০২:২৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫
মার্কিন শীতঝড়ে আকাশপথে অচলাবস্থা, বাতিল ও বিলম্বে ষোলো হাজারের বেশি ফ্লাইট নাইজেরিয়ায় ভয়াবহ সড়ক দুর্ঘটনা, আহত অ্যান্থনি জোশুয়া, নিহত ঘনিষ্ঠ দুই সতীর্থ সাংস্কৃতিক জাগরণে নতুন অধ্যায়: দুই হাজার পঁচিশে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিশ্বমুখী অর্জন সিরিয়ায় ফেরার টান, অপেক্ষার বাস্তবতা চীনে বিরল পাখি রক্ষার লড়াই: ভোরের অন্ধকারে শিকারিদের পিছু ধাওয়া শহরের শ্বাসরোধ: আবর্জনা, দূষণ আর ভাঙা রাস্তায় কেন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে ভারতের মহানগর সাবালেঙ্কা–কিরিওসের লড়াই নিয়ে বিতর্ক, তবু ইতিবাচক দিকই দেখছেন দুই তারকা যুদ্ধ ও নিষেধাজ্ঞার চাপে রাশিয়ার কারখানা ফিরিয়ে নিতে পারছে না হুন্ডাই আর্জেন্টিনায় স্বপ্নের গম মৌসুম শেষের পথে, রেকর্ড ফলনে কৃষকের মুখে হাসি চীনের রেকর্ড সামরিক মহড়া তাইওয়ান ঘিরে, উত্তেজনা কম বলে মন্তব্য ট্রাম্পের

মার্কিন বন্ড বাজারের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের নড়বড়ে শান্তি, ফের অশান্তির আশঙ্কা

মার্কিন বন্ড বাজারের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সম্পর্ক এখন আপাত শান্ত হলেও সেই শান্তির ভিত যে খুবই দুর্বল, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। শুল্কনীতি, বাড়তে থাকা ঘাটতি এবং বিপুল ঋণের চাপ—সব মিলিয়ে ত্রিশ ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কিন বন্ড বাজার যেন এখন সতর্ক নজরে হোয়াইট হাউসের প্রতিটি পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে।

শুল্কের ধাক্কায় বন্ড বাজারের ক্ষোভ
চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্পের ঘোষিত ব্যাপক শুল্ক আরোপ বন্ড বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করেছিল। সেই সময় বন্ড বিক্রি বেড়ে যায়, সুদের হার দ্রুত লাফিয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে প্রশাসনকে শুল্ক কার্যকরের গতি কমাতে এবং বার্তায় সংযম দেখাতে বাধ্য হতে হয়। বিনিয়োগকারীদের ভাষায়, সেই ঘটনাই দেখিয়ে দিয়েছে বন্ড বাজার কতটা শক্তিশালী চাপ তৈরি করতে পারে।

নভেম্বরে ফের সতর্ক সংকেত
নভেম্বরের শুরুতে অর্থ মন্ত্রণালয় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিক্রি বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় বাজার আবার নড়েচড়ে বসে। একই সময়ে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের শুল্কনীতির বৈধতা নিয়ে শুনানি শুরু হওয়ায় রাজস্ব আদায় নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে দশ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হারে, যা স্বল্প সময়ের মধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। অনেক বিনিয়োগকারীর কাছে এটি ছিল স্পষ্ট সতর্কবার্তা।

Image

মার্কিন বন্ড বাজারের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সম্পর্ক এখন আপাত শান্ত হলেও সেই শান্তির ভিত যে খুবই দুর্বল, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। শুল্কনীতি, বাড়তে থাকা ঘাটতি এবং বিপুল ঋণের চাপ—সব মিলিয়ে ত্রিশ ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কিন বন্ড বাজার যেন এখন সতর্ক নজরে হোয়াইট হাউসের প্রতিটি পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে।

শুল্কের ধাক্কায় বন্ড বাজারের ক্ষোভ
চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্পের ঘোষিত ব্যাপক শুল্ক আরোপ বন্ড বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করেছিল। সেই সময় বন্ড বিক্রি বেড়ে যায়, সুদের হার দ্রুত লাফিয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে প্রশাসনকে শুল্ক কার্যকরের গতি কমাতে এবং বার্তায় সংযম দেখাতে বাধ্য হতে হয়। বিনিয়োগকারীদের ভাষায়, সেই ঘটনাই দেখিয়ে দিয়েছে বন্ড বাজার কতটা শক্তিশালী চাপ তৈরি করতে পারে।

