সারাক্ষণ ডেস্ক
প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “আমদানি–রপ্তানির শতকোটি ডলারের ক্লাবে শীর্ষে এমজিআই, ফিরল বিএসআরএম গ্রুপ”
আমদানি-রপ্তানিতে বিলিয়ন বা শতকোটি ডলারের ক্লাবে শীর্ষে রয়েছে মেঘনা গ্রুপ অব ইন্ডাস্ট্রিজ বা এমজিআই। এক বছর বিরতি দিয়ে আবার এই ক্লাবে ফিরেছে ইস্পাত খাতের শীর্ষস্থানীয় কোম্পানি বিএসআরএম গ্রুপ। এই ক্লাব থেকে ছিটকে গেছে আর্থিক খাতে লুটপাটের দায়ে ব্যাপকভাবে সমালোচিত এস আলম গ্রুপ। সব মিলিয়ে এবার বিলিয়ন ডলার ক্লাবে জায়গা করে নিয়েছে দেশের আট শিল্প গ্রুপ।
সদ্য বিদায়ী ২০২৩-২৪ অর্থবছরে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড বা এনবিআরের আমদানি ও রপ্তানির তথ্য বিশ্লেষণ করে এই চিত্র পাওয়া গেছে। আর এ তথ্য বিশ্লেষণ করেছে প্রথম আলো। প্রাপ্ত তথ্যের ভিত্তিতে তৈরি ক্রমতালিকা অনুযায়ী, বিলিয়ন বা শতকোটি ডলারের ক্লাবে জায়গা পাওয়া আট শিল্প গ্রুপ হলো যথাক্রমে এমজিআই, আবুল খায়ের গ্রুপ, সিটি গ্রুপ, প্রাণ-আরএফএল, বিএসআরএম গ্রুপ, স্কয়ার গ্রুপ, টি কে গ্রুপ ও বসুন্ধরা গ্রুপ।
গত অর্থবছরে এই আট শিল্প গ্রুপের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য ছিল ১ হাজার ২২৩ কোটি ডলারের। এর আগে ২০২২-২৩ অর্থবছরে শীর্ষ আট শিল্প গ্রুপের আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ ছিল ১ হাজার ৩৬৬ কোটি ডলার। সেই হিসাবে শীর্ষ আটটি শিল্প গ্রুপের সম্মিলিত আমদানি-রপ্তানি আগের অর্থবছরের চেয়ে ১০ শতাংশ কমেছে।
বিলিয়ন ডলার ক্লাবে জায়গা করে নেওয়া শিল্প গ্রুপগুলোর আমদানির বড় অংশই শিল্পের কাঁচামাল, ভোগ্যপণ্য ও মূলধনি যন্ত্রপাতি। আর রপ্তানির তালিকায় রয়েছে খাদ্যপণ্য, ইলেকট্রনিকস, রাসায়নিক, পোশাক ও বস্ত্র। ডলার-সংকটে ২০২৩-২৪ অর্থবছরে পণ্য আমদানি ব্যাহত হয়েছে বড় শিল্পগোষ্ঠীগুলোর। তাতে আমদানি কমেছে অনেকের। তবে ডলার-সংকটে পড়ে রপ্তানিতে জোর দিয়েছে অনেকে। তাতে আমদানি কমলেও বেশির ভাগ শিল্প গ্রুপের রপ্তানি বেড়েছে।
শিল্প গ্রুপগুলোর আমদানি-রপ্তানির পরিমাণ বিলিয়ন ডলার হওয়ার অর্থ হলো এসব গ্রুপের বার্ষিক লেনদেনের পরিমাণ আমদানি-রপ্তানির পরিমাণের চেয়ে বেশি। কারণ, কাঁচামাল থেকে পণ্য উৎপাদনে যে মূল্য সংযোজন হয়, তা গ্রুপগুলোর বার্ষিক লেনদেন বাড়িয়ে দেয়।
ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার কাজ শেষে নির্বাচন: ড. ইউনূস “
দ্রুত সম্ভব সংস্কার কাজ শেষ করে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে প্রতিশ্রুতির কথা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারের দায়িত্ব হচ্ছে যত দ্রুত সম্ভব সংস্কার কাজ করা এবং প্রস্তুতি সম্পন্ন হলে নির্বাচন আয়োজন করবে সরকার। তাদের ব্যর্থ হওয়ার সুযোগ নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্কে জাপানের রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম এনএইচকে–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস এ কথা বলেন।
ড. ইউনূস জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে যোগ দিতে নিউ ইয়র্ক সফরের সময় নেওয়া এ সাক্ষাৎকার ভিত্তিক রিপোর্টটি রোববার (২৯ সেপ্টেম্বর) প্রকাশিত হয়। এদিনই চার দিনের সফর শেষে দেশে ফিরেছেন তিনি।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটে। এর তিন দিন পর ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়।
