০৫:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০) চীন–ভারত সম্পর্ক ঘনিষ্ঠ হওয়ায় উদ্বিগ্ন যুক্তরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা নীতি বিকৃত করার অভিযোগ বেইজিংয়ের ভারতের পানি সংকটের ছায়ায় পানীয় শিল্প: রাজস্থানে জল নিয়ে বাড়ছে ঝুঁকি ও অসন্তোষ প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৩৪৭) আমির খসরুর আসন পরিবর্তন, তার আসনে মনোনয়ন পেলেন সাঈদ নোমান এনসিপি ছাড়লেন তাসনিম জারা থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার মধ্যে ৭২ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি চুক্তি সিলেটে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় নিষিদ্ধ বিড়িসহ যুবক গ্রেপ্তার একীভূত পাঁচ ব্যাংকের আমানত উত্তোলনে বিলম্ব, এ বছর অর্থ ছাড়ের সুযোগ নেই নিউ ইয়র্ক টাইমস প্রতিবেদন: ধর্ম অবমাননার অভিযোগে হিন্দু শ্রমিককে পিটিয়ে হত্যা, বাংলাদেশে সহিংসতা নিয়ে উদ্বেগ

ইশকুল (পর্ব-২৩)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪
  • 85

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

ড্রেডনট চালাচ্ছিলুম আমি আর ফেক্কা। আমাদের পেছনে সম্ভ্রম নিয়ে বেশ খানিকটা তফাত রেখে ভেসে আসছিল বেড়ার গেটটা। ওটা ছিল আমাদের সাজসরঞ্জাম বইবার জাহাজ।

আমাদের নৌ-বাহিনী নিজেদের শক্তিসামর্থ্য সম্বন্ধে সচেতন থেকে পুকুরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এগিয়ে গেল। তারপর শত্রু-তীরভূমির কাছ-ঘে’ষে চলতে লাগল।

কিন্তু চোঙার মধ্যে দিয়ে কথা বলে ও সংকেত দিয়ে মিথ্যেই আমরা শত্রুকে চ্যালেঞ্জ জানাতে লাগলুম- লড়াই করতে রাজি হল না শত্রু; আর কী লজ্জার কথা, একটা আধ-পচা গাছের গুড়ি দিয়ে আড়াল-করা একটা উপসাগরে লুকিয়ে রইল। হঠাৎ ওদের তীরবর্তী কামানশ্রেণী অন্ধ আক্রোশে আমাদের জাহাজের ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করল।

কিন্তু আমরা তক্ষুনি জাহাজগুলোকে ওদের কামানের আওতার বাইরে নিয়ে এলুম, তারপর ধীরেসুস্থে, কোনো ক্ষতিস্বীকার না করে জাহাজগুলো ভেড়ালুম বন্দরে। ইয়াঙ্কা সুক্কারন্তেইনের পিঠে অবিশ্যি একটা আন্ত আলু এসে পড়েছিল, কিন্তু তাতে যে সামান্য আঘাত লাগল তাকে আমরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনলুম না।

জাহাজ নিয়ে ফিরে আসতে-আসতে আমরা চেচিয়ে বললুম, ‘ও-হো-হো! দুয়ো, দুয়ো! বেরিয়ে এসে লড়াই করার সাহস নেই!’

‘আরে, যা, যা! আমরা ঠিকই বেরিয়ে আসব। অত বড়াই কিসের? তোদের দেখে ভয় পাব, তবেই হয়েছে!’

‘যা, যা, নিজেদের ওই বলে বুঝ দিগে! ভিতু বেড়াল কোথাকার!’

নিরাপদে বন্দরে ঢুকলুম আমরা। নোঙর ফেললুম। তারপর জাহাজগুলোকে শেকল দিয়ে শক্ত করে বেধে লাফিয়ে পাড়ে নামলুম।

সেদিন সন্ধেয় ফেক্কার সঙ্গে আমার প্রায় ঝগড়া বাধার যোগাড়। নৌবহরের কম্যান্ডার কে হবে তা আমরা আগে থেকে ঠিক করে রাখি নি। আমি প্রথমে প্রস্তাব করেছিলুম যে ফেকা সাজসরঞ্জামের জাহাজটা চালাক। অবজ্ঞাভরে একদলা থুথু ফেলে ফেক্কা আমার সে-প্রস্তাব নাকচ করে দিল। তদুপরি আমি ওকে একই সঙ্গে জাহাজঘাটার ক্যাপ্টেন, তীরবর্তী কামানশ্রেণীর পরিচালক, আর আমাদের বিমানবাহিনী হলেই ওকে বিমানবাহিনীরও কর্তা করতে রাজি হয়ে গেলুম। কিন্তু বিমানবাহিনীর কর্তার পদও ফেক্কাকে টলাতে পারল না। ও চাইল নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল হতে। নইলে, ও ভয় দেখাল ও শত্রুপক্ষে যোগ দেবে।

