০৭:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০) চীন–ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা নীতি বিকৃত করার অভিযোগ বেইজিংয়ের ভারতের পানি সংকটের ছায়ায় পানীয় শিল্প: রাজস্থানে জল নিয়ে বাড়ছে ঝুঁকি ও অসন্তোষ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৭) আমির খসরুর আসন পরিবর্তন, তার আসনে মনোনয়ন পেলেন সাঈদ নোমান এনসিপি ছাড়লেন তাসনিম জারা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সিলেটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নিষিদ্ধ বিড়িসহ যুবক গ্রেপ্তার একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত উত্তোলনে বিলম্ব, এ বছর অর্থ ছাড়ের সুযোগ নেই নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদন: ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ

স্বদেশ রায়ের কবিতা

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৫০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪
  • 79

পুশ ওয়াশে চলে গেছে মান্ধাতা আমল

স্বদেশ রায়

তারাপদ রায় ছিলেন তাঁর মান্ধাতা উপন্যাসের

নায়কের মতোই মান্ধাতা আমলের শেষ মানুষটি।

হয়ত সে কারনেই তিনি বলাই বাবুর কাছে

জানতে পেরেছিলেন- সকলে যাকে কৃষ্ণচূড়া বলে

যত্ন আত্তি করছে, সেটা আসলে বানরলাঠি গাছ।

বলাইবাবুও নিশ্চয়ই মান্ধাতার আমালেরই কেউ

-তাই চিনেছিলেন বানরলাঠি।

এখন যত দামী গাড়ি হাঁকিয়ে রাস্তা বেয়ে

যেই চলে যাক না কেন, তাকে তো আর বলে দেবার কেউ নেই-

কোনটা কৃষ্ণচূড়া আর কোনটা বানরলাঠি।

তবে সকলের আদর যত্মের কৃষ্ণচূড়া যখন বানরলাঠিই হয়েছিলো,

তাহলে এতদিনে বানরলাঠিরই চারা ও বুড়োগাছ

সবই সংখ্যায় বেশি।

আর তারা মান্ধাতার আমলের লোক হয়েও যখন

নিজদেশের খেকি কুকুর চিনতে পারেনি

তখন দুদিন জম্ম নিয়ে কীভাবে

চিনবে- বকলেস পরা কুকুরগুলোর মধ্যে কোনটা খেকি

আর কোনটা এলসেসিয়ান।

মান্ধাতার আমল তো পুশ ওয়াশের সঙ্গেই চলে গেছে-

তাই এখন আর কৃষ্ণচূড়া বা এলসেসিয়ান চিনেও কী লাভ?

বানরলাঠি আর খেকিই হোক না সকলের যত্ন আত্তির।

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০)

স্বদেশ রায়ের কবিতা

০৪:৫০:২৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৪

পুশ ওয়াশে চলে গেছে মান্ধাতা আমল

স্বদেশ রায়

তারাপদ রায় ছিলেন তাঁর মান্ধাতা উপন্যাসের

নায়কের মতোই মান্ধাতা আমলের শেষ মানুষটি।

হয়ত সে কারনেই তিনি বলাই বাবুর কাছে

জানতে পেরেছিলেন- সকলে যাকে কৃষ্ণচূড়া বলে

যত্ন আত্তি করছে, সেটা আসলে বানরলাঠি গাছ।

বলাইবাবুও নিশ্চয়ই মান্ধাতার আমালেরই কেউ

-তাই চিনেছিলেন বানরলাঠি।

এখন যত দামী গাড়ি হাঁকিয়ে রাস্তা বেয়ে

যেই চলে যাক না কেন, তাকে তো আর বলে দেবার কেউ নেই-

কোনটা কৃষ্ণচূড়া আর কোনটা বানরলাঠি।

তবে সকলের আদর যত্মের কৃষ্ণচূড়া যখন বানরলাঠিই হয়েছিলো,

তাহলে এতদিনে বানরলাঠিরই চারা ও বুড়োগাছ

সবই সংখ্যায় বেশি।

আর তারা মান্ধাতার আমলের লোক হয়েও যখন

নিজদেশের খেকি কুকুর চিনতে পারেনি

তখন দুদিন জম্ম নিয়ে কীভাবে

চিনবে- বকলেস পরা কুকুরগুলোর মধ্যে কোনটা খেকি

আর কোনটা এলসেসিয়ান।

মান্ধাতার আমল তো পুশ ওয়াশের সঙ্গেই চলে গেছে-

তাই এখন আর কৃষ্ণচূড়া বা এলসেসিয়ান চিনেও কী লাভ?

বানরলাঠি আর খেকিই হোক না সকলের যত্ন আত্তির।