আর্কাদি গাইদার
ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ
খেলার সময় আমরা অবিশ্যি জানতে পারলুম কেন ওকে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। কেন, বল দেখি? না-না, হাতে হাতকড়া লাগিয়ে কয়েদখানায় পাঠানোর জন্যে নয়, এমন কি খারাপ আচরণের জন্যে লিষ্টে ওর নাম তোলার উদ্দেশ্যেও নয়, শুধু আগের বছর বিনা পয়সায় তিকা যে গণিতের পাঠ্যবইটা ইশকুল থেকে পেয়েছিল সেজন্যে কোথায় যেন একটা সই করতে!
দু-দিন পরে আবার খুলে গেল ইশকুল। আবার গমগম করতে লাগল ক্লাসরুমগুলো। প্রত্যেকেই কী করে গ্রীষ্মের ছুটি কাটিয়েছে তা বলতে লাগল, একেক জনে কত কত মাছ, কাঁকড়া, গিরগিটি আর শজারু, ধরেছে তার হিসেব দিতে ব্যস্ত হয়ে উঠল।
একজন বড়াই করে বললে সে বাজপাখি শিকার করেছে, আরেকজন উত্তেজিত হয়ে বর্ণনা দিতে লাগল কেমন করে সে জঙ্গল থেকে ব্যাঙের ছাতা আর বুনো স্ট্রবেরি সংগ্রহ করেছে, তৃতীয় জন দিব্যি গেলে বলতে লাগল সে একটা জ্যান্ত সাপ ধরেছে। ইশকুলে। এমনও কিছু ছেলে ছিল যারা সারা গ্রীষ্ম ক্রাইমিয়া আর ককেশাসের স্বাস্থ্যনিবাসগুলোয় কাটিয়েছিল।
তবে সংখ্যায় এরা ছিল খুবই কম। এরা নিজেদের আর সকলের থেকে একটু তফাত করে রাখত, শজারু কি বুনো স্ট্রবেরির গল্পো ফাঁদত না, কেবল পামগাছ, সমুদ্রে স্নান আর ঘোড়া নিয়ে গম্ভীর চালে আলাপ করত নিজেদের মধ্যে।
ওই বছর, এবং সেই প্রথম, আমাদের জানানো হল যে জিনিসপত্র সাংঘাতিক দুমূল্য হয়ে ওঠায় সাধারণত আমরা যে-রকম পশমী কাপড় ব্যবহার করতুম অভিভাবকরা আমাদের তার চেয়ে শন্তার কাপড় দিয়ে বানান্যে ইশকুলের পোশাক ব্যবহার করার অনুমতি দিচ্ছেন।
Sarakhon Report 



















