সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “এইচএসসি পরীক্ষা আজ শুরু, ১৪ লাখ পরীক্ষার্থীদের জন্য যে যে নির্দেশনা”
সিলেট বিভাগ বাদে আজ রোববার থেকে সারা দেশে ২০২৪ সালের উচ্চমাধ্যমিক সার্টিফিকেট (এইচএসসি) পরীক্ষা শুরু হচ্ছে। বন্যা পরিস্থিতির কারণে শুধু সিলেট বিভাগের এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা আগামী ৮ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত করা হয়েছে। তবে ৯ জুলাই থেকে যে পরীক্ষাগুলো হওয়ার কথা ছিল সেগুলো যথারীতি হবে।
গত ২ এপ্রিল এই পরীক্ষার সময়সূচি (রুটিন) ঘোষণা করেছে শিক্ষা বোর্ডগুলো। সময়সূচি অনুযায়ী ৩০ জুন বাংলা (আবশ্যিক) প্রথম পত্রের মাধ্যমে শুরু হবে এই পরীক্ষা। লিখিত পরীক্ষা শেষ হবে ১১ আগস্ট। এরপর ব্যবহারিক পরীক্ষা শুরু হবে। জানা গেছে, পূর্বঘোষণা অনুযায়ী, পুনর্বিন্যাসকৃত (সংক্ষিপ্ত) পাঠ্যসূচিতে অনুষ্ঠিত হবে এই পরীক্ষা।
৩.
- ৩০ নম্বররের বহুনির্বাচনি (MCQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ৩০ মিনিট এবং ৭০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩০ মিনিট;
- ব্যবহারিক বিষয় সম্বলিত পরীক্ষার ক্ষেত্রে ২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি (MCQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২৫ মিনিট এবং ৫০ নম্বরের সৃজনশীল (CQ) পরীক্ষার ক্ষেত্রে সময় ২ ঘণ্টা ৩৫ মিনিট;
- পরীক্ষা বিরতিহীনভাবে প্রশ্নপত্রে উল্লেখিত সময় পর্যন্ত চলবে। MCQ এবং CQ উভয় অংশের পরীক্ষার মধ্যে কোনো বিরতি থাকবে না;
(ক) সকাল ১০টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে
সকাল ৯.৩০ মি. অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি OMR শিট বিতরণ; - সকাল ১০টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ;
- সকাল ১০.৩০ মিনিটে বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ; (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ১০.২৫ মিনিট)।
(খ) বেলা ২টা থেকে অনুষ্ঠেয় পরীক্ষার ক্ষেত্রে বেলা ১.৩০ মিনিটে অলিখিত উত্তরপত্র ও বহুনির্বাচনি OMR শিট বিতরণ; - দুপুর ২টা বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্র বিতরণ;
বেলা ২.৩০ মি. বহুনির্বাচনি উত্তরপত্র (OMR শিট) সংগ্রহ ও সৃজনশীল প্রশ্নপত্র বিতরণ, (২৫ নম্বরের বহুনির্বাচনি পরীক্ষার ক্ষেত্রে এ সময় ২.২৫ মিনিট);
৪.
প্রশ্নপত্রে উল্লিখিত সময় অনুযায়ী পরীক্ষা গ্রহণ করতে হবে;
৫.
পরীক্ষার্থীরা তাঁদের প্রবেশপত্র নিজ নিজ প্রতিষ্ঠান প্রধানের নিকট হতে সংগ্রহ করবেন;
৬.
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী সরবরাহকৃত উত্তরপত্রে তাঁর পরীক্ষার রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বর, বিষয় কোড ইত্যাদি ওএমআর ফরমে যথাযথভাবে লিখে বৃত্ত ভরাট করবেন। কোনো অবস্থাতেই মার্জিনের মধ্যে লেখা কিংবা অন্য কোন প্রয়োজনে উত্তরপত্র ভাঁজ করা যাবে না;
৭.
পরীক্ষার্থীকে তত্ত্বীয়, বহুনির্বাচনি ও ব্যবহারিক অংশে (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) পৃথকভাবে পাস করতে হবে;
৮.
প্রত্যেক পরীক্ষার্থী কেবল রেজিস্ট্রেশন কার্ড ও প্রবেশপত্রে উল্লিখিত বিষয়/বিষয়সমূহের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন; কোনো অবস্থাতেই অন্য বিষয়ের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করতে পারবেন না;
৯.
কোনো পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা নিজ কলেজ/প্রতিষ্ঠানে অনুষ্ঠিত হবে না, পরীক্ষার্থী স্থানান্তরের মাধ্যমে আসন বিন্যাস করতে হবে;
১০.
