মঙ্গলবার, ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৭:২৬ অপরাহ্ন
শিরোনাম :
শ্রীলঙ্কার নতুন রাষ্ট্রপতির প্রধান চ্যালেঞ্জ হবে অর্থনীতি সঠিক পথে আনা ক্ষমতার ভারসাম্যর মাধ্যমে সশস্ত্র বাহিনীকে সরাসরি রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখা যেতে পারে –সেনাপ্রধান জেনারেল ওয়াকার-উজ- জামান চাঁদাবাজ চক্রের হাত থেকে পরিবহন সেক্টর বাঁচাতে হবে – গোলাম মোহাম্মদ কাদের অধীরের বদলে কেন শুভঙ্করের হাতে পশ্চিমবঙ্গের কংগ্রেস? মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-১৬) জীবাশ্ম জ্বালানিতে বিনিয়োগ বন্ধের দাবি গাজরের  যাদুকরী রেসিপিগুলো: নতুন নতুন স্বাদ ডাকাতি প্রতিরোধ অভিযানে তরুণ সেনা কর্মকর্তা নিহত দিশানায়েকের অভূতপূর্ব উত্থান: বিক্ষোভ থেকে প্রেসিডেন্ট ব্রিটিশ রাজত্বে সুন্দরবন (পর্ব-৩২)

আটলান্টিক স্রোতের নিয়ম শেষ হতে পারে

  • Update Time : শনিবার, ৩ আগস্ট, ২০২৪, ৭.২৪ পিএম
গ্রিনল্যান্ডের উপকূলে সমুদ্রের স্রোতের মাঝে মেঘের কারনে হালকা নীল এবং ফিরোজা ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন দেখা যাচ্ছে । নতুন গবেষণা বলছে এই স্রোতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম পরবর্তী দশকের মধ্যেই ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

সারাক্ষণ ডেস্ক

বিজ্ঞানীরা এক নতুন গবেষণা শেষে বলেছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের স্রোত যা বিশ্বব্যাপি আবহাওয়ার উপরে প্রভাব ফেলে তার আসল পদ্ধতি ২০৩০ এর  প্রথম দিকে নি:শেষ হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরেকটি গবেষণায় পরামর্শ দিয়েছেন যে একটি গ্রহ-স্কেল বিপর্যয় হয়তো আবহাওয়া এবং জলবায়ুকে পরিবর্তন করবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ কয়েকটি গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম যেমন আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন, বা AMOC  শেষ হয়ে যাওয়ার পথে চলে যেতে পারে যা সমুদ্রের উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট লবণাক্ততা ব্যাহত হয়। কিন্তু নতুন এক গবেষণা  এর ধ্বসে পড়ার কারণ বোঝার জন্যে একটি আধুনিক মডেল ব্যবহার করেছে । তারা জানায়, এই স্রোত ২০৩৭ থেকে ২০৬৪ এর মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে।

গবেষণা  আরো পরামর্শ দেয় যে, এটা ২০৫০ এর মধ্যে আরো চরমভাবে হতে পারে। রেনে ভ্যান ওয়েস্টেন, নেদারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব উটরেখট এর একজন সামুদ্রিক এবং এটমোসফেরিক গবেষক বলছেন, “ এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি বলেন,  সবধরনের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চলতেই থাকবে, যেমন অধিক তাপমাত্রা, অধিক খরা এবং অধিক বন্যা। এমনকি তুমি যদি এএমওসি কলাপস এর মধ্যে পড়ে যাও তাহলে জলবায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

একটি কনভেয়ার বেল্টের মতো AMOC দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে গরম পানি নিয়ে আসে এবং সেই পানি ঠান্ডা নর্থ আটলান্টিকে ভাগ করে দেয়।অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা লবণাক্ত পানি তারপর ডুবে যায় এবং দক্ষিণে চলে যায়। এই ধরনের গরম ও ঠান্ডা পানির স্থান পরিবর্তনের ফলে নিউট্রিশনের ভাগাভাগি হয় এবং সামুদ্রিক ইকো সিস্টেমে জীবন ধারনে সাহায্য করে।

একটি AMOC র ধ্বসে পড়ার ফলে পৃথিবীর কতিপয় অংশকে হয়তো চেনাই যাবেনা। ধ্বসে পড়ার এক দশকের মধ্যে আর্কটিক বরফ হয়তো দক্ষিণে মিশে যাবে এবং ১০০ বছর পরে সেগুলি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকুলে ছেঁয়ে যাবে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং ইউএস এর কিছু অংশেরও গড় তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।

স্টেফান রামসটরফ,  জার্মানীর পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফিজিকাল ওশেনোগ্রাফার বলেন, একটি AMOC ধ্বস “একটি সত্যিকারের বড় বিপর্যয় তাই ত্যাগ করার মতো যা আছে সেজন্যে  আমাদের সবকিছু করা উচিৎ।”

এই গবেষণায় ইতি টানতে উটরেখট এর বিজ্ঞানীরা এই প্রথম সবচেয়ে আধুনিক মডেল ব্যবহার করে সাউথ আটলান্টিক ওশেনে একটি দারুন এলাকা চিহ্নিত করেছেন যেখানে সার্কুলেশন এবং অবজার্ভেশন ডাটা মনিটর করা যাবে। তারা তাদের পূর্বের অনুমানকে আরো দৃঢ় করার লক্ষ্যে সাগরের তাপমাত্রা এবং সামদ্রিক লবণাক্ততার দিকে নজর দিয়েছেন যখন AMOC তার হেলে পড়ার অবস্থায় পৌঁছে।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

kjhdf73kjhykjhuhf
© All rights reserved © 2024