১০:৪৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুলাই ২০২৫

বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কমেছে খাদ্য ও সাধারণ মূল্যস্ফীতি

  • Sarakhon Report
  • ১১:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪
  • 24

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “এত বৃষ্টি তবু গরম কেন”

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম উপকূল এলাকায়। রাজধানীতেও অনেকটা বৃষ্টি হয়েছে এবং আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এত বৃষ্টির পরও কিন্তু গরম কমছে না। এর কারণ হিসেবে এ সময়ের বৃষ্টির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

রাজধানীতে গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে, ১২০ মিলিমিটার। কক্সবাজারে ১১৪ ও নোয়াখালীর মাইজদীতে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এত বৃষ্টির পরও একটা ভ্যাপসা গরম রয়ে গেছে। কেন? এর উত্তরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেশে বৃষ্টি সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি হলো “শীতল বৃষ্টি”, আরেকটি “উষ্ণ বৃষ্টি”। মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ শুরু হওয়ার আগে, অর্থাৎ জুন মাসের আগে যে বৃষ্টি হয়, তা “শীতল বৃষ্টি”। ওই সময় প্রচণ্ড গরম থাকে, কিন্তু বৃষ্টির সৃষ্টি হয় অনেক ওপর থাকে। বৃষ্টি তাই শীতল হয়। গরম হাওয়া শীতল হয়ে যায় বৃষ্টির প্রভাবে।’

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “প্রতি কেজি ১০ ডলার, পাঁচ চালানে ভারতে গেল ২৭৬ টন ইলিশ “

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ চালানে ভারতে গেল ২৭৬ মেট্রিক টন ইলিশ। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ডলার, যা বাংলাদেশি ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে।

পাঁচ চালানের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ৫৪ মেট্রিক টন, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ৪৫ মেট্রিক টন, রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ১৯ মেট্রিক টন, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৮৯ মেট্রিক টন এবং মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ৬৯ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

এদিকে, আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রপ্তানি প্রসঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিদর্শক আসওয়াদুল আলম জানান, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনো সেই পরিপত্র অনুযায়ীই ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ইলিশের দাম সমন্বয় হতে পারে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কমেছে খাদ্য ও সাধারণ মূল্যস্ফীতি”

নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সরকারি হিসাব অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত মাসে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দশমিক ৯৬ শতাংশীয় পয়েন্ট কমলেও দুই অংকের ঘরেই রয়ে গেছে। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দশমিক ২৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে।

গতকাল মাসিক হালনাগাদ ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেপ্টেম্বরের সিপিআইয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে সব ধরনের মূল্যস্ফীতি হ্রাসের চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির বাস্কেটে খাদ্যপণ্যের ওয়েট বা ভার এখনো কম। এখানে পদ্ধতিগত কোনো ইস্যু থাকতে পারে। তাই খাদ্যপণ্যের দাম না কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে যাচ্ছে। এসব পরিসংখ্যান মনিটরিং করার জন্য একটি স্বাধীন কমিটি থাকা উচিত, যেন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিবিএস আগের মতোই আছে, কোনো পরিবর্তন হয়নি। আবার বাজারে সিন্ডিকেটও সক্রিয় রয়েছে।

বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই ও আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের শেষ মাস জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরে সর্বোচ্চ অবস্থানে গিয়ে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে ঠেকেছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের মাসেই (আগস্ট) সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নামে, খাদ্য মূল্যস্ফীতিও নামে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম“তিন দিন পর সচল আশুলিয়া মহাসড়ক”

সাভারের আশুলিয়ায় সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত সোমবার থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত টানা ৫৪ ঘণ্টা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। গতকাল দুপুর ১টার দিকে যৌথবাহিনীর আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ  শ্রমিকরা। এর আগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দফায় দফায় অবরোধকারী শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করেন।

পরে দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারখানা মালিককে আটক করে পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেয়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে পাওনাদী পরিশোধের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। এই অবরোধের কারণে পার্শ্ববর্তী বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর সড়ক ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছিলো। যানজটের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিল ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বার্ডস গ্রুপের মালিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর সড়কটি যান চলাচল শুরু হয়েছে। অবরোধকারী শ্রমিকরা জানায়, আমরা টানা ৫৪ ঘণ্টা ধরে সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছি পাওনা পরিশোধের জন্য। কিন্তু কোনো পক্ষই আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। বুধবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয় বার্ডস গ্রুপের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যানজটের কারণে তাকে কারখানায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তা ফাঁকা করতে হবে। এমন খবরে আমরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার লে-অফ করা বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকদের সার্ভিস বেনেফিট ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দিন ধার্য করা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ কোনো ধরনের পাওনাদী পরিশোধ না করে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি তিন মাস সময় চেয়ে কারখানার গেটে একটি নোটিশও সাঁটিয়ে দেন।