এনএইচকে–কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ড. ইউনূস বলেন, এই ক্রান্তিলগ্নে সবচেয়ে বড় দাতা দেশ জাপানের সমর্থন চায় বাংলাদেশ। দেশের অর্থনীতি পুনরুদ্ধার ও গণতন্ত্রের ভিত স্থায়ী করার জন্য জাপানের সহযোগিতা গুরুত্বপূর্ণ।
বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “৩ বছরে উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করা প্রায় ১৯ লাখ শিক্ষার্থীর অধিকাংশই বেকার”
দেশের সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে গত তিন বছরে (২০২১-২৩) উচ্চ শিক্ষা সম্পন্ন করেছেন প্রায় ১৯ লাখ শিক্ষার্থী। তবে এ জনগোষ্ঠীর অধিকাংশই এখনো কর্মহীন। চাকরি না পেয়ে শিক্ষিত এসব তরুণ-তরুণীর কেউ কেউ মানবেতর জীবনযাপনও করছেন। বিপুলসংখ্যক এ বেকারদের জন্য দ্রুতই কর্মসংস্থান তৈরি করা না গেলে দেশের জন্য তারা বড় বোঝা হয়ে দাঁড়াবেন বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। হতাশ হয়ে অনেকে হয়তো চলে যেতে পারেন বিপথেও।
প্রতি বছর দেশে কী পরিমাণ তরুণ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি নিয়ে বের হচ্ছেন সে তথ্য সংরক্ষণ করে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি)। সংস্থাটির ২০২১ সালের বার্ষিক প্রতিবেদনের প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, সে বছর পাস কোর্স (তিন বছর মেয়াদি), স্নাতক (সম্মান), স্নাতকোত্তর ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেন ৩ লাখ ৪৪ হাজার ৫২৮ শিক্ষার্থী। যদিও কভিড মহামারীর কারণে ওই বছরে উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বের হওয়া শিক্ষার্থী ছিলেন তুলনামূলক কম। ২০২২ সালে গ্র্যাজুয়েট সম্পন্ন করেন ৬ লাখ ৪৭ হাজার ৬২০ জন।
২০২৩ সালে কী পরিমাণ শিক্ষার্থী উচ্চতর ডিগ্রি নিয়ে বের হয়েছেন সে তথ্য সংগ্রহ প্রক্রিয়া এখনো চলমান। তবে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, গত বছর উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন প্রায় নয় লাখ শিক্ষার্থী। সব মিলিয়ে গত তিন বছরে দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৮ লাখ ৯২ হাজারের বেশি তরুণ-তরুণী উচ্চতর ডিগ্রি নিয়েছেন।
এসব শিক্ষার্থী বর্তমানে কী করছেন তার প্রকৃত তথ্য-উপাত্ত পাওয়া যায়নি। তবে বিশ্ববিদ্যালয়, বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান ও সংস্থার জরিপ বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, এসব গ্র্যাজুয়েটের সিংহভাগই এখনো কর্মসংস্থানে প্রবেশ করতে পারেননি। আবার যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের বেশির ভাগই বেসরকারি ও মিড লেভেলের কিছু প্রতিষ্ঠানে কর্মরত।
মানবজমিনের একটি শিরোনাম“দেশে ফেরার সময় শাহজালালে সুলতান মনসুর আটক”
ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন থেকে ডাকসুর সাবেক ভিপি সুলতান মোহাম্মদ মনসুর আহমেদকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার ভোরে কানাডা থেকে দেশের ফেরার সময় তাকে আটক করা হয়।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত কমিশনার রেজাউল করিম মল্লিক বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।