০৬:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৩ জুলাই ২০২৫

৬ লাখ চালকের লাইসেন্স আটকা

  • Sarakhon Report
  • ১০:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪
  • 23

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “৬ লাখ চালকের লাইসেন্স আটকা”

টাকা জমা দেওয়া আছে। পরীক্ষাও শেষ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাজ বাকি শুধু একটি, ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করে গ্রাহককে দেওয়া। এই সাধারণ কাজটিই করতে পারছে না সরকারি এই সংস্থা। ফলে সোয়া ছয় লাখের বেশি মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছেন। কারও কারও অপেক্ষা তিন বছরের।

মানুষের এই ভোগান্তি তৈরি হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আমলে। অভিযোগ রয়েছে, তখন পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার চেষ্টার কারণে জটিলতা তৈরি হয়। সেই থেকে ভুগছেন মানুষ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড ব্যবস্থাই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বদলে দেওয়া হবে সাধারণ মানের প্লাস্টিকের পলিভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি) কার্ড।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “গোপন তদন্তের মুখে আওয়ামী লীগ আমলের পুলিশ ক্যাডাররা”

ছয়টি বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ খুঁজতে তাদের বিষয়ে আবারও পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে। এজন্য সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করতে সরকারের এই উদ্যোগ।

পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে যাওয়া ছয়টি বিসিএস হলো ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১তম। এসব বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের আটটি তথ্য যাচাই করা হবে। পাশাপাশি তার রাজনৈতিক পরিচয়, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ভূমিকা দেখা হবে।

গত ২০ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখা (এসসি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লিখিত ছয়টি বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জীবনবৃত্তান্ত পুনরায় যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কম নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে কর্মকর্তার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র, সচল একাধিক ফোন নম্বর, ই-মেইল, ফেসবুক, টিআইএন নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বর সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সবার ওপরে ছিল কক্সবাজার”

বাংলাদেশে গত এক দশকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের আলোচনায় এসেছে বারবার। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে সমুদ্র-তীরবর্তী সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে। এ সময় শুধু এখানেই বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু হয় ২০৬ জনের। কক্সবাজার ছাড়াও এ তালিকায় ওপরের দিকে থাকা অন্য জেলাগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, খুলনা ও যশোর। সারা দেশে বন্দুকযুদ্ধে মোট নিহতের ৬০ শতাংশেরই প্রাণহানি হয়েছে এ কয়েকটি জেলায়।

যদিও প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের ভাষ্যমতে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা পুলিশের পরিসংখ্যানে উঠে আসা তথ্যের তুলনায় কয়েক গুণ বেশিও হতে পারে। এসব জেলার স্থানীয় বাসিন্দা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলো যেখানে মাদক, চোরাচালান বা এ ধরনের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিস্তার ঘটেছে বেশি, সেখানেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে বেশি।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে মূলত ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও এর সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যু এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। সেক্ষেত্রে পরে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে মাত্রা বেড়েছে অপহরণ ও গুমের।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “রাষ্ট্রপতি অপসারণে রাজি নয় বিএনপি, ছাত্র নেতৃত্ব অনড়”

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ নিয়ে দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘রাষ্ট্রপতি অপসারণে রাজি নয় বিএনপি, ছাত্র নেতৃত্ব অনড়’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবিধানিক শূন্যতার ‘আশঙ্কায়’ আওয়ামী লীগের মনোনীত রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে রাজি হয়নি বিএনপি। দলটি সময় নেওয়ার কৌশল নিলেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতারা রাষ্ট্রপতিকে সরাতে অনড় অবস্থানেই রয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার এবং ছাত্র নেতৃত্বের সূত্র সমকালকে আরও জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের সব শক্তির ঐক্যের স্বার্থে বিএনপিকে রাজি করাতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চলবে। তা সফল না হলেও সাহাবুদ্দিনকে বঙ্গভবন ছাড়া করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতির অপসারণে রাজনৈতিক ঐক্যের জন্য ছাত্রনেতারা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ, আরিফ সোহেলসহ জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা।

