১২:০৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
২৪ ঘন্টায় সোনার দাম বেড়েছে ভরিতে ৪ হাজার টাকার ওপরে এআই বিপ্লবের জন্য শক্তির সংকট: প্রযুক্তি শিল্পের সামনে নতুন চ্যালেঞ্জ চীনা সাঁতারুদের চমক: জাতীয় গেমসে জোরালো পারফরম্যান্স, তরুণ ঝাংয়ের বিশ্বযুব রেকর্ড ভাঙা চীন-আমেরিকা বন্দরের ফি স্থগিত ঘোষণা ও শিপিং তদন্তে বিরতি বিশ্বব্যাপী রোবোটিক্সের উদ্ভাবনে চীনের অগ্রণী ভূমিকা জাতিসংঘের উদ্বেগ: সংঘাত এবং জলবায়ু সংকটে আটকা পড়া শরণার্থীদের জন্য সাহায্য প্রয়োজন ভেনাস উইলিয়ামস প্রকাশ করলেন যুক্তরাষ্ট্রের স্বাস্থ্য বীমার সমস্যা ‘স্মার্ট আই’ ড্রোন প্রকল্প শহরের কার্যক্রমে নতুন মাত্রা যোগ করবে তৈরি পোশাক রপ্তানিতে টানা পতন: অর্ডার কমছে, কারখানা বন্ধ, আশঙ্কায় ব্যবসায়ীরা বাংলাদেশের জন্য মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির ফল কী হতে পারে

ইশকুল (পর্ব-১১)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • 64
আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

সুকুমার কুসুমের মতো তোমরা এখানে লালিত হচ্ছ স্নেহশীল মালাকারের যত্নে- রাখা কাচের ঘরে, জীবনের ঝড়ঝাপ্‌টা, দুঃখ-কষ্ট যে কী তা-ই তোমরা জান না, আন্তে-আন্তে তোমরা ফুটে উঠছ শান্তিতে, আর তাই দেখে তোমাদের শিক্ষকদের চোখ যাচ্ছে জুড়িয়ে। কিন্তু ওরা… জীবনের সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করতে যদি ওরা পারেও, তবু ওরা বেড়ে উঠবে অযত্নে, আগাছার মতো, বাতাসের ঝাপ্‌টা খেয়ে- খেয়ে, পথের পাশের ধুলোর সঙ্গে মিশে।’
ভবিষ্যদ্‌বক্তার ঐশ্বরিক মহিমা আর জ্যোতি ছড়াতে-ছড়াতে ফাদার গেন্নাদি যখন ক্লাস ছেড়ে ধীর পায়ে চলে গেলেন, দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে আমি তখন ভাবনায় ডুবে গেলুম।
বললুম, ‘ফেদুকা!’ ‘উ’?’
‘স্বাভাবিক গুণের বিকাশ সম্বন্ধে তোর কী মনে হয় রে?’
‘কিছু না। তোর?’
‘আমার?’
এক মুহূর্ত আমতা-আমতা করে শেষে নিচু গলায় বললুম:
‘আমার কথা যদি বলিস ফেদ্‌কা, আমিও গুণগুলোকে পাথর-চাপ্য দিয়ে রাখতে চাই। ব্যবসাদার কিংবা সরকারী কর্মচারী হয়ে লাভ কী?’
অল্প একটুক্ষণ চুপ করে থেকে ফেকাও স্বীকার করল, ‘জানিস, আমিও তাই করতুম রে। কাচের ঘরের ফুল হয়ে বেড়ে উঠে কী হবে? এক দলা থুে ফেললেই তো সে ফুল ঘাড় লটকে পড়বে। আগাছা, আর যাই হোক, বেশ পোক্ত জিনিস- অন্তত রোদবিষ্টি সহ্য করতে পারে তারা।’
জনপ্রিয় সংবাদ

২৪ ঘন্টায় সোনার দাম বেড়েছে ভরিতে ৪ হাজার টাকার ওপরে

ইশকুল (পর্ব-১১)

০৮:০০:৩৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

সুকুমার কুসুমের মতো তোমরা এখানে লালিত হচ্ছ স্নেহশীল মালাকারের যত্নে- রাখা কাচের ঘরে, জীবনের ঝড়ঝাপ্‌টা, দুঃখ-কষ্ট যে কী তা-ই তোমরা জান না, আন্তে-আন্তে তোমরা ফুটে উঠছ শান্তিতে, আর তাই দেখে তোমাদের শিক্ষকদের চোখ যাচ্ছে জুড়িয়ে। কিন্তু ওরা… জীবনের সব বাধাবিপত্তি অতিক্রম করতে যদি ওরা পারেও, তবু ওরা বেড়ে উঠবে অযত্নে, আগাছার মতো, বাতাসের ঝাপ্‌টা খেয়ে- খেয়ে, পথের পাশের ধুলোর সঙ্গে মিশে।’
ভবিষ্যদ্‌বক্তার ঐশ্বরিক মহিমা আর জ্যোতি ছড়াতে-ছড়াতে ফাদার গেন্নাদি যখন ক্লাস ছেড়ে ধীর পায়ে চলে গেলেন, দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়ে আমি তখন ভাবনায় ডুবে গেলুম।
বললুম, ‘ফেদুকা!’ ‘উ’?’
‘স্বাভাবিক গুণের বিকাশ সম্বন্ধে তোর কী মনে হয় রে?’
‘কিছু না। তোর?’
‘আমার?’
এক মুহূর্ত আমতা-আমতা করে শেষে নিচু গলায় বললুম:
‘আমার কথা যদি বলিস ফেদ্‌কা, আমিও গুণগুলোকে পাথর-চাপ্য দিয়ে রাখতে চাই। ব্যবসাদার কিংবা সরকারী কর্মচারী হয়ে লাভ কী?’
অল্প একটুক্ষণ চুপ করে থেকে ফেকাও স্বীকার করল, ‘জানিস, আমিও তাই করতুম রে। কাচের ঘরের ফুল হয়ে বেড়ে উঠে কী হবে? এক দলা থুে ফেললেই তো সে ফুল ঘাড় লটকে পড়বে। আগাছা, আর যাই হোক, বেশ পোক্ত জিনিস- অন্তত রোদবিষ্টি সহ্য করতে পারে তারা।’