০৩:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫
মার্টি সুপ্রিমে ঝুঁকি আর স্বপ্নের উল্লম্ফন, টেবিল টেনিসের মাঠে নায়কোচিত উত্থান যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন শান্তির খুব কাছে, ডনবাস নিয়ে অমীমাংসিত প্রশ্ন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউক্রেন শান্তি চুক্তির আরও কাছাকাছি, তবু ডনবাসে রয়ে গেল জটিলতা জেজু এয়ার দুর্ঘটনার বর্ষপূর্তিতে সত্য উন্মোচনের অঙ্গীকার, নিহতদের পরিবারের কাছে ক্ষমা প্রার্থনা রাষ্ট্রপতির ট্রাম্প–নেতানিয়াহুর বৈঠক আজ, গাজা যুদ্ধবিরতির পরবর্তী ধাপ নিয়ে বাড়ছে কূটনৈতিক চাপ মিয়ানমারে ব্যালটের নীরবতা, ভোট হলেও আস্থা নেই থাইল্যান্ডের অর্থনৈতিক ধীরগতির ছায়ায় বিদেশমুখী ক্রুঙ্গসরি ব্যাংক আলোর দিকে হেঁটে যাওয়া, বন্ধুত্বের ছায়ায় ফাটল নিউইয়র্কে টারটুফের নতুন পাঠ, মলিয়েরের ব্যঙ্গ আজকের রাজনীতির আয়নায় নীরব পর্দায় অর্গানের জাদু: শতবর্ষ পেরিয়েও কেন সিনেমা হলে ফিরে আসছে জীবন্ত সুর

নীরব পর্দায় অর্গানের জাদু: শতবর্ষ পেরিয়েও কেন সিনেমা হলে ফিরে আসছে জীবন্ত সুর

নীরব ছবির যুগ পেরিয়ে একশ বছরের বেশি সময় কেটে গেছে। তবু অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে যখন পর্দায় ছায়া নড়ে, আর পাশে বসা অর্গান থেকে উঠে আসে গির্জার মতো গম্ভীর সুর, তখন আধুনিক দর্শকের মনেও কাঁপন ধরে। পুরোনো ভৌতিক ছবি নসফেরাতু আজও সেই অভিজ্ঞতার কেন্দ্রে। শতাব্দী পেরিয়েও এই ছবি যেন দর্শকের অবচেতনে ভয় আর সৌন্দর্যের একসঙ্গে বাসা বেঁধে রেখেছে

নীরব ছবির সঙ্গীতে অর্গানের অবধারিত উপস্থিতি

নসফেরাতুর শিরোনামেই সিম্ফনির ইঙ্গিত ছিল। শব্দহীন ছবিকে সুরে রূপ দেওয়ার সেই ভাবনাই আজ নতুন করে ফিরছে। মূল সুর হারিয়ে যাওয়ার পর নানা ঘরানার সঙ্গীত এই ছবির সঙ্গে জুড়েছে। কিন্তু অভিজ্ঞ দর্শকদের কাছে অর্গানই সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য। গির্জার মতো ধ্বনি, ভারী বায়ু আর কাঁপুনি দেওয়া নোট ভৌতিক দৃশ্যকে আরও গভীর করে তোলে।

অর্গানবাদকের তাৎক্ষণিক সৃজনশীলতা

আধুনিক অর্গানবাদকেরা কোনো লিখিত সুর ছাড়াই পর্দার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীত তৈরি করেন। কোথাও প্রেমের দৃশ্যে কোমল ধ্বনি, আবার কোথাও ভয় দেখাতে তীব্র ও বেসুরো আঘাত। এই তাৎক্ষণিক সৃজনশীলতাই নীরব ছবিকে নতুন প্রাণ দেয়। দর্শক বুঝতে পারেন, প্রতিটি প্রদর্শনী আলাদা, প্রতিটি সুর একবারের জন্য।

Image

থিয়েটার অর্গানের নতুন পুনর্জাগরণ

একসময় হাজার হাজার সিনেমা হলে অর্গান ছিল নিয়মিত। আজ সংখ্যায় কম হলেও আবার আগ্রহ বাড়ছে। পুরোনো হলগুলো সংস্কার করে অর্গানসহ নীরব ছবি দেখানো হচ্ছে। কোথাও শতবর্ষী পাইপ টিউন করা হয় যত্ন করে, কোথাও যান্ত্রিক শব্দ প্রভাবও সচল রাখা হয়। স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগে এই ঐতিহ্য টিকে আছে।

