাপতি

নির্বাচনে পাহাড়ে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সন্তু লারমার

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। দীর্ঘ আলোচনা ও জল্পনার পর কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ও কারণ
সংসদের ২৯৯ নম্বর রাঙ্গামাটি ও ৩০০ নম্বর বান্দরবান আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। তবে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী না দেওয়ার পক্ষে মত দেন দলের অধিকাংশ নেতা। পিসিজেএসএসের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক সজীব চাকমা জানিয়েছেন, সরাসরি প্রার্থী দেওয়ার পাশাপাশি কাউকে সমর্থন করার বিষয়টিও আলোচনায় ছিল, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়েছে।

সমর্থনের প্রশ্নে অনিশ্চয়তা
নির্বাচনে কোনো দল বা নির্দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলীয়ভাবে প্রার্থীদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি অনুকূল মনে হলে কাউকে সমর্থনের বিষয়ে ভাবা হতে পারে বলে জানান সজীব চাকমা। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।

নির্বাচনে পাহাড়ে প্রার্থী দিচ্ছে না সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস

কর্মী ও সমর্থকদের মতামত
দলীয় সূত্র জানায়, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সংসদীয় আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নেতাকর্মীদের একাংশের আগ্রহ থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। পরে কর্মী ও সমর্থকদের মতামত নেওয়া হলে অধিকাংশই বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন। তাদের যুক্তি ছিল, পাহাড়ি অঞ্চলে অতীতের নির্বাচনগুলো সুখকর অভিজ্ঞতা এনে দেয়নি এবং এখানে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা সমতলের তুলনায় কঠিন।

আগের আলোচনা ও সম্ভাব্য প্রার্থী
গত ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে আয়োজিত সমাবেশে পিসিজেএসএসের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। এরপর ২৯৯ নম্বর রাঙ্গামাটি আসনে তাঁর পক্ষে এবং ৩০০ নম্বর বান্দরবান আসনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক কে এস মংমারমার পক্ষে ভেতরে ভেতরে প্রচারণাও চলেছিল। তবে ২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে কোনো প্রার্থী নিয়ে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পর এসব প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে।

আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা
উল্লেখযোগ্যভাবে, পিসিজেএসএস ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে রাঙ্গামাটি আসনে জয়লাভ করেছিল এবং ঊষাতন তালুকদার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করা হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন। এসব অভিজ্ঞতাও এবারের নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

স্বাধীনতার সাহস থেকে ভবিষ্যতের প্রেম: নতুন বইয়ে দাসত্ব, ধনকুবের আর জলবায়ুর গল্প

নির্বাচনে পাহাড়ে প্রার্থী না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সন্তু লারমার

১১:২৭:৪৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিয়েছে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক সংগঠন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি। দীর্ঘ আলোচনা ও জল্পনার পর কেন্দ্রীয় কমিটির সর্বশেষ সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত ও কারণ
সংসদের ২৯৯ নম্বর রাঙ্গামাটি ও ৩০০ নম্বর বান্দরবান আসনে প্রার্থী দেওয়ার বিষয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই আলোচনা চলছিল। তবে দেশের সামগ্রিক পরিস্থিতি এবং বিশেষ করে পার্বত্য চট্টগ্রামের বাস্তবতা বিবেচনায় নিয়ে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী না দেওয়ার পক্ষে মত দেন দলের অধিকাংশ নেতা। পিসিজেএসএসের প্রচার ও প্রকাশনা বিভাগের সম্পাদক সজীব চাকমা জানিয়েছেন, সরাসরি প্রার্থী দেওয়ার পাশাপাশি কাউকে সমর্থন করার বিষয়টিও আলোচনায় ছিল, কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে তা থেকে সরে আসার সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়েছে।

সমর্থনের প্রশ্নে অনিশ্চয়তা
নির্বাচনে কোনো দল বা নির্দলীয় প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়া হবে কি না, সে বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। দলীয়ভাবে প্রার্থীদের পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে এবং পরিস্থিতি অনুকূল মনে হলে কাউকে সমর্থনের বিষয়ে ভাবা হতে পারে বলে জানান সজীব চাকমা। তবে বিষয়টি এখনো চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছায়নি।

নির্বাচনে পাহাড়ে প্রার্থী দিচ্ছে না সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন পিসিজেএসএস

কর্মী ও সমর্থকদের মতামত
দলীয় সূত্র জানায়, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও বান্দরবানের সংসদীয় আসনে প্রার্থী হওয়ার বিষয়ে নেতাকর্মীদের একাংশের আগ্রহ থাকলেও কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এ নিয়ে দ্বিধায় ছিলেন। পরে কর্মী ও সমর্থকদের মতামত নেওয়া হলে অধিকাংশই বর্তমান পরিস্থিতিতে নির্বাচনে না যাওয়ার পক্ষে মত দেন। তাদের যুক্তি ছিল, পাহাড়ি অঞ্চলে অতীতের নির্বাচনগুলো সুখকর অভিজ্ঞতা এনে দেয়নি এবং এখানে স্বচ্ছ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজন করা সমতলের তুলনায় কঠিন।

আগের আলোচনা ও সম্ভাব্য প্রার্থী
গত ২ ডিসেম্বর পার্বত্য চুক্তির বর্ষপূর্তি উপলক্ষে রাঙ্গামাটিতে আয়োজিত সমাবেশে পিসিজেএসএসের কেন্দ্রীয় সহসভাপতি ঊষাতন তালুকদার নির্বাচনে অংশগ্রহণের সম্ভাবনার কথা বলেছিলেন। এরপর ২৯৯ নম্বর রাঙ্গামাটি আসনে তাঁর পক্ষে এবং ৩০০ নম্বর বান্দরবান আসনে কেন্দ্রীয় যুগ্ম সম্পাদক কে এস মংমারমার পক্ষে ভেতরে ভেতরে প্রচারণাও চলেছিল। তবে ২৯৮ নম্বর খাগড়াছড়ি আসনে কোনো প্রার্থী নিয়ে তেমন তৎপরতা দেখা যায়নি। কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্তের পর এসব প্রচারণা বন্ধ হয়ে গেছে।

আগের নির্বাচনের অভিজ্ঞতা
উল্লেখযোগ্যভাবে, পিসিজেএসএস ২০১৪ সালের জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিয়ে রাঙ্গামাটি আসনে জয়লাভ করেছিল এবং ঊষাতন তালুকদার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তবে ২০১৮ সালের নির্বাচনে কারচুপির মাধ্যমে তাঁকে পরাজিত করা হয়েছে বলে দলের নেতাকর্মীরা দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছেন। এসব অভিজ্ঞতাও এবারের নির্বাচনে না যাওয়ার সিদ্ধান্তে প্রভাব ফেলেছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।