০৬:২৩ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ ডিসেম্বর ২০২৫
জীবনের টানাপোড়েনের কথাকার, ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জোয়ানা ট্রলোপের প্রয়াণ প্রতিরক্ষা ক্রয় নিয়ে তদন্ত বিস্তৃত করল দক্ষিণ কোরিয়া প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪০) শেক্‌সপিয়ারের নীরব স্ত্রীকে কেন্দ্র করে হ্যামনেট: শোকের গল্পে নতুন ভাষা ইভি আমদানি বাড়ায় মানদণ্ড কঠোর করছে ভিয়েতনাম মুদ্রাস্ফীতি কমলেও সুদহার নিয়ে সতর্ক শ্রীলঙ্কা মরুভূমিতে হঠাৎ বন্যা: ওমানে প্রাণঘাতী বৃষ্টির নতুন বাস্তবতা চীনের বিনিয়োগে ঐতিহাসিক মোড়, তিন দশকের ধারাবাহিকতা ভাঙার মুখে অর্থনীতি ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের আশ্রয় দিয়ে সেভেন সিস্টার্স আলাদা করে দেব সাংবাদিক আনিস আলমগীরের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী মামলা প্রত্যাহারের দাবি সম্পাদক পরিষদের

আটলান্টিক স্রোতের নিয়ম শেষ হতে পারে

  • Sarakhon Report
  • ০৭:২৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪
  • 86

গ্রিনল্যান্ডের উপকূলে সমুদ্রের স্রোতের মাঝে মেঘের কারনে হালকা নীল এবং ফিরোজা ফাইটোপ্ল্যাঙ্কটন দেখা যাচ্ছে । নতুন গবেষণা বলছে এই স্রোতের একটি গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম পরবর্তী দশকের মধ্যেই ধসে পড়ার ঝুঁকিতে রয়েছে।

সারাক্ষণ ডেস্ক

বিজ্ঞানীরা এক নতুন গবেষণা শেষে বলেছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের স্রোত যা বিশ্বব্যাপি আবহাওয়ার উপরে প্রভাব ফেলে তার আসল পদ্ধতি ২০৩০ এর  প্রথম দিকে নি:শেষ হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরেকটি গবেষণায় পরামর্শ দিয়েছেন যে একটি গ্রহ-স্কেল বিপর্যয় হয়তো আবহাওয়া এবং জলবায়ুকে পরিবর্তন করবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ কয়েকটি গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম যেমন আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন, বা AMOC  শেষ হয়ে যাওয়ার পথে চলে যেতে পারে যা সমুদ্রের উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট লবণাক্ততা ব্যাহত হয়। কিন্তু নতুন এক গবেষণা  এর ধ্বসে পড়ার কারণ বোঝার জন্যে একটি আধুনিক মডেল ব্যবহার করেছে । তারা জানায়, এই স্রোত ২০৩৭ থেকে ২০৬৪ এর মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে।

গবেষণা  আরো পরামর্শ দেয় যে, এটা ২০৫০ এর মধ্যে আরো চরমভাবে হতে পারে। রেনে ভ্যান ওয়েস্টেন, নেদারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব উটরেখট এর একজন সামুদ্রিক এবং এটমোসফেরিক গবেষক বলছেন, “ এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি বলেন,  সবধরনের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চলতেই থাকবে, যেমন অধিক তাপমাত্রা, অধিক খরা এবং অধিক বন্যা। এমনকি তুমি যদি এএমওসি কলাপস এর মধ্যে পড়ে যাও তাহলে জলবায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

একটি কনভেয়ার বেল্টের মতো AMOC দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে গরম পানি নিয়ে আসে এবং সেই পানি ঠান্ডা নর্থ আটলান্টিকে ভাগ করে দেয়।অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা লবণাক্ত পানি তারপর ডুবে যায় এবং দক্ষিণে চলে যায়। এই ধরনের গরম ও ঠান্ডা পানির স্থান পরিবর্তনের ফলে নিউট্রিশনের ভাগাভাগি হয় এবং সামুদ্রিক ইকো সিস্টেমে জীবন ধারনে সাহায্য করে।

একটি AMOC র ধ্বসে পড়ার ফলে পৃথিবীর কতিপয় অংশকে হয়তো চেনাই যাবেনা। ধ্বসে পড়ার এক দশকের মধ্যে আর্কটিক বরফ হয়তো দক্ষিণে মিশে যাবে এবং ১০০ বছর পরে সেগুলি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকুলে ছেঁয়ে যাবে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং ইউএস এর কিছু অংশেরও গড় তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।

স্টেফান রামসটরফ,  জার্মানীর পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফিজিকাল ওশেনোগ্রাফার বলেন, একটি AMOC ধ্বস “একটি সত্যিকারের বড় বিপর্যয় তাই ত্যাগ করার মতো যা আছে সেজন্যে  আমাদের সবকিছু করা উচিৎ।”