পরীক্ষার্থীরা পরীক্ষায় সাধারণ সায়েন্টিফিক ক্যালকুলেটর (Non programmable) ব্যবহার করতে পারবেন। প্রোগ্রামিং ক্যালকুলেটর ব্যবহার করা যাবে না;
১১.
পরীক্ষাকেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছাড়া অন্য কেউ মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে পারবেন না এবং কোনো পরীক্ষার্থী পরীক্ষা কেন্দ্রে মোবাইল ফোন আনতে পারবেন না।
ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে চীনের প্রভাব”
ভারতের সাবেক পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা বলেছেন, চীনের প্রভাব বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। ভারতের সংবাদ মাধ্যম ইকোনমিক টাইমসে লেখা এক নিবন্ধে বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার হর্ষবর্ধন শ্রিংলা দুই দেশের সম্পর্কের গভীরতার কথাও তুলে ধরেছেন।
শ্রিংলা সম্প্রতি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফর সম্পর্কে লিখেছেন। তিনি বলেন, এটা আশ্চর্যের বিষয় নয় যে, তৃতীয় বারের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শাসনামলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রথম বিদেশ সফর ভারতে হবে। কারণ গত ৪০ বছরে যা হয়নি, নরেন্দ্র মোদি এবং শেখ হাসিনার ১০ বছরের শাসনামলে তার চেয়ে বেশি দৃঢ় সম্পর্ক গড়ে তুলেছে দুই দেশ। দুই প্রধানমন্ত্রী এই সম্পর্ককে ‘সোনালি অধ্যায়’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন। শ্রিংলা লিখেছেন, বাংলাদেশকে ‘ঘনিষ্ঠ ও মূল্যবান’ প্রতিবেশী হিসেবে দেখে ভারত। ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের উন্নয়নে ঢাকা-দিল্লির অপরিহার্য অংশীদার। অন্যদিকে ভারত বাংলাদেশের বড় প্রতিবেশী এবং বিশ্বস্ত ও গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন অংশীদার (প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভাষায়)। এশিয়ায় বাংলাদেশি পণ্যের সবচেয়ে বড় বাজার ভারত। শ্রিংলা লিখেছেন, ভারতের কাছে বাংলাদেশ তার ‘প্রতিবেশী প্রথম’ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির একত্র হওয়ার জায়গা। একই সঙ্গে অঞ্চলের সবার জন্য নিরাপত্তানীতি (সাগরনীতি) এবং ‘ইন্দো-প্যাসেফিক’ ভিশনের জন্যও বাংলাদেশ গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশে নিযুক্ত সাবেক হাইকমিশনার বলেন—ক্রমবর্ধমান উগ্রবাদ, মৌলবাদ ও সন্ত্রাসবাদ ভারতকে হুমকি দিচ্ছে। এই হুমকি পশ্চিমবঙ্গ ও আসামসহ এই অঞ্চলে চোখ রাঙাচ্ছে। শ্রিংলা বাংলাদেশের রাজনীতি ও অর্থনীতিতে ক্রমবর্ধমান চীনা প্রভাব বৃদ্ধিকে ‘গুরুতর উদ্বেগ’ আখ্যা দিয়ে বলেছেন, এর প্রভাবে ভারত ও বাংলাদেশের সম্পর্ককে বিরূপ পরিণতির দিকে নিয়ে যেতে পারে। আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের কথা রয়েছে। টানা চতুর্থ বার ক্ষমতায় বসার পর এটা হবে কোনো দেশে শেখ হাসিনার দ্বিতীয় রাষ্ট্রীয় সফর। নিবন্ধে লেখা হয়েছে, দিল্লি সফরে বাংলাদেশের সঙ্গে বেশ কিছু সমঝোতা স্মারক সই করে ভারত। উভয় দেশ শান্তিপূর্ণ ও সমৃদ্ধ ভবিষ্যৎ নিশ্চিতকরণে একটি ‘রূপকল্প ঘোষণা’ গ্রহণ করে।
