১০:২০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
চীনের মুনশট এআই: সীমিত চিপ ব্যবহার করেও মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা পুরান ঢাকার অতীত দিনের কথা ( কিস্তি-১২৩) মালয়েশিয়ার এআই বুম দেশটিকে জীবাশ্ম জ্বালানির ভবিষ্যতে আটকে দিতে পারে জুলাই জাতীয় সনদ: ভোটের দিনই গণভোট করার চিন্তা সরকারের, থাকবে একাধিক প্রশ্ন শারজাহ বইমেলায় কবিতার মাধ্যমে মানসিক শান্তি—‘পয়ট্রি ফার্মেসি’ অনন্য উদ্যোগ ১,০০০ বছর পুরনো পবিত্র কুরআনের দুর্লভ অনুলিপি পিনাট বাটারের তুলনায় আরও পুষ্টিকর ও বহুমুখী বাদাম বাটার প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩২২) গুগল অস্ট্রেলিয়ার ক্রিস্টমাস আইল্যান্ডে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ডেটা সেন্টার প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা জাপানে উপকূলীয় ভূমির ক্ষয়জনিত কারণে সামুদ্রিক কচ্ছপের ডিম ক্ষতিগ্রস্ত

ইশকুল (পর্ব-০৫)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
  • 70
আর্কাদি গাইদার
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
একদিন কেতি-কোঁত করে সকালবেলার চা-টা গিলে, কোনোরকমে বইগুলো গুছিয়ে নিয়ে ইশকুলের দিকে দৌড়চ্ছি, এমন সময় পথে দেখা হয়ে গেল তিমুকা শৃকিনের সঙ্গে। তিল্কা আমার ক্লাসের বন্ধু। ছোট্ট ছেলে, ভারি ছটফটে। এমনিতে তিষ্কা শর্তুকিন ছিল নেহাত নিরীহ, গোবেচারা। তার নাকে যখন তখন স্বচ্ছন্দে ঘুষিটা-আশটা বসিয়ে দেয়া চলত, পাল্টা মার খাওয়ার ভয় ছিল না। তিঙ্কা খুশিমনে বন্ধুদের আধ-খাওয়া স্যান্ডউইচ খেয়ে ফেলে তাদের খাওয়ার হাত থেকে বাঁচাত, একছুটে ইশকুলের পাশের মুদির দোকানে গিয়ে ইশকুলে টিফিন করার জন্যে রুটি কিনে আনত। কেবল মাস্টারমশাইকে আসতে দেখলে ভয়ে-ভয়ে কেমন-যেন চুপ করে যেত, যদিও ভয় পাওয়ার কোনো কারণই ছিল না।
একটিমাত্র সাংঘাতিক নেশা ছিল তিষ্কার ভারি পাখি ভালোবাসত ও। ওর বাবার ওপর ছিল কবরখানার লাগোয়া গির্জের দেখাশোনার ভার। ওই গির্জেয় একটা ছোট্ট আস্তানা ছিল তাঁর। আস্তানাটা ছিল নানা জাতের পাখি-ভরতি খাঁচায় বোঝাই। তিমুক্কা নিজে পাখি কেনাবেচা করত, এর-তার সঙ্গে বদলাবদলি করত, আবার কবরখানায় জাল কিংবা ফাঁদ পেতে পাখি ধরতও।
একদিন হল কী, ব্যাপারী সিনিউগিন তাঁর ঠাকুমার সমাধি দর্শন করতে এসে দেখতে পেলেন সমাধির পাথরের ফলকের ওপর শণের বীজ ছড়ানো আর একটা টানা দড়িতে-বাঁধা জাল পাতা। অর্থাৎ, পাখি ধরার ফাঁদ তৈরি। সিনিউগিনের নালিশে সেদিন বাপের হাতে খুব একচোট মার খেয়েছিল তিষ্কা। আর আমাদের ধর্ম-শিক্ষার মাস্টারমশাই ফাদার গেন্নাদি বাইবেল-ক্লাসে বিরক্তির সুরে বলেছিলেন: ‘সমাধির উপর প্রস্তরফলক মৃত ব্যক্তির স্মরণেই স্থাপন করা হয়, অন্য কোনো কারণে নয়। সেই ফলকের উপর ফাঁদ পাতা বা অন্য কোনো শিকার ধরার কৌশল রচনা পাপ ও ঈশ্বরনিন্দার সামিল।’
বক্তৃতার মধ্যে তিনি মানবজাতির ইতিহাস থেকে এমন বেশ কয়েকটি উদাহরণ দিলেন যে-সব ক্ষেতে এই ধরনের অধর্মের ফলে অপরাধীর মাথায় দৈবশক্তির কঠোর শাস্তি নেমে এসেছিল।
জনপ্রিয় সংবাদ