নভেম্বরে ফের সতর্ক সংকেত
নভেম্বরের শুরুতে অর্থ মন্ত্রণালয় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিক্রি বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় বাজার আবার নড়েচড়ে বসে। একই সময়ে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের শুল্কনীতির বৈধতা নিয়ে শুনানি শুরু হওয়ায় রাজস্ব আদায় নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে দশ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হারে, যা স্বল্প সময়ের মধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। অনেক বিনিয়োগকারীর কাছে এটি ছিল স্পষ্ট সতর্কবার্তা।

ঋণ ও ঘাটতির চাপ
মার্কিন সরকারের মোট ঋণ ইতিমধ্যেই দেশের মোট উৎপাদনের একশ বিশ শতাংশের বেশি। বার্ষিক বাজেট ঘাটতিও জিডিপির প্রায় ছয় শতাংশের কাছাকাছি। এই বাস্তবতা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা, দীর্ঘমেয়াদে এই চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।

সুদের হার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চেষ্টা
অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট প্রকাশ্যে বারবার বলেছেন, সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রাখাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। কারণ দশ বছর মেয়াদি বন্ডের হার শুধু সরকারি ঋণের খরচ নয়, ঘরোয়া ঋণ থেকে শুরু করে করপোরেট ধার নেওয়ার খরচও প্রভাবিত করে। বাজারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, বিনিয়োগকারীদের মতামত নেওয়া এবং বন্ড পুনঃক্রয় কর্মসূচি বাড়ানোর মতো পদক্ষেপে প্রশাসন বোঝাতে চাইছে যে তারা অযথা সুদের হার বাড়তে দেবে না।

বন্ড পাহারাদারদের নীরব নজর
বিনিয়োগকারীদের একাংশ মনে করেন, এসব পদক্ষেপ আসলে সময় কেনা ছাড়া আর কিছু নয়। ইতিহাস বলছে, আর্থিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়লে বন্ড বাজার দেরি না করে শাস্তি দেয়। আপাতত বাজার কিছুটা শান্ত থাকলেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তন কিংবা নতুন কোনো অর্থনৈতিক ধাক্কা এই ভারসাম্য ভেঙে দিতে পারে।

ভঙ্গুর ভারসাম্যের ভবিষ্যৎ
বর্তমান পরিস্থিতিকে অনেক বিশ্লেষক ভঙ্গুর ভারসাম্য হিসেবে দেখছেন। স্বল্পমেয়াদি ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো এবং নতুন চাহিদার উৎস তৈরি বাজারকে আপাত স্বস্তি দিলেও ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। প্রশ্ন একটাই—এই নড়বড়ে শান্তি কত দিন টিকবে

ঋণ ও ঘাটতির চাপ
মার্কিন সরকারের মোট ঋণ ইতিমধ্যেই দেশের মোট উৎপাদনের একশ বিশ শতাংশের বেশি। বার্ষিক বাজেট ঘাটতিও জিডিপির প্রায় ছয় শতাংশের কাছাকাছি। এই বাস্তবতা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা, দীর্ঘমেয়াদে এই চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।

সুদের হার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চেষ্টা
অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট প্রকাশ্যে বারবার বলেছেন, সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রাখাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। কারণ দশ বছর মেয়াদি বন্ডের হার শুধু সরকারি ঋণের খরচ নয়, ঘরোয়া ঋণ থেকে শুরু করে করপোরেট ধার নেওয়ার খরচও প্রভাবিত করে। বাজারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, বিনিয়োগকারীদের মতামত নেওয়া এবং বন্ড পুনঃক্রয় কর্মসূচি বাড়ানোর মতো পদক্ষেপে প্রশাসন বোঝাতে চাইছে যে তারা অযথা সুদের হার বাড়তে দেবে না।

বন্ড পাহারাদারদের নীরব নজর
বিনিয়োগকারীদের একাংশ মনে করেন, এসব পদক্ষেপ আসলে সময় কেনা ছাড়া আর কিছু নয়। ইতিহাস বলছে, আর্থিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়লে বন্ড বাজার দেরি না করে শাস্তি দেয়। আপাতত বাজার কিছুটা শান্ত থাকলেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তন কিংবা নতুন কোনো অর্থনৈতিক ধাক্কা এই ভারসাম্য ভেঙে দিতে পারে।

ভঙ্গুর ভারসাম্যের ভবিষ্যৎ
বর্তমান পরিস্থিতিকে অনেক বিশ্লেষক ভঙ্গুর ভারসাম্য হিসেবে দেখছেন। স্বল্পমেয়াদি ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো এবং নতুন চাহিদার উৎস তৈরি বাজারকে আপাত স্বস্তি দিলেও ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। প্রশ্ন একটাই—এই নড়বড়ে শান্তি কত দিন টিকবে।

জনপ্রিয় সংবাদ

মার্কিন শীতঝড়ে আকাশপথে অচলাবস্থা, বাতিল ও বিলম্বে ষোলো হাজারের বেশি ফ্লাইট

মার্কিন বন্ড বাজারের সঙ্গে ট্রাম্প প্রশাসনের নড়বড়ে শান্তি, ফের অশান্তির আশঙ্কা

১২:৩৬:৫৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫

মার্কিন বন্ড বাজারের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সম্পর্ক এখন আপাত শান্ত হলেও সেই শান্তির ভিত যে খুবই দুর্বল, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। শুল্কনীতি, বাড়তে থাকা ঘাটতি এবং বিপুল ঋণের চাপ—সব মিলিয়ে ত্রিশ ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কিন বন্ড বাজার যেন এখন সতর্ক নজরে হোয়াইট হাউসের প্রতিটি পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে।

শুল্কের ধাক্কায় বন্ড বাজারের ক্ষোভ
চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্পের ঘোষিত ব্যাপক শুল্ক আরোপ বন্ড বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করেছিল। সেই সময় বন্ড বিক্রি বেড়ে যায়, সুদের হার দ্রুত লাফিয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে প্রশাসনকে শুল্ক কার্যকরের গতি কমাতে এবং বার্তায় সংযম দেখাতে বাধ্য হতে হয়। বিনিয়োগকারীদের ভাষায়, সেই ঘটনাই দেখিয়ে দিয়েছে বন্ড বাজার কতটা শক্তিশালী চাপ তৈরি করতে পারে।

নভেম্বরে ফের সতর্ক সংকেত
নভেম্বরের শুরুতে অর্থ মন্ত্রণালয় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিক্রি বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় বাজার আবার নড়েচড়ে বসে। একই সময়ে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের শুল্কনীতির বৈধতা নিয়ে শুনানি শুরু হওয়ায় রাজস্ব আদায় নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে দশ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হারে, যা স্বল্প সময়ের মধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। অনেক বিনিয়োগকারীর কাছে এটি ছিল স্পষ্ট সতর্কবার্তা।

Image

মার্কিন বন্ড বাজারের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের সম্পর্ক এখন আপাত শান্ত হলেও সেই শান্তির ভিত যে খুবই দুর্বল, তা স্পষ্ট করে দিচ্ছেন বিনিয়োগকারীরা। শুল্কনীতি, বাড়তে থাকা ঘাটতি এবং বিপুল ঋণের চাপ—সব মিলিয়ে ত্রিশ ট্রিলিয়ন ডলারের মার্কিন বন্ড বাজার যেন এখন সতর্ক নজরে হোয়াইট হাউসের প্রতিটি পদক্ষেপ পর্যবেক্ষণ করছে।

শুল্কের ধাক্কায় বন্ড বাজারের ক্ষোভ
চলতি বছরের এপ্রিলে ট্রাম্পের ঘোষিত ব্যাপক শুল্ক আরোপ বন্ড বাজারে বড় ধরনের অস্থিরতা তৈরি করেছিল। সেই সময় বন্ড বিক্রি বেড়ে যায়, সুদের হার দ্রুত লাফিয়ে ওঠে। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁছায় যে প্রশাসনকে শুল্ক কার্যকরের গতি কমাতে এবং বার্তায় সংযম দেখাতে বাধ্য হতে হয়। বিনিয়োগকারীদের ভাষায়, সেই ঘটনাই দেখিয়ে দিয়েছে বন্ড বাজার কতটা শক্তিশালী চাপ তৈরি করতে পারে।

নভেম্বরে ফের সতর্ক সংকেত
নভেম্বরের শুরুতে অর্থ মন্ত্রণালয় দীর্ঘমেয়াদি ঋণ বিক্রি বাড়ানোর ইঙ্গিত দেওয়ায় বাজার আবার নড়েচড়ে বসে। একই সময়ে সুপ্রিম কোর্টে ট্রাম্পের শুল্কনীতির বৈধতা নিয়ে শুনানি শুরু হওয়ায় রাজস্ব আদায় নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়। এর প্রভাব পড়ে দশ বছর মেয়াদি বন্ডের সুদের হারে, যা স্বল্প সময়ের মধ্যেই উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়ে যায়। অনেক বিনিয়োগকারীর কাছে এটি ছিল স্পষ্ট সতর্কবার্তা।