এই গবেষণায় ইতি টানতে উটরেখট এর বিজ্ঞানীরা এই প্রথম সবচেয়ে আধুনিক মডেল ব্যবহার করে সাউথ আটলান্টিক ওশেনে একটি দারুন এলাকা চিহ্নিত করেছেন যেখানে সার্কুলেশন এবং অবজার্ভেশন ডাটা মনিটর করা যাবে। তারা তাদের পূর্বের অনুমানকে আরো দৃঢ় করার লক্ষ্যে সাগরের তাপমাত্রা এবং সামদ্রিক লবণাক্ততার দিকে নজর দিয়েছেন যখন AMOC তার হেলে পড়ার অবস্থায় পৌঁছে।

জনপ্রিয় সংবাদ

জীবনের টানাপোড়েনের কথাকার, ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক জোয়ানা ট্রলোপের প্রয়াণ

আটলান্টিক স্রোতের নিয়ম শেষ হতে পারে

০৭:২৪:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

বিজ্ঞানীরা এক নতুন গবেষণা শেষে বলেছেন, আটলান্টিক মহাসাগরের স্রোত যা বিশ্বব্যাপি আবহাওয়ার উপরে প্রভাব ফেলে তার আসল পদ্ধতি ২০৩০ এর  প্রথম দিকে নি:শেষ হয়ে যেতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরেকটি গবেষণায় পরামর্শ দিয়েছেন যে একটি গ্রহ-স্কেল বিপর্যয় হয়তো আবহাওয়া এবং জলবায়ুকে পরিবর্তন করবে।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে বেশ কয়েকটি গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে, গুরুত্বপূর্ণ সিস্টেম যেমন আটলান্টিক মেরিডিওনাল ওভারটার্নিং সার্কুলেশন, বা AMOC  শেষ হয়ে যাওয়ার পথে চলে যেতে পারে যা সমুদ্রের উষ্ণ তাপমাত্রার কারণে দুর্বল হয়ে পড়ে এবং মানব-সৃষ্ট জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে সৃষ্ট লবণাক্ততা ব্যাহত হয়। কিন্তু নতুন এক গবেষণা  এর ধ্বসে পড়ার কারণ বোঝার জন্যে একটি আধুনিক মডেল ব্যবহার করেছে । তারা জানায়, এই স্রোত ২০৩৭ থেকে ২০৬৪ এর মধ্যে শেষ হয়ে যেতে পারে।

গবেষণা  আরো পরামর্শ দেয় যে, এটা ২০৫০ এর মধ্যে আরো চরমভাবে হতে পারে। রেনে ভ্যান ওয়েস্টেন, নেদারল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব উটরেখট এর একজন সামুদ্রিক এবং এটমোসফেরিক গবেষক বলছেন, “ এটি খুবই উদ্বেগের বিষয়।”

তিনি বলেন,  সবধরনের জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব চলতেই থাকবে, যেমন অধিক তাপমাত্রা, অধিক খরা এবং অধিক বন্যা। এমনকি তুমি যদি এএমওসি কলাপস এর মধ্যে পড়ে যাও তাহলে জলবায়ুও ক্ষতিগ্রস্ত করবে।

একটি কনভেয়ার বেল্টের মতো AMOC দক্ষিণ গোলার্ধ থেকে গরম পানি নিয়ে আসে এবং সেই পানি ঠান্ডা নর্থ আটলান্টিকে ভাগ করে দেয়।অপেক্ষাকৃত ঠান্ডা লবণাক্ত পানি তারপর ডুবে যায় এবং দক্ষিণে চলে যায়। এই ধরনের গরম ও ঠান্ডা পানির স্থান পরিবর্তনের ফলে নিউট্রিশনের ভাগাভাগি হয় এবং সামুদ্রিক ইকো সিস্টেমে জীবন ধারনে সাহায্য করে।

একটি AMOC র ধ্বসে পড়ার ফলে পৃথিবীর কতিপয় অংশকে হয়তো চেনাই যাবেনা। ধ্বসে পড়ার এক দশকের মধ্যে আর্কটিক বরফ হয়তো দক্ষিণে মিশে যাবে এবং ১০০ বছর পরে সেগুলি ইংল্যান্ডের দক্ষিণ উপকুলে ছেঁয়ে যাবে। ইউরোপ, উত্তর আমেরিকা এবং ইউএস এর কিছু অংশেরও গড় তাপমাত্রা কমে যেতে পারে।

স্টেফান রামসটরফ,  জার্মানীর পটসডাম বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন ফিজিকাল ওশেনোগ্রাফার বলেন, একটি AMOC ধ্বস “একটি সত্যিকারের বড় বিপর্যয় তাই ত্যাগ করার মতো যা আছে সেজন্যে  আমাদের সবকিছু করা উচিৎ।”

এই গবেষণায় ইতি টানতে উটরেখট এর বিজ্ঞানীরা এই প্রথম সবচেয়ে আধুনিক মডেল ব্যবহার করে সাউথ আটলান্টিক ওশেনে একটি দারুন এলাকা চিহ্নিত করেছেন যেখানে সার্কুলেশন এবং অবজার্ভেশন ডাটা মনিটর করা যাবে। তারা তাদের পূর্বের অনুমানকে আরো দৃঢ় করার লক্ষ্যে সাগরের তাপমাত্রা এবং সামদ্রিক লবণাক্ততার দিকে নজর দিয়েছেন যখন AMOC তার হেলে পড়ার অবস্থায় পৌঁছে।