০৯:১৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৩) শাহজালালসহ দেশের সব বিমানবন্দরে সর্বোচ্চ সতর্কতা জারি আল-ওথমান মসজিদের পুনঃস্থাপন কাজ শেষের পথে, রমজানের আগেই পুনরায় খোলা হবে ভুলভাবে উপস্থাপিত বক্তব্য নিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন মির্জা ফখরুল দিল্লিতে হামলার ছক তৈরির অভিযোগে ভারতের দাবি প্রত্যাখ্যান করল ঢাকা ২৪ ঘণ্টায় আরও ৩ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯১২ জন সূত্রাপুরে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে আগুনে আতঙ্ক হামাস যোদ্ধাদের আটকে থাকা পরিস্থিতি গাজা চুক্তির অগ্রগতি ব্যাহত করছে জাপানে উঁচু শহরের রোদে নতুন আতঙ্ক — ভাল্লুকের হামলা বাড়ছে, আতঙ্কে নাগরিকরা ডিএসইতে ১০ দিনের পতনের পর সূচক উত্থান; লেনদেন কমেছে সামান্য

ইশকুল (পর্ব-৪৩)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
  • 36

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

প্রতিটি কবর, প্রতিটি স্মৃতিফলক তিষ্কার চেনা। পাখির মতো লাফিয়ে- লাফিয়ে চলতে-চলতে ও চিনিয়ে দিতে লাগল।

‘এটা সেই দমকলের লোকটার ওই-যে গত বছর আগুনে পুড়ে যে মারা গেল, তার। আর এটা অন্ধ চুরুবাকিনের। এদিকটায় সব ওই ধরনের লোকের কবর। ব্যবসাদার মহাজনদের এখানে গোর দেয়া হয় না। ওদের জন্যে একটা সরেস জমিতে বিশেষ ব্যবস্থা আছে। ওই যে, দেখতে পাচ্ছিস, সিনিউগিনের ঠাকুরমার কবরের ওপর পাথরের মূর্তি আর কটা দেবদূত।

এদিকে দ্যাখ। কোনোরকমে নজরে পড়ে এমন একটা মাটির ডিবির দিকে বুড়ো আঙুল নাচিয়ে বলল তিমুকা ‘এটা খার কবর সে লোকটা আত্মহত্যা করেছিল। বাবা বলছিল লোকটা নাকি ইচ্ছে করে গলায় দড়ি দিয়ে মরেছিল। লোকটা ডিপো-কারখানায় ফিটার মিস্তির কাজ করত। আমি তো বুঝতেই পারি না ইচ্ছে করে কেউ নিজের গলায় দড়ি দেয় কী করে।’

‘জানিস তিকা, আমার মনে হয় লোকটার নিশ্চয় কষ্টের জীবন ছিল, সুখের জীবন ছিল না। তাই না?’ ‘কী বলতে চাস্ তুই!’ তিকা প্রতিবাদ করল। মনে হল, ও কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেছে। ‘এটা নিশ্চয়ই খারাপ নয়?’

‘কোন্টা খারাপ নয়?’

‘জীবনটা। জীবনটা ভারি মজার, ভারি ভালো। মরাটা কী করে আরও ভালো হতে পারে? বে’চে থাকলে ছুটে বেড়াতে পারিস, যা খুশি করতে পারিস। আর এখেনে তোকে তো চুপচাপ শুয়ে পড়ে থাকতে হবে!’

হেসে উঠল তিমুক্কা। রিনরিনে ঢেউ-খেলানো হাসি। তারপর আচমকা হাসি বন্ধ করল। ওর চোখের চাউনিতে কেমন যেন একটা হতবুদ্ধি ভাব। এক মিনিট চুপ করে থেকে ও ফিসফিসিয়ে বলল:

 

জনপ্রিয় সংবাদ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫৩)

ইশকুল (পর্ব-৪৩)

০৮:০০:৫৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

প্রতিটি কবর, প্রতিটি স্মৃতিফলক তিষ্কার চেনা। পাখির মতো লাফিয়ে- লাফিয়ে চলতে-চলতে ও চিনিয়ে দিতে লাগল।

‘এটা সেই দমকলের লোকটার ওই-যে গত বছর আগুনে পুড়ে যে মারা গেল, তার। আর এটা অন্ধ চুরুবাকিনের। এদিকটায় সব ওই ধরনের লোকের কবর। ব্যবসাদার মহাজনদের এখানে গোর দেয়া হয় না। ওদের জন্যে একটা সরেস জমিতে বিশেষ ব্যবস্থা আছে। ওই যে, দেখতে পাচ্ছিস, সিনিউগিনের ঠাকুরমার কবরের ওপর পাথরের মূর্তি আর কটা দেবদূত।

এদিকে দ্যাখ। কোনোরকমে নজরে পড়ে এমন একটা মাটির ডিবির দিকে বুড়ো আঙুল নাচিয়ে বলল তিমুকা ‘এটা খার কবর সে লোকটা আত্মহত্যা করেছিল। বাবা বলছিল লোকটা নাকি ইচ্ছে করে গলায় দড়ি দিয়ে মরেছিল। লোকটা ডিপো-কারখানায় ফিটার মিস্তির কাজ করত। আমি তো বুঝতেই পারি না ইচ্ছে করে কেউ নিজের গলায় দড়ি দেয় কী করে।’

‘জানিস তিকা, আমার মনে হয় লোকটার নিশ্চয় কষ্টের জীবন ছিল, সুখের জীবন ছিল না। তাই না?’ ‘কী বলতে চাস্ তুই!’ তিকা প্রতিবাদ করল। মনে হল, ও কথাটা শুনে অবাক হয়ে গেছে। ‘এটা নিশ্চয়ই খারাপ নয়?’

‘কোন্টা খারাপ নয়?’

‘জীবনটা। জীবনটা ভারি মজার, ভারি ভালো। মরাটা কী করে আরও ভালো হতে পারে? বে’চে থাকলে ছুটে বেড়াতে পারিস, যা খুশি করতে পারিস। আর এখেনে তোকে তো চুপচাপ শুয়ে পড়ে থাকতে হবে!’

হেসে উঠল তিমুক্কা। রিনরিনে ঢেউ-খেলানো হাসি। তারপর আচমকা হাসি বন্ধ করল। ওর চোখের চাউনিতে কেমন যেন একটা হতবুদ্ধি ভাব। এক মিনিট চুপ করে থেকে ও ফিসফিসিয়ে বলল: