এর উপর নতুন নতুন বন্দর থেকে নীল রফতানী শুরু হওয়ায় গুয়াতেমালার ব্যবসায়ীরা নীলের যে একচেটিয়া ব্যবসায়ের সুযোগের সদ্ব্যবহার করছিল তা আর থাকল না। সরকারও এক ফসলের উপর নির্ভর করে থাকার নীতি পরিহার করল। এ সবের ফলে এক গভীর সমস্যা মাথা চাড়া দিয়ে উঠল।
উচ্চ শ্রেণীর চাহিদার উপর রফতানী নির্ভর করত অথচ উচ্চ শ্রেণীর চাহিদা গেল কমে। নিম্ন শ্রেণীর তুলনায় উচ্চ শ্রেণীর গুরুত্ব গেল কমে। ১৭৮০ সালে মোট রফতানীর মধ্যে উচ্চ শ্রেণীর চাহিদা ছিল শতকরা ২০ ভাগ।
যুদ্ধের ঠিক আগে ১৭৯৮ সালে উচ্চ শ্রেণীর চাহিদা কমে হয়ে গেল শতকরা ৩ ভাগ।২২ এ ছাড়া উচ্চ হারে কর আরোপ ও মধ্যবর্তী দালালদের আধিক্যের জন্যে ইউরোপীয় বাজারে দর বৃদ্ধি পায়। স্পেনে শতকরা ২৫ ভাগ শুল্ক আরোপ করায় নীলের দাম বেড়ে যায়। অন্য সব ইউরোপীয় দেশে নীল রফতানী করা হত বলে এইভাবে নীলের দাম বেড়ে যেত শতকরা ৪৫ ভাগ।
নীলের উচ্চ মূল্য ও মানের অবনতি হওয়ায় নেমে আসে এক বিপর্যয়। ২০ প্রতিযোগিতার আবির্ভাব ঘটে ব্যবসায়। আমেরিকান অঞ্চলে ভেনিজুয়েলা মধ্য আমেরিকার চাইতে উৎকৃষ্টতর নীল উৎপাদন শুরু করে এবং কিছুটা হলেও বাজার দখল করে নেয়। কিন্তু বৃটিশ ক্রেতারা বঙ্গদেশ থেকে আসা নতুন নীল পছন্দ করতে থাকে। কিন্তু উনবিংশ শতাব্দীর শুরুর দশকগুলোতে বঙ্গদেশ থেকে আসা নীলের তুলনায় মধ্য আমেরিকা থেকে বৃটেনে নীল রফতানী একেবারে কমে যায়।
Leave a Reply