০৭:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ইশকুল (পর্ব-১২)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
  • 20
আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

বললুম, ‘আচ্ছা, ফেদুকা, ফাদার গেন্নাদি ওই যে বললেন ‘পরজন্মে এর জবাবদিহি করতে হবে’ সে-ব্যাপারে কী বলিস? সেই জবাবদিহিই যদি করতে হয় তাহলে পরজন্মের পরোয়া করতে যাই কেন?’
কথাটা মাথায় ঢুকতে একটু সময় লাগল। এ-জন্মের পাপের শান্তি কী করে এড়ানো যায়, মনে হল সে-সম্বন্ধে ফেদ্‌কারও ধারণা অস্পষ্ট। তার উত্তরটাও হল কেমন এড়িয়ে-যাওয়া গোছের। 
শান্তি তো আর এখুনি হচ্ছে না। সময় হলে ভেবে-চিন্তে যা হোক কিছু বের করা যাবে।’ দেখা গেল, প্রথম শ্রেণীর ছাত্র সেই তুপিকভ-ছোকরা এক নম্বরের একটি বুদ্ধ। সে জানতই না ফ্রন্টে যেতে গেলে ঠিক কোন্ দিকে যেতে হবে। তিন দিনের দিন সে ধরা পড়ল আবুজামাস থেকে ষাট মাইলের মধ্যে, নিজনি নভগরোদ যাবার রাস্তায়।
শোনা গেল, বাড়িতে সবাই ওর যত্ন-আত্তিতে নাকি ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কত রকমের উপহার যে ও পেল সবার কাছ থেকে, তার ইয়ত্তা নেই। মাকে ও দিব্যি গেলে কথা দিল যে আর কখনও বাড়ি ছেড়ে যাবে না, আর ঐ-জন্যে গরমের সময় ও একটা এয়ার-রাইফেল উপহার পাবে, তাও জানা গেল। ইশকুলে অবিশ্যি তুপিকভ সকলের ঠাট্টার পাত্র হয়ে দাঁড়াল।
ছেলেরা ভেংচি কেটে অবিশ্বাসের সুরে বললে, ‘শহরের এখানে-সেখানে দিন তিনেক পালিয়ে থাকলে যদি সত্যিকার রাইফেল পাওয়া যায়, তাহলে তাতে কে না রাজি হবে।’ আমাদের ভূগোলের মাস্টারমশাই মালিনোভূস্কি, যাঁকে আমরা আড়ালে ডাকতুম ‘খ্যাপা’ বলে, তিনি তুপিককে একদিন কড়া ধমক দিলেন। এটা আমরা মোটেই আশা করি নি।

ইশকুল (পর্ব-১২)

০৮:০০:৩৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১২ অক্টোবর ২০২৪
আর্কাদি গাইদার

দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ

বললুম, ‘আচ্ছা, ফেদুকা, ফাদার গেন্নাদি ওই যে বললেন ‘পরজন্মে এর জবাবদিহি করতে হবে’ সে-ব্যাপারে কী বলিস? সেই জবাবদিহিই যদি করতে হয় তাহলে পরজন্মের পরোয়া করতে যাই কেন?’
কথাটা মাথায় ঢুকতে একটু সময় লাগল। এ-জন্মের পাপের শান্তি কী করে এড়ানো যায়, মনে হল সে-সম্বন্ধে ফেদ্‌কারও ধারণা অস্পষ্ট। তার উত্তরটাও হল কেমন এড়িয়ে-যাওয়া গোছের। 
শান্তি তো আর এখুনি হচ্ছে না। সময় হলে ভেবে-চিন্তে যা হোক কিছু বের করা যাবে।’ দেখা গেল, প্রথম শ্রেণীর ছাত্র সেই তুপিকভ-ছোকরা এক নম্বরের একটি বুদ্ধ। সে জানতই না ফ্রন্টে যেতে গেলে ঠিক কোন্ দিকে যেতে হবে। তিন দিনের দিন সে ধরা পড়ল আবুজামাস থেকে ষাট মাইলের মধ্যে, নিজনি নভগরোদ যাবার রাস্তায়।
শোনা গেল, বাড়িতে সবাই ওর যত্ন-আত্তিতে নাকি ভীষণ ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। কত রকমের উপহার যে ও পেল সবার কাছ থেকে, তার ইয়ত্তা নেই। মাকে ও দিব্যি গেলে কথা দিল যে আর কখনও বাড়ি ছেড়ে যাবে না, আর ঐ-জন্যে গরমের সময় ও একটা এয়ার-রাইফেল উপহার পাবে, তাও জানা গেল। ইশকুলে অবিশ্যি তুপিকভ সকলের ঠাট্টার পাত্র হয়ে দাঁড়াল।
ছেলেরা ভেংচি কেটে অবিশ্বাসের সুরে বললে, ‘শহরের এখানে-সেখানে দিন তিনেক পালিয়ে থাকলে যদি সত্যিকার রাইফেল পাওয়া যায়, তাহলে তাতে কে না রাজি হবে।’ আমাদের ভূগোলের মাস্টারমশাই মালিনোভূস্কি, যাঁকে আমরা আড়ালে ডাকতুম ‘খ্যাপা’ বলে, তিনি তুপিককে একদিন কড়া ধমক দিলেন। এটা আমরা মোটেই আশা করি নি।