রেলযোগাযোগ, সামুদ্রিক সহযোগিতা ও সুনীল অর্থনীতি, তথ্যপ্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা, স্যাটেলাইট ও সামরিক শিক্ষা সহযোগিতা বিষয়ে পাঁচটি সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। রেলযোগাযোগ সমঝোতা স্মারকের মাধ্যমে বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের বিভিন্ন শহরসহ নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে যাত্রী ও পণ্যবাহী রেলের যোগাযোগ স্থাপিত হবে। স্বাস্থ্য ও ওষুধ খাতে সহযোগিতা, দুর্যোগ মোকাবিলা, সহনশীলতা ও প্রশমন এবং মৎস্যক্ষেত্রে সহযোগিতার জন্য তিনটি সমঝোতা স্মারক নবায়ন। এছাড়া প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার এই সফরে দুই দেশের মধ্যে গৃহীত কিছু কার্যক্রমের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে বলেও নিবন্ধে উল্লেখ করা হয়েছে। নরেন্দ্র মোদিকে উদ্ধৃত করে নিবন্ধে বলা হয়েছে, ‘২০৪৭ সালের বিকশিত ভারত’ এবং বাংলাদেশের ‘স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশন ২০৪১’ দুই দেশের ভবিষ্যত্বাদী দৃষ্টিভঙ্গি বৃদ্ধির পরিবেশ, সম্পর্কে স্থায়িত্ব এবং সুনীল অর্থনীতি পারস্পরিকভাবে ভাগ করে নেওয়ার কথা বলে।
যুগান্তরের একটি শিরোনাম “নতুন করে লেখা হচ্ছে ইসরাইল-হামাস যুদ্ধবিরতি চুক্তি”
গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে ইসরাইল এবং ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাসের মধ্যে সমঝোতার লক্ষ্যে আগের প্রস্তাবটি নতুন করে লেখা হচ্ছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক অ্যাক্সিয়সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র, কাতার ও মিসরের আলোচনার সঙ্গে জড়িত তিনটি সূত্র পণবন্দী-অস্ত্রবিরতি চুক্তির ৮ নম্বর অনুচ্ছেদটি সংশোধন করা হচ্ছে বলে খবর দিয়েছে। ওই অনুচ্ছেদটিতে চুক্তির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের আলোচনা সম্পর্কে বলা হয়েছে।
একটি সূত্র জানায়, ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে যাতে চুক্তি হয়, তার একটি ফরমুলা প্রণয়নে যুক্তরাষ্ট্র কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছে। এতে বলা হয়, হামাস এই পরিবর্তন অনুমোদন করলে চুক্তি হতে পারে।
চুক্তি হলে ছয় সপ্তাহের জন্য অস্ত্রবিরতি বলবত হবে। এ সময় হামাস তাদের হাতে আটক ইসরাইলি নারী, বয়স্ক ব্যক্তি ও অসুস্থ পণবন্দীদের মুক্তি দেবে। একইসময় দ্বিতীয় ধাপের অস্ত্রবিরতির জন্য আলোচনা শুরু হবে। দ্বিতীয় ধাপে হামাস তাদের হাতে থাকা অবশিষ্ট পণবন্দিদের মুক্তি দেবে। তবে হামাস যদি চুক্তির প্রতি তার প্রতিশ্রুতি লঙ্ঘন করে, তবে ইসরাইল আবার যুদ্ধ শুরু করতে পারবে।
হামাস বার বার বলে আসছে যে তারা স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা চায়। তাছাড়া ইসরাইলি পণবন্দির বিনিময়ে কতজন ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেওয়া হবে এবং কারা মুক্তি পাবে, তা নিয়েও সমঝোতা হতে হবে। অন্যদিকে ইসরাইল গাজাকে অসামরিকীকরণের ওপর জোর দিচ্ছে।
তবে ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে পণবন্দিদের মুক্তির পর যুদ্ধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দেয়ায় চুক্তিটি নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়। তবে পরের দিন তিনি জোর দিয়ে বলেন যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতির প্রতি ইসরাইল প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
ধারণা করা হচ্ছে, গাজায় এখনো ১১৬ জন পণবন্দি রয়ে গেছে। তবে তাদের হয়তো সবাই জীবিত নেই। গত নভেম্বরে অস্ত্রবিরতির মাধ্যমে ১০৫ বেসামরিক নাগরিককে মুক্তি দিয়েছিল হামাস।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “সবচেয়ে বেশি স মিলে সর্বনিম্ন হোটেল-রেস্তোরাঁয়”