সকল শ্রমিক পাওনাদী পাওয়ার আশায় সকালে কারখানায় গেলে নোটিশে আরও তিন মাস সময় চাওয়ার বিষয়টি দেখতে পায় শ্রমিকরা। এ সময় উত্তেজিত হয়ে সকল শ্রমিক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বুড়িরবাজার রোড এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। অবরোধের টানা ৫৪ ঘণ্টা পর মালিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সড়ক ছেড়ে দেয় শ্রমিকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্ডস গ্রুপের এক শ্রমিক বলেন, আমাদের চুক্তির দিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিশ্বাসযোগ্য লোকজন ছিলেন। কিন্তু সেই চুক্তিও ভঙ্গ করেছে মালিকপক্ষ।

 

বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কমেছে খাদ্য ও সাধারণ মূল্যস্ফীতি

১১:০৪:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “এত বৃষ্টি তবু গরম কেন”

রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গতকাল বুধবার সন্ধ্যার পর থেকে প্রচুর বৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যে বেশি বৃষ্টি হয়েছে দেশের দক্ষিণ–পূর্বাঞ্চলের চট্টগ্রাম উপকূল এলাকায়। রাজধানীতেও অনেকটা বৃষ্টি হয়েছে এবং আজ বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই বৃষ্টি হচ্ছে। এত বৃষ্টির পরও কিন্তু গরম কমছে না। এর কারণ হিসেবে এ সময়ের বৃষ্টির বিশেষ বৈশিষ্ট্যের কথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন আবহাওয়াবিদেরা।

রাজধানীতে গতকাল দিবাগত রাত ১২টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত ৪৪ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত দেশে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চট্টগ্রামে, ১২০ মিলিমিটার। কক্সবাজারে ১১৪ ও নোয়াখালীর মাইজদীতে ১০৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে।

এত বৃষ্টির পরও একটা ভ্যাপসা গরম রয়ে গেছে। কেন? এর উত্তরে আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. ওমর ফারুক আজ সকালে প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমাদের দেশে বৃষ্টি সাধারণত দুই ধরনের হয়। একটি হলো “শীতল বৃষ্টি”, আরেকটি “উষ্ণ বৃষ্টি”। মৌসুমি বায়ুপ্রবাহ শুরু হওয়ার আগে, অর্থাৎ জুন মাসের আগে যে বৃষ্টি হয়, তা “শীতল বৃষ্টি”। ওই সময় প্রচণ্ড গরম থাকে, কিন্তু বৃষ্টির সৃষ্টি হয় অনেক ওপর থাকে। বৃষ্টি তাই শীতল হয়। গরম হাওয়া শীতল হয়ে যায় বৃষ্টির প্রভাবে।’

 

 

ইত্তেফাক এর একটি শিরোনাম “প্রতি কেজি ১০ ডলার, পাঁচ চালানে ভারতে গেল ২৭৬ টন ইলিশ “

যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে পাঁচ চালানে ভারতে গেল ২৭৬ মেট্রিক টন ইলিশ। প্রতি কেজি ইলিশের রপ্তানি মূল্য ১০ ডলার, যা বাংলাদেশি ১ হাজার ১৮০ টাকা দরে।

পাঁচ চালানের মধ্যে গত বৃহস্পতিবার (২৬ সেপ্টেম্বর) ৫৪ মেট্রিক টন, শনিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ৪৫ মেট্রিক টন, রবিবার (২৯ সেপ্টেম্বর) ১৯ মেট্রিক টন, সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ৮৯ মেট্রিক টন এবং মঙ্গলবার (১ অক্টোবর) ৬৯ মেট্রিক টন ইলিশ ভারতে রপ্তানি হয়েছে।

এদিকে, আগামী ১৩ অক্টোবর থেকে ৩ নভেম্বর পর্যন্ত ইলিশ আহরণ, পরিবহন, বিপণন ও মজুদ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার।

রপ্তানি প্রসঙ্গে বেনাপোল স্থলবন্দরের মৎস্য মৎস্য পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ কেন্দ্রের পরিদর্শক আসওয়াদুল আলম জানান, ইলিশ রপ্তানির পরিপত্রটি কয়েক বছর আগের। তখনকার বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে প্রতি কেজি ইলিশ ১০ ডলার রপ্তানি মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে। এখনো সেই পরিপত্র অনুযায়ীই ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে। তবে দেশীয় বাজারদরের সঙ্গে মিল রেখে ইলিশের দাম সমন্বয় হতে পারে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বাজার ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও কমেছে খাদ্য ও সাধারণ মূল্যস্ফীতি”

নিত্যপণ্যের দাম ঊর্ধ্বমুখী থাকলেও সরকারি হিসাব অনুযায়ী সেপ্টেম্বরে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমেছে। গত মাসে দেশের সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৯২ শতাংশে। অন্যদিকে খাদ্য মূল্যস্ফীতি দশমিক ৯৬ শতাংশীয় পয়েন্ট কমলেও দুই অংকের ঘরেই রয়ে গেছে। আর খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি দশমিক ২৪ শতাংশীয় পয়েন্ট কমে দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ৫০ শতাংশে।

গতকাল মাসিক হালনাগাদ ভোক্তা মূল্যসূচকের (সিপিআই) তথ্য প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। সেপ্টেম্বরের সিপিআইয়ের হালনাগাদ প্রতিবেদনে সব ধরনের মূল্যস্ফীতি হ্রাসের চিত্র উঠে এসেছে।