বৈঠকের পর বিএনপি আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানায়নি। ছাত্রনেতারা জানান, দলীয় ফোরামে আলোচনার পর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে বিএনপি। তবে বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের চেয়ে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন নিশ্চিতেই আগ্রহ তাদের।

 

 

৬ লাখ চালকের লাইসেন্স আটকা

১০:০৪:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “৬ লাখ চালকের লাইসেন্স আটকা”

টাকা জমা দেওয়া আছে। পরীক্ষাও শেষ। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) কাজ বাকি শুধু একটি, ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড প্রিন্ট করে গ্রাহককে দেওয়া। এই সাধারণ কাজটিই করতে পারছে না সরকারি এই সংস্থা। ফলে সোয়া ছয় লাখের বেশি মানুষ ভোগান্তিতে রয়েছেন। কারও কারও অপেক্ষা তিন বছরের।

মানুষের এই ভোগান্তি তৈরি হয়েছিল বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের আমলে। অভিযোগ রয়েছে, তখন পছন্দের ঠিকাদারকে কাজ দেওয়ার চেষ্টার কারণে জটিলতা তৈরি হয়। সেই থেকে ভুগছেন মানুষ।

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হয়। ৮ আগস্ট দায়িত্ব নেয় নতুন অন্তর্বর্তী সরকার। নতুন সরকার ড্রাইভিং লাইসেন্সের স্মার্টকার্ড ব্যবস্থাই তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তার বদলে দেওয়া হবে সাধারণ মানের প্লাস্টিকের পলিভিনাইল ক্লোরাইড (পিভিসি) কার্ড।

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “গোপন তদন্তের মুখে আওয়ামী লীগ আমলের পুলিশ ক্যাডাররা”

ছয়টি বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের রাজনৈতিক মতাদর্শ খুঁজতে তাদের বিষয়ে আবারও পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু হচ্ছে। এজন্য সম্প্রতি নির্দেশনা দিয়েছে পুলিশের বিশেষ শাখা। পতিত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে পুলিশে নিয়োগ পাওয়া ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের খুঁজে বের করতে সরকারের এই উদ্যোগ।

পুলিশ ভেরিফিকেশন হতে যাওয়া ছয়টি বিসিএস হলো ২৮, ৩৫, ৩৬, ৩৭, ৪০ ও ৪১তম। এসব বিসিএসে নিয়োগ পাওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের আটটি তথ্য যাচাই করা হবে। পাশাপাশি তার রাজনৈতিক পরিচয়, পারিবারিক ব্যাকগ্রাউন্ড ও ক্যাম্পাস রাজনীতিতে ভূমিকা দেখা হবে।

গত ২০ অক্টোবর পুলিশের বিশেষ শাখা (এসসি) থেকে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি ইস্যু করা হয়েছে।

চিঠিতে উল্লিখিত ছয়টি বিসিএসে পুলিশ ক্যাডারে যারা চাকরি পেয়েছেন তাদের জীবনবৃত্তান্ত পুনরায় যাচাই-বাছাই করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। একজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কম নয় এমন একজন কর্মকর্তাকে দিয়ে সর্বোচ্চ গোপনীয়তা বজায় রেখে দ্রুত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

প্রতিবেদনে কর্মকর্তার নাম, জন্ম তারিখ, জাতীয় পরিচয়পত্র, সচল একাধিক ফোন নম্বর, ই-মেইল, ফেসবুক, টিআইএন নম্বর এবং পাসপোর্ট নম্বর সংযুক্ত করতে বলা হয়েছে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম “বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে সবার ওপরে ছিল কক্সবাজার”