চীনের মুনশট এআই: সীমিত চিপ ব্যবহার করেও মার্কিন প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে পাল্লা

ইশকুল (পর্ব-০৫)

০৮:০০:৩৮ অপরাহ্ন, রবিবার, ৬ অক্টোবর ২০২৪
আর্কাদি গাইদার
দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ
একদিন কেতি-কোঁত করে সকালবেলার চা-টা গিলে, কোনোরকমে বইগুলো গুছিয়ে নিয়ে ইশকুলের দিকে দৌড়চ্ছি, এমন সময় পথে দেখা হয়ে গেল তিমুকা শৃকিনের সঙ্গে। তিল্কা আমার ক্লাসের বন্ধু। ছোট্ট ছেলে, ভারি ছটফটে। এমনিতে তিষ্কা শর্তুকিন ছিল নেহাত নিরীহ, গোবেচারা। তার নাকে যখন তখন স্বচ্ছন্দে ঘুষিটা-আশটা বসিয়ে দেয়া চলত, পাল্টা মার খাওয়ার ভয় ছিল না। তিঙ্কা খুশিমনে বন্ধুদের আধ-খাওয়া স্যান্ডউইচ খেয়ে ফেলে তাদের খাওয়ার হাত থেকে বাঁচাত, একছুটে ইশকুলের পাশের মুদির দোকানে গিয়ে ইশকুলে টিফিন করার জন্যে রুটি কিনে আনত। কেবল মাস্টারমশাইকে আসতে দেখলে ভয়ে-ভয়ে কেমন-যেন চুপ করে যেত, যদিও ভয় পাওয়ার কোনো কারণই ছিল না।
একটিমাত্র সাংঘাতিক নেশা ছিল তিষ্কার ভারি পাখি ভালোবাসত ও। ওর বাবার ওপর ছিল কবরখানার লাগোয়া গির্জের দেখাশোনার ভার। ওই গির্জেয় একটা ছোট্ট আস্তানা ছিল তাঁর। আস্তানাটা ছিল নানা জাতের পাখি-ভরতি খাঁচায় বোঝাই। তিমুক্কা নিজে পাখি কেনাবেচা করত, এর-তার সঙ্গে বদলাবদলি করত, আবার কবরখানায় জাল কিংবা ফাঁদ পেতে পাখি ধরতও।
একদিন হল কী, ব্যাপারী সিনিউগিন তাঁর ঠাকুমার সমাধি দর্শন করতে এসে দেখতে পেলেন সমাধির পাথরের ফলকের ওপর শণের বীজ ছড়ানো আর একটা টানা দড়িতে-বাঁধা জাল পাতা। অর্থাৎ, পাখি ধরার ফাঁদ তৈরি। সিনিউগিনের নালিশে সেদিন বাপের হাতে খুব একচোট মার খেয়েছিল তিষ্কা। আর আমাদের ধর্ম-শিক্ষার মাস্টারমশাই ফাদার গেন্নাদি বাইবেল-ক্লাসে বিরক্তির সুরে বলেছিলেন: ‘সমাধির উপর প্রস্তরফলক মৃত ব্যক্তির স্মরণেই স্থাপন করা হয়, অন্য কোনো কারণে নয়। সেই ফলকের উপর ফাঁদ পাতা বা অন্য কোনো শিকার ধরার কৌশল রচনা পাপ ও ঈশ্বরনিন্দার সামিল।’
বক্তৃতার মধ্যে তিনি মানবজাতির ইতিহাস থেকে এমন বেশ কয়েকটি উদাহরণ দিলেন যে-সব ক্ষেতে এই ধরনের অধর্মের ফলে অপরাধীর মাথায় দৈবশক্তির কঠোর শাস্তি নেমে এসেছিল।