০৩:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ জুলাই ২০২৫

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬২)

  • Sarakhon Report
  • ০৬:০০:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪
  • 20

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

তোলেদো শহরে কৃষিকাজ

মায়া জনগোষ্ঠীর জীবিকার প্রধান উৎস ছিল নানা ধরনের কৃষিকাজ। এই ধারণা বা মতের প্রমাণ আমরা পাই তোলেদো (Toledo) শহরের বাস্তবতা থেকে। এই তথ্য আমাদের আরো জানায় যে শিল্প বা শিল্পের উন্নয়ন বিষয়টি মায়াদের কাছে প্রায় সম্পূর্ণভাবেই অজানা ছিল। তবে একথা বলা যায় মায়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যান্য বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় গিয়ে বাণিজ্য করার সুযোগ ছিল।

এই ব্যবসার আকার খুব বড় ছিল না। অনেক সময় ব্যক্তিগত বা কয়েকজন একত্রে গিয়ে কিছু কিছু পণ্যের ব্যবসা করত। এই ধরনের ব্যবসায়িক কাঠামোর মধ্য দিয়ে নিজেদের জীবিকার সুযোগ ঘটত। আবার অন্যদিক থেকে সঙ্গী বা যৌথ ব্যবসার সুবাদে অন্য কয়েকজনের পেশা নিশ্চিত করা যেত। এই ধরনের পরিযায়ী ব্যবসা আনুমানিক ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চালু ছিল।

এছাড়াও অন্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েও জীবিকা বা পেশা কাঠামো গড়ে উঠেছিল। তথ্য অনুসন্ধান থেকে জানা যায় বিভিন্ন নরতাত্ত্বিক গোষ্ঠী (Ethnic groups) অন্যান্য অঞ্চল থেকে মায়া সাম্রাজ্যের বিভিন্ন শহরে এসে নানারকম গবাদি পশু কিনতে আসত। এর মধ্যে ছিল যেমন শূকর, তেমনি অন্যদিকে থাকত ধান, চাল, বিন-এর মত সবজি। সবজি ছাড়া অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ জীবিকার সূত্র ছিল সামগ্রিকভাবে শস্য উৎপাদন।

শস্য উৎপাদনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ছিল মায়া জীবনযাত্রারই প্রধান স্তম্ভ। এইসব শস্যর মধ্যে ছিল ভুট্টা, বিন, আভোকাডোন, লংকা, আনারস, পাপায়া, কাকাও যা দিয়ে চকোলেট তৈরি করা হত। এই চকোলেট পানীয় তৈরি করা হত জল এবং গরমলংকা দিয়ে। এইসব বিশেষ পানীয় এবং খাবার তৈরির কাজে নিযুক্ত হত শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষ।

মেয়েরা পাথরের বিশেষ বড় বড় টুকরোর উপর শস্য তৈরির কাজ সম্পন্ন করত। এরপর এই খাবারের সঙ্গে জল মিশিয়ে দিত, তখন এই বিশেষ খাবারের নাম হয়ে যেত আতোল (Atole) এবং এগুলিকে অনেক সময় ডিমের কারির মত করেও তৈরি করা হয়। কাজের আরো অন্যান্য সুযোগ ছিল।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬১)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬১)

 

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬২)

০৬:০০:২৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

তোলেদো শহরে কৃষিকাজ

মায়া জনগোষ্ঠীর জীবিকার প্রধান উৎস ছিল নানা ধরনের কৃষিকাজ। এই ধারণা বা মতের প্রমাণ আমরা পাই তোলেদো (Toledo) শহরের বাস্তবতা থেকে। এই তথ্য আমাদের আরো জানায় যে শিল্প বা শিল্পের উন্নয়ন বিষয়টি মায়াদের কাছে প্রায় সম্পূর্ণভাবেই অজানা ছিল। তবে একথা বলা যায় মায়া জনগোষ্ঠীর মধ্যে অন্যান্য বা পার্শ্ববর্তী এলাকায় গিয়ে বাণিজ্য করার সুযোগ ছিল।

এই ব্যবসার আকার খুব বড় ছিল না। অনেক সময় ব্যক্তিগত বা কয়েকজন একত্রে গিয়ে কিছু কিছু পণ্যের ব্যবসা করত। এই ধরনের ব্যবসায়িক কাঠামোর মধ্য দিয়ে নিজেদের জীবিকার সুযোগ ঘটত। আবার অন্যদিক থেকে সঙ্গী বা যৌথ ব্যবসার সুবাদে অন্য কয়েকজনের পেশা নিশ্চিত করা যেত। এই ধরনের পরিযায়ী ব্যবসা আনুমানিক ১৮০০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চালু ছিল।

এছাড়াও অন্য প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়েও জীবিকা বা পেশা কাঠামো গড়ে উঠেছিল। তথ্য অনুসন্ধান থেকে জানা যায় বিভিন্ন নরতাত্ত্বিক গোষ্ঠী (Ethnic groups) অন্যান্য অঞ্চল থেকে মায়া সাম্রাজ্যের বিভিন্ন শহরে এসে নানারকম গবাদি পশু কিনতে আসত। এর মধ্যে ছিল যেমন শূকর, তেমনি অন্যদিকে থাকত ধান, চাল, বিন-এর মত সবজি। সবজি ছাড়া অন্য এক গুরুত্বপূর্ণ জীবিকার সূত্র ছিল সামগ্রিকভাবে শস্য উৎপাদন।

শস্য উৎপাদনের সম্পূর্ণ প্রক্রিয়া ছিল মায়া জীবনযাত্রারই প্রধান স্তম্ভ। এইসব শস্যর মধ্যে ছিল ভুট্টা, বিন, আভোকাডোন, লংকা, আনারস, পাপায়া, কাকাও যা দিয়ে চকোলেট তৈরি করা হত। এই চকোলেট পানীয় তৈরি করা হত জল এবং গরমলংকা দিয়ে। এইসব বিশেষ পানীয় এবং খাবার তৈরির কাজে নিযুক্ত হত শহর ও গ্রামের সাধারণ মানুষ।

মেয়েরা পাথরের বিশেষ বড় বড় টুকরোর উপর শস্য তৈরির কাজ সম্পন্ন করত। এরপর এই খাবারের সঙ্গে জল মিশিয়ে দিত, তখন এই বিশেষ খাবারের নাম হয়ে যেত আতোল (Atole) এবং এগুলিকে অনেক সময় ডিমের কারির মত করেও তৈরি করা হয়। কাজের আরো অন্যান্য সুযোগ ছিল।

(চলবে)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬১)

মায়া সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৬১)