বাংলাদেশে গত এক দশকে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের ঘটনা স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক মহলের আলোচনায় এসেছে বারবার। পুলিশ সদর দপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত বাংলাদেশে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছে ১ হাজার ১০১ জন। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি নিহত হয়েছে সমুদ্র-তীরবর্তী সীমান্ত জেলা কক্সবাজারে। এ সময় শুধু এখানেই বন্দুকযুদ্ধে মৃত্যু হয় ২০৬ জনের। কক্সবাজার ছাড়াও এ তালিকায় ওপরের দিকে থাকা অন্য জেলাগুলো হলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, খুলনা ও যশোর। সারা দেশে বন্দুকযুদ্ধে মোট নিহতের ৬০ শতাংশেরই প্রাণহানি হয়েছে এ কয়েকটি জেলায়।

যদিও প্রকৃতপক্ষে এ সংখ্যা আরো অনেক বেশি বলে মনে করছেন মানবাধিকার কর্মীরা। তাদের ভাষ্যমতে, বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডে নিহতের প্রকৃত সংখ্যা পুলিশের পরিসংখ্যানে উঠে আসা তথ্যের তুলনায় কয়েক গুণ বেশিও হতে পারে। এসব জেলার স্থানীয় বাসিন্দা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পক্ষের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, সীমান্তবর্তী জেলাগুলো যেখানে মাদক, চোরাচালান বা এ ধরনের অনানুষ্ঠানিক অর্থনৈতিক কার্যক্রমের বিস্তার ঘটেছে বেশি, সেখানেই এ ধরনের হত্যাকাণ্ডের ঘটনাও ঘটেছে বেশি।

আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সংশ্লিষ্টরা জানান, এসব হত্যাকাণ্ড ঘটেছে মূলত ২০১৫ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত। ২০২১ সালের ডিসেম্বরে বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের দায়ে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন ও এর সাত কর্মকর্তার ওপর মার্কিন নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর থেকে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ মৃত্যু এক প্রকার বন্ধ রয়েছে। সেক্ষেত্রে পরে ‘বন্দুকযুদ্ধ’ বা বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ডের পরিবর্তে মাত্রা বেড়েছে অপহরণ ও গুমের।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোন “রাষ্ট্রপতি অপসারণে রাজি নয় বিএনপি, ছাত্র নেতৃত্ব অনড়”

প্রেসিডেন্টের পদত্যাগ নিয়ে দৈনিক সমকালের প্রথম পাতার খবর ‘রাষ্ট্রপতি অপসারণে রাজি নয় বিএনপি, ছাত্র নেতৃত্ব অনড়’। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাংবিধানিক শূন্যতার ‘আশঙ্কায়’ আওয়ামী লীগের মনোনীত রাষ্ট্রপতি মোঃ সাহাবুদ্দিনকে অপসারণে রাজি হয়নি বিএনপি। দলটি সময় নেওয়ার কৌশল নিলেও ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের নেতারা রাষ্ট্রপতিকে সরাতে অনড় অবস্থানেই রয়েছেন।

অন্তর্বর্তী সরকার এবং ছাত্র নেতৃত্বের সূত্র সমকালকে আরও জানিয়েছে, অভ্যুত্থানের সব শক্তির ঐক্যের স্বার্থে বিএনপিকে রাজি করাতে শেষ পর্যন্ত চেষ্টা চলবে। তা সফল না হলেও সাহাবুদ্দিনকে বঙ্গভবন ছাড়া করার প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

রাষ্ট্রপতির অপসারণে রাজনৈতিক ঐক্যের জন্য ছাত্রনেতারা দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা চালাচ্ছেন। এর অংশ হিসেবে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেন মুহাম্মদ নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, আখতার হোসেন, হাসনাত আবদুল্লাহ, আরিফ সোহেলসহ জাতীয় নাগরিক কমিটি এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শীর্ষ নেতারা।

বৈঠকের পর বিএনপি আনুষ্ঠানিক বক্তব্য জানায়নি। ছাত্রনেতারা জানান, দলীয় ফোরামে আলোচনার পর রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাবে বিএনপি। তবে বিএনপি সূত্র জানিয়েছে, রাষ্ট্রপতিকে অপসারণের চেয়ে দ্রুততম সময়ে নির্বাচন নিশ্চিতেই আগ্রহ তাদের।