মাসে বেতন মোটে ৪ হাজার টাকা। সংসারের প্রয়োজন মেটাতে গিয়ে প্রায়ই হিসাব মেলাতে পারেন না রবিউল (ছদ্মনাম)। কাজ করেন মিরপুর বেনারসি পল্লীর একটি নামকরা রেস্টুরেন্টে। বছর পঁয়ত্রিশের এ যুবক প্রতি মাসে বাড়িতে টাকা পাঠাতে পারবেন কিনা, তা নির্ভর করে রেস্টুরেন্টের ক্রেতাদের দেয়া টিপসের ওপর।
রবিউলের মতো দেশের হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিক-কর্মচারীদের সবার গল্প কম-বেশি একই রকম। দেশের বেসরকারি খাতে মজুরি সবচেয়ে কম হোটেল-রেস্তোরাঁর শ্রমিক-কর্মচারীদেরই। সরকারের পক্ষ থেকে তাদের সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করা আছে ৩ হাজার ৭১০ টাকা, যা ৩১ ডলার ৪৪ সেন্টের সমপরিমাণ (ডলারের বিনিময় হার ১১৮ টাকা ধরে)। শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, সরকার গঠিত বোর্ড হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের জন্য এ পরিমাণ সর্বনিম্ন মজুরি নির্ধারণ করে ঘোষণা দিয়েছিল ২০১৭ সালের মার্চে। এরপর আর তাদের মজুরি-ভাতা মূল্যায়ন-পুনর্মূল্যায়নের কোনো উদ্যোগ নেয়া হয়নি।
সরকার নির্ধারিত মজুরি অনুযায়ী, একজন হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিকের সর্বনিম্ন বার্ষিক মজুরি দাঁড়ায় ৪৪ হাজার ৫২০ টাকায়, যা বর্তমান বিনিময় হারে ৩৭৭ ডলার ২৯ সেন্ট। বিশ্বব্যাংকের ২০২২ সালের নির্ধারিত সীমা অনুযায়ী, কারো দৈনিক আয় ২ ডলার ১৫ সেন্টের নিচে হলে তিনি দারিদ্র্যসীমার নিচে বসবাস করছেন বলে ধরে নেয়া হয়। আর নির্ধারিত সর্বনিম্ন মজুরিসীমা অনুযায়ী বাংলাদেশে হোটেল-রেস্তোরাঁ শ্রমিকদের সর্বনিম্ন দৈনিক মজুরি দাঁড়ায় ১ ডলার ৩ সেন্টের সমপরিমাণে।
শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শ্রম আইন ২০০৬-এর ভিত্তিতে প্রতি পাঁচ বছর অন্তর বিভিন্ন খাতের ন্যূনতম মজুরি ঘোষণা করতে পারে সরকার। মন্ত্রণালয় এ পর্যন্ত ৪৩টি শিল্প খাতে ন্যূনতম মজুরি হার নির্ধারণ ও পুনর্নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে গত ১০ বছরে ঘোষণা হয়েছে ৩৩টি মজুরি কাঠামো। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দেশের মূল্যস্ফীতি বিবেচনায় এসব মজুরি কাঠামোর এখনো অনেকটাই সেকেলে পর্যায়ের। এ মজুরি দিয়ে বিভিন্ন খাতের শ্রমিকরা যেমন কর্মজীবনে দুর্বিষহ সংগ্রাম করছেন, তেমনি পরিবার ও ভবিষ্যৎ নিয়ে পড়েছেন অনিশ্চয়তায়।
বর্তমানে দেশে ন্যূনতম মাসিক মজুরি সবচেয়ে বেশি নির্ধারণ করা রয়েছে স মিল বা করাত কলে। আর সবচেয়ে কম নির্ধারিত রয়েছে হোটেল ও রেস্তোরাঁ খাতে। ২০২২ সালের জুনে স মিলের শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য ন্যূনতম মজুরি নির্ধারণ করা হয় ১৭ হাজার ৯০০ টাকা, যা ১৫১ ডলার ৬৯ সেন্টের সমপরিমাণ।
বাংলাদেশ স মিল শ্রমিক ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক রজত বিশ্বাস বণিক বার্তাকে বলেন, ‘স মিল খাতের নতুন মজুরি কাঠামো ২০২২ সালে ঘোষণা হয়। তবে বর্তমান দ্রব্যমূল্য, মূল্যস্ফীতি হিসাব করলে এটা খুবই কম। দ্রব্যমূল্যের সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা মহার্ঘ্য ভাতার কথা বলছি। আবার যে মজুরি কাঠামো ঘোষণা করা হয়েছে, সেটিও সবখানে কার্যকর না। ঢাকাসহ বড় বড় শহরে এ কাঠামো কার্যকর আছে। তবে মফস্বল অঞ্চলে তা মোটেও কার্যকর নয়। যদিও শ্রমিকদের কর্মক্ষেত্রে নিরাপত্তাহীনতা বেশি। বিশেষ করে স মিলের কর্মচারীরা প্রচণ্ড ঝুঁকির মধ্যে কাজ করেন। বিভিন্ন পরিসংখ্যানের মধ্য দিয়ে আমরা জেনেছি ৬০ শতাংশ শ্রমিক অঙ্গহানিসহ বিভিন্ন ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন।’