ঋণ ও ঘাটতির চাপ
মার্কিন সরকারের মোট ঋণ ইতিমধ্যেই দেশের মোট উৎপাদনের একশ বিশ শতাংশের বেশি। বার্ষিক বাজেট ঘাটতিও জিডিপির প্রায় ছয় শতাংশের কাছাকাছি। এই বাস্তবতা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা, দীর্ঘমেয়াদে এই চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।

সুদের হার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চেষ্টা
অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট প্রকাশ্যে বারবার বলেছেন, সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রাখাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। কারণ দশ বছর মেয়াদি বন্ডের হার শুধু সরকারি ঋণের খরচ নয়, ঘরোয়া ঋণ থেকে শুরু করে করপোরেট ধার নেওয়ার খরচও প্রভাবিত করে। বাজারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, বিনিয়োগকারীদের মতামত নেওয়া এবং বন্ড পুনঃক্রয় কর্মসূচি বাড়ানোর মতো পদক্ষেপে প্রশাসন বোঝাতে চাইছে যে তারা অযথা সুদের হার বাড়তে দেবে না।

বন্ড পাহারাদারদের নীরব নজর
বিনিয়োগকারীদের একাংশ মনে করেন, এসব পদক্ষেপ আসলে সময় কেনা ছাড়া আর কিছু নয়। ইতিহাস বলছে, আর্থিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়লে বন্ড বাজার দেরি না করে শাস্তি দেয়। আপাতত বাজার কিছুটা শান্ত থাকলেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তন কিংবা নতুন কোনো অর্থনৈতিক ধাক্কা এই ভারসাম্য ভেঙে দিতে পারে।

ভঙ্গুর ভারসাম্যের ভবিষ্যৎ
বর্তমান পরিস্থিতিকে অনেক বিশ্লেষক ভঙ্গুর ভারসাম্য হিসেবে দেখছেন। স্বল্পমেয়াদি ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো এবং নতুন চাহিদার উৎস তৈরি বাজারকে আপাত স্বস্তি দিলেও ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। প্রশ্ন একটাই—এই নড়বড়ে শান্তি কত দিন টিকবে

ঋণ ও ঘাটতির চাপ
মার্কিন সরকারের মোট ঋণ ইতিমধ্যেই দেশের মোট উৎপাদনের একশ বিশ শতাংশের বেশি। বার্ষিক বাজেট ঘাটতিও জিডিপির প্রায় ছয় শতাংশের কাছাকাছি। এই বাস্তবতা বিনিয়োগকারীদের উদ্বেগ বাড়াচ্ছে। তাঁদের আশঙ্কা, দীর্ঘমেয়াদে এই চাপ সামাল দিতে ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিরতা আরও বাড়তে পারে।

সুদের হার নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনের চেষ্টা
অর্থমন্ত্রী স্কট বেসেন্ট প্রকাশ্যে বারবার বলেছেন, সুদের হার নিয়ন্ত্রণে রাখাই তাঁর প্রধান লক্ষ্য। কারণ দশ বছর মেয়াদি বন্ডের হার শুধু সরকারি ঋণের খরচ নয়, ঘরোয়া ঋণ থেকে শুরু করে করপোরেট ধার নেওয়ার খরচও প্রভাবিত করে। বাজারের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ, বিনিয়োগকারীদের মতামত নেওয়া এবং বন্ড পুনঃক্রয় কর্মসূচি বাড়ানোর মতো পদক্ষেপে প্রশাসন বোঝাতে চাইছে যে তারা অযথা সুদের হার বাড়তে দেবে না।

বন্ড পাহারাদারদের নীরব নজর
বিনিয়োগকারীদের একাংশ মনে করেন, এসব পদক্ষেপ আসলে সময় কেনা ছাড়া আর কিছু নয়। ইতিহাস বলছে, আর্থিক শৃঙ্খলা ভেঙে পড়লে বন্ড বাজার দেরি না করে শাস্তি দেয়। আপাতত বাজার কিছুটা শান্ত থাকলেও মূল্যস্ফীতি বেড়ে যাওয়া, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের নীতিতে হঠাৎ পরিবর্তন কিংবা নতুন কোনো অর্থনৈতিক ধাক্কা এই ভারসাম্য ভেঙে দিতে পারে।

ভঙ্গুর ভারসাম্যের ভবিষ্যৎ
বর্তমান পরিস্থিতিকে অনেক বিশ্লেষক ভঙ্গুর ভারসাম্য হিসেবে দেখছেন। স্বল্পমেয়াদি ঋণের ওপর নির্ভরতা বাড়ানো এবং নতুন চাহিদার উৎস তৈরি বাজারকে আপাত স্বস্তি দিলেও ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। প্রশ্ন একটাই—এই নড়বড়ে শান্তি কত দিন টিকবে।