 

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৮০)

ইশকুল (পর্ব-২৩)

০৮:০০:৩১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

চতুর্থ পরিচ্ছেদ

ড্রেডনট চালাচ্ছিলুম আমি আর ফেক্কা। আমাদের পেছনে সম্ভ্রম নিয়ে বেশ খানিকটা তফাত রেখে ভেসে আসছিল বেড়ার গেটটা। ওটা ছিল আমাদের সাজসরঞ্জাম বইবার জাহাজ।

আমাদের নৌ-বাহিনী নিজেদের শক্তিসামর্থ্য সম্বন্ধে সচেতন থেকে পুকুরের মাঝামাঝি পর্যন্ত এগিয়ে গেল। তারপর শত্রু-তীরভূমির কাছ-ঘে’ষে চলতে লাগল।

কিন্তু চোঙার মধ্যে দিয়ে কথা বলে ও সংকেত দিয়ে মিথ্যেই আমরা শত্রুকে চ্যালেঞ্জ জানাতে লাগলুম- লড়াই করতে রাজি হল না শত্রু; আর কী লজ্জার কথা, একটা আধ-পচা গাছের গুড়ি দিয়ে আড়াল-করা একটা উপসাগরে লুকিয়ে রইল। হঠাৎ ওদের তীরবর্তী কামানশ্রেণী অন্ধ আক্রোশে আমাদের জাহাজের ওপর গোলাবর্ষণ শুরু করল।

কিন্তু আমরা তক্ষুনি জাহাজগুলোকে ওদের কামানের আওতার বাইরে নিয়ে এলুম, তারপর ধীরেসুস্থে, কোনো ক্ষতিস্বীকার না করে জাহাজগুলো ভেড়ালুম বন্দরে। ইয়াঙ্কা সুক্কারন্তেইনের পিঠে অবিশ্যি একটা আন্ত আলু এসে পড়েছিল, কিন্তু তাতে যে সামান্য আঘাত লাগল তাকে আমরা ধর্তব্যের মধ্যেই আনলুম না।

জাহাজ নিয়ে ফিরে আসতে-আসতে আমরা চেচিয়ে বললুম, ‘ও-হো-হো! দুয়ো, দুয়ো! বেরিয়ে এসে লড়াই করার সাহস নেই!’

‘আরে, যা, যা! আমরা ঠিকই বেরিয়ে আসব। অত বড়াই কিসের? তোদের দেখে ভয় পাব, তবেই হয়েছে!’

‘যা, যা, নিজেদের ওই বলে বুঝ দিগে! ভিতু বেড়াল কোথাকার!’

নিরাপদে বন্দরে ঢুকলুম আমরা। নোঙর ফেললুম। তারপর জাহাজগুলোকে শেকল দিয়ে শক্ত করে বেধে লাফিয়ে পাড়ে নামলুম।

সেদিন সন্ধেয় ফেক্কার সঙ্গে আমার প্রায় ঝগড়া বাধার যোগাড়। নৌবহরের কম্যান্ডার কে হবে তা আমরা আগে থেকে ঠিক করে রাখি নি। আমি প্রথমে প্রস্তাব করেছিলুম যে ফেকা সাজসরঞ্জামের জাহাজটা চালাক। অবজ্ঞাভরে একদলা থুথু ফেলে ফেক্কা আমার সে-প্রস্তাব নাকচ করে দিল। তদুপরি আমি ওকে একই সঙ্গে জাহাজঘাটার ক্যাপ্টেন, তীরবর্তী কামানশ্রেণীর পরিচালক, আর আমাদের বিমানবাহিনী হলেই ওকে বিমানবাহিনীরও কর্তা করতে রাজি হয়ে গেলুম। কিন্তু বিমানবাহিনীর কর্তার পদও ফেক্কাকে টলাতে পারল না। ও চাইল নৌবাহিনীর অ্যাডমিরাল হতে। নইলে, ও ভয় দেখাল ও শত্রুপক্ষে যোগ দেবে।