বিশ্লেষকরা বলছেন, মূল্যস্ফীতির বাস্কেটে খাদ্যপণ্যের ওয়েট বা ভার এখনো কম। এখানে পদ্ধতিগত কোনো ইস্যু থাকতে পারে। তাই খাদ্যপণ্যের দাম না কমলেও খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে যাচ্ছে। এসব পরিসংখ্যান মনিটরিং করার জন্য একটি স্বাধীন কমিটি থাকা উচিত, যেন স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা যায়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, বিবিএস আগের মতোই আছে, কোনো পরিবর্তন হয়নি। আবার বাজারে সিন্ডিকেটও সক্রিয় রয়েছে।

বিবিএসের হিসাব অনুযায়ী, জুলাই ও আগস্টের তুলনায় সেপ্টেম্বরে মূল্যস্ফীতি কিছুটা কমেছে। আওয়ামী লীগ সরকারের শাসনামলের শেষ মাস জুলাইয়ে মূল্যস্ফীতি উঠেছিল ১১ দশমিক ৬৬ শতাংশে। আর খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১৩ বছরে সর্বোচ্চ অবস্থানে গিয়ে ১৪ দশমিক ১০ শতাংশে ঠেকেছিল। তবে অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের মাসেই (আগস্ট) সাধারণ মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৪৯ শতাংশে নামে, খাদ্য মূল্যস্ফীতিও নামে ১১ দশমিক ৩৬ শতাংশে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম“তিন দিন পর সচল আশুলিয়া মহাসড়ক”

সাভারের আশুলিয়ায় সার্ভিস বেনিফিট ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে গত সোমবার থেকে গতকাল দুপুর পর্যন্ত টানা ৫৪ ঘণ্টা নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকরা। গতকাল দুপুর ১টার দিকে যৌথবাহিনীর আশ্বাসে অবরোধ প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বিক্ষুব্ধ  শ্রমিকরা। এর আগে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা দফায় দফায় অবরোধকারী শ্রমিকদের বুঝিয়ে সড়ক থেকে সরানোর চেষ্টা করেন।

পরে দুপুর ১টার দিকে সেনাবাহিনীর সদস্যরা কারখানা মালিককে আটক করে পাওনা পরিশোধের আশ্বাস দিলে শ্রমিকরা রাস্তা ছেড়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেয়। সোমবার সকাল ৯টার দিকে পাওনাদী পরিশোধের দাবিতে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কটি অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে শ্রমিকরা। এই অবরোধের কারণে পার্শ্ববর্তী বাইপাইল আব্দুল্লাহপুর সড়ক ও ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে প্রায় ৩০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজট সৃষ্টি হয়েছিলো। যানজটের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছিল ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ও নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়ক ও বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক। আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু বকর সিদ্দিক বলেন, বার্ডস গ্রুপের মালিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে দুপুর ১টার দিকে আন্দোলনরত শ্রমিকরা সড়ক ছেড়ে দিয়েছেন। এরপর সড়কটি যান চলাচল শুরু হয়েছে। অবরোধকারী শ্রমিকরা জানায়, আমরা টানা ৫৪ ঘণ্টা ধরে সড়কে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছি পাওনা পরিশোধের জন্য। কিন্তু কোনো পক্ষই আমাদের সঙ্গে কথা বলেনি। বুধবার প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমাদের জানানো হয় বার্ডস গ্রুপের মালিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যানজটের কারণে তাকে কারখানায় আনা সম্ভব হচ্ছে না। রাস্তা ফাঁকা করতে হবে। এমন খবরে আমরা সড়ক অবরোধ প্রত্যাহার করেছি। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সোমবার লে-অফ করা বার্ডস গ্রুপের শ্রমিকদের সার্ভিস বেনেফিট ও ক্ষতিপূরণ দেয়ার দিন ধার্য করা ছিল। কিন্তু মালিকপক্ষ কোনো ধরনের পাওনাদী পরিশোধ না করে শ্রমিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়। এমনকি তিন মাস সময় চেয়ে কারখানার গেটে একটি নোটিশও সাঁটিয়ে দেন।

সকল শ্রমিক পাওনাদী পাওয়ার আশায় সকালে কারখানায় গেলে নোটিশে আরও তিন মাস সময় চাওয়ার বিষয়টি দেখতে পায় শ্রমিকরা। এ সময় উত্তেজিত হয়ে সকল শ্রমিক নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের বুড়িরবাজার রোড এলাকা অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। অবরোধের টানা ৫৪ ঘণ্টা পর মালিককে গ্রেপ্তারের খবর পেয়ে সড়ক ছেড়ে দেয় শ্রমিকরা। নাম প্রকাশ না করার শর্তে বার্ডস গ্রুপের এক শ্রমিক বলেন, আমাদের চুক্তির দিন প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ বিশ্বাসযোগ্য লোকজন ছিলেন। কিন্তু সেই চুক্তিও ভঙ্গ করেছে মালিকপক্ষ।