জীবন্ত সুরে মানবিক হয়ে ওঠে প্রযুক্তি

লাইভ অর্গান সঙ্গীতে দর্শক আর কেবল দর্শক থাকেন না। সুরের ওঠানামায় তারা সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। প্রযুক্তিনির্ভর চলচ্চিত্র অভিজ্ঞতা তখন মানবিক হয়ে ওঠে। নীরব ছবির নির্মাতারা কেন এই মাধ্যমকে পরিপূর্ণ ভাবতেন, তার উত্তর মেলে এই প্রেক্ষাগৃহেই।

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্টি সুপ্রিমে ঝুঁকি আর স্বপ্নের উল্লম্ফন, টেবিল টেনিসের মাঠে নায়কোচিত উত্থান

নীরব পর্দায় অর্গানের জাদু: শতবর্ষ পেরিয়েও কেন সিনেমা হলে ফিরে আসছে জীবন্ত সুর

০১:১৭:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৫

নীরব ছবির যুগ পেরিয়ে একশ বছরের বেশি সময় কেটে গেছে। তবু অন্ধকার প্রেক্ষাগৃহে যখন পর্দায় ছায়া নড়ে, আর পাশে বসা অর্গান থেকে উঠে আসে গির্জার মতো গম্ভীর সুর, তখন আধুনিক দর্শকের মনেও কাঁপন ধরে। পুরোনো ভৌতিক ছবি নসফেরাতু আজও সেই অভিজ্ঞতার কেন্দ্রে। শতাব্দী পেরিয়েও এই ছবি যেন দর্শকের অবচেতনে ভয় আর সৌন্দর্যের একসঙ্গে বাসা বেঁধে রেখেছে

নীরব ছবির সঙ্গীতে অর্গানের অবধারিত উপস্থিতি

নসফেরাতুর শিরোনামেই সিম্ফনির ইঙ্গিত ছিল। শব্দহীন ছবিকে সুরে রূপ দেওয়ার সেই ভাবনাই আজ নতুন করে ফিরছে। মূল সুর হারিয়ে যাওয়ার পর নানা ঘরানার সঙ্গীত এই ছবির সঙ্গে জুড়েছে। কিন্তু অভিজ্ঞ দর্শকদের কাছে অর্গানই সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য। গির্জার মতো ধ্বনি, ভারী বায়ু আর কাঁপুনি দেওয়া নোট ভৌতিক দৃশ্যকে আরও গভীর করে তোলে।

অর্গানবাদকের তাৎক্ষণিক সৃজনশীলতা

আধুনিক অর্গানবাদকেরা কোনো লিখিত সুর ছাড়াই পর্দার সঙ্গে সঙ্গে সঙ্গীত তৈরি করেন। কোথাও প্রেমের দৃশ্যে কোমল ধ্বনি, আবার কোথাও ভয় দেখাতে তীব্র ও বেসুরো আঘাত। এই তাৎক্ষণিক সৃজনশীলতাই নীরব ছবিকে নতুন প্রাণ দেয়। দর্শক বুঝতে পারেন, প্রতিটি প্রদর্শনী আলাদা, প্রতিটি সুর একবারের জন্য।

Image

থিয়েটার অর্গানের নতুন পুনর্জাগরণ

একসময় হাজার হাজার সিনেমা হলে অর্গান ছিল নিয়মিত। আজ সংখ্যায় কম হলেও আবার আগ্রহ বাড়ছে। পুরোনো হলগুলো সংস্কার করে অর্গানসহ নীরব ছবি দেখানো হচ্ছে। কোথাও শতবর্ষী পাইপ টিউন করা হয় যত্ন করে, কোথাও যান্ত্রিক শব্দ প্রভাবও সচল রাখা হয়। স্বেচ্ছাসেবী উদ্যোগে এই ঐতিহ্য টিকে আছে।

জীবন্ত সুরে মানবিক হয়ে ওঠে প্রযুক্তি

লাইভ অর্গান সঙ্গীতে দর্শক আর কেবল দর্শক থাকেন না। সুরের ওঠানামায় তারা সক্রিয়ভাবে যুক্ত হন। প্রযুক্তিনির্ভর চলচ্চিত্র অভিজ্ঞতা তখন মানবিক হয়ে ওঠে। নীরব ছবির নির্মাতারা কেন এই মাধ্যমকে পরিপূর্ণ ভাবতেন, তার উত্তর মেলে এই প্রেক্ষাগৃহেই।