০৭:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০) চীন–ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা নীতি বিকৃত করার অভিযোগ বেইজিংয়ের ভারতের পানি সংকটের ছায়ায় পানীয় শিল্প: রাজস্থানে জল নিয়ে বাড়ছে ঝুঁকি ও অসন্তোষ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৭) আমির খসরুর আসন পরিবর্তন, তার আসনে মনোনয়ন পেলেন সাঈদ নোমান এনসিপি ছাড়লেন তাসনিম জারা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সিলেটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নিষিদ্ধ বিড়িসহ যুবক গ্রেপ্তার একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত উত্তোলনে বিলম্ব, এ বছর অর্থ ছাড়ের সুযোগ নেই নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদন: ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ

ইশকুল (পর্ব-১১)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • 90
আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

সুকুমার কুসুমের মতো তোমরা এখানে লালিত হচ্ছ স্নেহশীল মালাকারের যত্নে- রাখা কাচের ঘরে, জীবনের ঝড়ঝাপ্‌টা, দুঃখ-কষ্ট যে কী তা-ই তোমরা জান না, আন্তে-আন্তে তোমরা ফুটে উঠছ শান্তিতে, আর তাই দেখে তোমাদের শিক্ষকদের চোখ যাচ্ছে জুড়িয়ে। কিন্তু ওরা… জীবনের সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করতে যদি ওরা পারেও, তবু ওরা বেড়ে উঠবে অযত্নে, আগাছার মতো, বাতাসের ঝাপ্‌টা খেয়ে- খেয়ে, পথের পাশের ধুলোর সঙ্গে মিশে।’
ভবিষ্যদ্‌বক্তার ঐশ্বরিক মহিমা আর জ্যোতি ছড়াতে-ছড়াতে ফাদার গেন্নাদি যখন ক্লাস ছেড়ে ধীর পায়ে চলে গেলেন, দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে আমি তখন ভাবনায় ডুবে গেলুম।
বললুম, ‘ফেদুকা!’ ‘উ’?’
‘স্বাভাবিক গুণের বিকাশ সম্বন্ধে তোর কী মনে হয় রে?’
‘কিছু না। তোর?’
‘আমার?’
এক মুহূর্ত আমতা-আমতা করে শেষে নিচু গলায় বললুম:
‘আমার কথা যদি বলিস ফেদ্‌কা, আমিও গুণগুলোকে পাথর-চাপ্য দিয়ে রাখতে চাই। ব্যবসাদার কিংবা সরকারী কর্মচারী হয়ে লাভ কী?’
অল্প একটুক্ষণ চুপ করে থেকে ফেকাও স্বীকার করল, ‘জানিস, আমিও তাই করতুম রে। কাচের ঘরের ফুল হয়ে বেড়ে উঠে কী হবে? এক দলা থুে ফেললেই তো সে ফুল ঘাড় লটকে পড়বে। আগাছা, আর যাই হোক, বেশ পোক্ত জিনিস- অন্তত রোদবিষ্টি সহ্য করতে পারে তারা।’
জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০)

ইশকুল (পর্ব-১১)

০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

সুকুমার কুসুমের মতো তোমরা এখানে লালিত হচ্ছ স্নেহশীল মালাকারের যত্নে- রাখা কাচের ঘরে, জীবনের ঝড়ঝাপ্‌টা, দুঃখ-কষ্ট যে কী তা-ই তোমরা জান না, আন্তে-আন্তে তোমরা ফুটে উঠছ শান্তিতে, আর তাই দেখে তোমাদের শিক্ষকদের চোখ যাচ্ছে জুড়িয়ে। কিন্তু ওরা… জীবনের সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করতে যদি ওরা পারেও, তবু ওরা বেড়ে উঠবে অযত্নে, আগাছার মতো, বাতাসের ঝাপ্‌টা খেয়ে- খেয়ে, পথের পাশের ধুলোর সঙ্গে মিশে।’
ভবিষ্যদ্‌বক্তার ঐশ্বরিক মহিমা আর জ্যোতি ছড়াতে-ছড়াতে ফাদার গেন্নাদি যখন ক্লাস ছেড়ে ধীর পায়ে চলে গেলেন, দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে আমি তখন ভাবনায় ডুবে গেলুম।
বললুম, ‘ফেদুকা!’ ‘উ’?’
‘স্বাভাবিক গুণের বিকাশ সম্বন্ধে তোর কী মনে হয় রে?’
‘কিছু না। তোর?’
‘আমার?’
এক মুহূর্ত আমতা-আমতা করে শেষে নিচু গলায় বললুম:
‘আমার কথা যদি বলিস ফেদ্‌কা, আমিও গুণগুলোকে পাথর-চাপ্য দিয়ে রাখতে চাই। ব্যবসাদার কিংবা সরকারী কর্মচারী হয়ে লাভ কী?’
অল্প একটুক্ষণ চুপ করে থেকে ফেকাও স্বীকার করল, ‘জানিস, আমিও তাই করতুম রে। কাচের ঘরের ফুল হয়ে বেড়ে উঠে কী হবে? এক দলা থুে ফেললেই তো সে ফুল ঘাড় লটকে পড়বে। আগাছা, আর যাই হোক, বেশ পোক্ত জিনিস- অন্তত রোদবিষ্টি সহ্য করতে পারে তারা।’