রজত বিশ্বাসের সঙ্গে আলোচনার সূত্র ধরে কথা হয় মতিউর রহমান নামে এক স মিল কর্মচারীর সঙ্গে। শ্রীমঙ্গলের একটি স মিলে কাজ করছেন তিনি। বর্তমানে মাসিক ১৩ হাজার টাকা চুক্তিতে প্রতিষ্ঠানটিতে কর্মরত রয়েছেন তিনি। যদিও সরকার নির্ধারিত মজুরি কাঠামো অনুযায়ী তার বেতন ১৭ হাজার ৯০০ টাকা হওয়ার কথা।
নিজের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে মতিউর রহমান বণিক বার্তাকে বলেন, ‘প্রতিষ্ঠানের মালিক মাসে আমাকে ১৩ হাজার টাকা দেন। তবে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে মাঝে মাঝে নাশতা করানো হয়। তাছাড়া কিছু বকশিশও পেয়ে থাকি। সরকার যে মজুরি কাঠামো নির্ধারণ করেছে, সেটা এখনো আমি পাচ্ছি না। তবে বেতন বাড়ানোর বিষয়ে মিল মালিকের সঙ্গে কথাবার্তা চলছে।’
বেসরকারি খাতে ন্যূনতম মজুরির দিক থেকে স মিলের পরই রয়েছে নির্মাণ ও কাঠ শ্রমিকরা। তাদের ন্যূনতম মাসিক মজুরি ধরা হয়েছে ১৬ হাজার ২৪০ টাকা (১৩৭ ডলার ৬২ সেন্ট)।
জাহাজ ভাঙা শিল্পে শ্রমিকদের ন্যূনতম মজুরি ১৬ হাজার টাকা (১৩৫ ডলার ৬০ সেন্ট)। আর কর্মচারীরা পান ১৫ হাজার ১০০ টাকা (প্রায় ১২৮ ডলার)।
জাহাজ ভাঙা শ্রমিক ট্রেড ইউনিয়নের আহ্বায়ক তপন দত্ত বণিক বার্তাকে বলেন, ‘বাংলাদেশের মজুরি বোর্ড যখন জাহাজ ভাঙা শিল্পের জন্য ৮ ঘণ্টা অনুযায়ী সর্বনিম্ন মজুরি ১৬ হাজার টাকা নির্ধারণ করেছিল, তখন সেটা কম ছিল না। এছাড়া সপ্তাহে সর্বোচ্চ ১২ ঘণ্টা ওভার টাইম করার আইন ছিল। কিন্তু ইয়ার্ড মালিকরা সে মজুরি তো বাস্তবায়ন করেননি। এমনকি শ্রম আইনে বলা নিয়মগুলোও তারা মানেননি।’
মানবজমিনের একটি শিরোনাম “খালেদা জিয়াকে মুক্তি না দিলে পরিণতি হবে ভয়াবহ: ফখরুল”
দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে রাজধানীতে সমাবেশ করেছে বিএনপি। সমাবেশ থেকে সরকার পতনের একদফা দাবিতে যুগপৎ আন্দোলনরত রাজনৈতিক দল এবং জোটগুলোকে খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন, সংগ্রাম এবং লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানানো হয়। পাশাপাশি খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন আরও তীব্র করারও ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি। এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, আজকে বেগম খালেদা জিয়া ছাড়া গণতন্ত্র চিন্তা করতে পারি না। মিথ্যা মামলায় ৬ বছর কারাগারে আটক আছেন তিনি। আমরা খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করুন। অন্যথায় আপনাদেরকে যেকোনো পরিণতির জন্য তৈরি থাকতে হবে।
গতকাল রাজধানীর নয়াপল্টন দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বিএনপি’র উদ্যোগে ‘দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নিঃশর্ত মুক্তির দাবিতে’ সমাবেশে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কথা বলেন। বিকাল পৌনে ৩টায় পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মধ্যদিয়ে সমাবেশ শুরু হয়। শেষ হয় সোয়া ৬টার দিকে। এই সমাবেশের জন্য দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে অস্থায়ী মঞ্চ তৈরি করা হয়।
খালেদা জিয়ার মুক্তির আন্দোলন প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, আজকে আমি সকলের তরফ থেকে এবং দলের তরফ থেকে আহ্বান জানাতে চাই, বেগম খালেদা জিয়া আমাদের গণতন্ত্রের প্রতীক।