০৩:৪১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৪ জুলাই ২০২৫

বিএসএমএমইউ এর ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৪১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 24

সারাক্ষণ ডেস্ক

বিএসএমএমইউ এর বেসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডীন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর স্মরণসভা আজ সোমবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে বেসিক সাইন্স ও প্যরাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের আয়োজনে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, গুণী শিক্ষক, পরোপকারী, নেতৃত্বদানকারী, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী, মানবতাবাদী মানুষ অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

স্মরণ সভায় বিএসএমএমইউ এর সদ্য সাবেক উপাচার্য ও বর্তমানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বিশিষ্ট ফার্মাকোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান বলেন, গুণী শিক্ষক অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহকে হারিয়ে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশকে তাঁর আরো অনেক কিছু দেয়ার ছিল। তিনি একদিকে যেমন ভালো শিক্ষক ছিলেন। আবার ভালো মানুষ ছিলেন। বিপদে তিনি সবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি অসম্ভব সাহসী ও চিন্তাশীল মানুষ ছিলেন। আইন, কানুন, বিধি বিধান সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ছিল অনন্য। মেডিক্যাল সাইন্সে তাঁর অবদান অপরিসীম।

বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহীনুল আলম বলেন, অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ একজন মহান শিক্ষক ছিলেন। লেখাপড়ার বিষয়ে তাঁর কাছে গেলে তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে থাকুন না কে ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা করতেন। সারাক্ষণ তিনি কাজ করতে পছন্দ করতেন। তিনি শিক্ষক হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের রোল মডেল ছিলেন। মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণায় তাঁর অবদান অপরিসীম।

অসম্ভব সাহসী ও চিন্তাশীল মানুষ অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর স্মরণসভায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আকতার, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমিন মিয়া, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, ডিন অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ মোজ্জাম্মেল হক, ডিন অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমিন, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম, অধ্যাপক ডা. অসীম রঞ্জন বড়–য়া, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ কামাল, অধ্যাক ডা. কামরুল হাসান জায়গীরদার, অধ্যাপক ডা. মোঃ জাফর খালেদ, অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, অধ্যাপক ডা. শাহিনা তাবাসসুম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ডা. চন্দন কুমার রায়, অতিরিক্ত পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল) ডা. মোঃ শহীদুল হাসান, অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর ছোট বোন মিসেস এহসানী প্রমুখসহ সর্বস্তরের শিক্ষক, চিকৎসক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁকে তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর বর্ণাঢ্য জীবন

অধ্যাপক ডা. আহমেদ সালেহ ১৯৬২ সালের ১০ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলঅর বালিকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আবদুল বারি তারাফদার এবং মাতা মরহুম সৈয়দা আমেনা খাতুন। তিনি পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তুতীয়, বড় ভাই একজন চিকিৎসক। অধ্যাপক সালেহ ১৯৭৭ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে এসএসইস এবং ১৯৭৯ সালে ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উর্ত্তীণ হন। ১৯৮৫ সালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অজর্নন করেন এবং ১৯৯৫ সালে ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল রিসার্চ (আইপিজিএমআর) থেকে মেডিক্যাল মাইক্রোবায়েলজিতে এমফিল সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৫-১৯৯৮ পর্যন্ত ৪ বছর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালে ইনস্টিটিউট অফ পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিক্যাল রিসার্চ (আইপিজিএমআর)-এ যোগ দেন। ১৯৯৮-২০০৩ সময়কালে বিএসএমএমইউতে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৩-২০০৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১০-২০২৩ সাল পর্যন্ত বিএসএমএমইউ-এর বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স কোর্স ডিরেক্টর ছিলেন। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি বিএসএমএমইউ-এর মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩-২০২৪ সালে তিনি বিএসএমএমইউ এর বেসিন ও প্যারিাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ছিলেন। অধ্যাপক সালেহ আইসিডিডিআরবির এথিক্যাল রিভিউ কমিটির সদস্য (২০১৯-২০২৪), কো-চেয়ারপার্সন এবং চেয়ারপার্সন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বিএসএমএমইউ-এর ল্যাব সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক আহমেদ আবু সালেহ বাংলাদেশের মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি ক্ষেত্রে একজন অন্যতশ খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। তিনি অসংখ্য গবেষণার সাথে জড়িত ছিলেন। তার লেখা ‘হিউমান মাইকোলোজি’ ছাত্রদের জন্য একটি আবশ্যিক পাঠ্য বই। তার সহধর্মিণী নুরজাহান হেলেন একজন চিকিৎসক প্রসূতি ও গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ। গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ তিনি সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর এই মৃত্যু শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই ক্ষতি বয়ে আনেনি, দেশ হারিয়েছে একজন নিবেদিত চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী।

 

বিএসএমএমইউ এর ডিন অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর স্মরণসভা অনুষ্ঠিত

০৪:৪১:৩১ অপরাহ্ন, সোমবার, ৯ ডিসেম্বর ২০২৪

সারাক্ষণ ডেস্ক

বিএসএমএমইউ এর বেসিক সাইন্স ও প্যারা ক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের ডীন, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর স্মরণসভা আজ সোমবার ৮ ডিসেম্বর ২০২৪ইং তারিখে বেসিক সাইন্স ও প্যরাক্লিনিক্যাল সাইন্স অনুষদের আয়োজনে অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ ডা. মিলন হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। স্মরণসভায় বক্তারা বলেন, গুণী শিক্ষক, পরোপকারী, নেতৃত্বদানকারী, আকর্ষণীয় ব্যক্তিত্বের অধিকারী, মানবতাবাদী মানুষ অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর অবদান স্মরণীয় হয়ে থাকবে।

স্মরণ সভায় বিএসএমএমইউ এর সদ্য সাবেক উপাচার্য ও বর্তমানে মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী বিশিষ্ট ফার্মাকোলজিস্ট অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান বলেন, গুণী শিক্ষক অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহকে হারিয়ে দেশের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। দেশকে তাঁর আরো অনেক কিছু দেয়ার ছিল। তিনি একদিকে যেমন ভালো শিক্ষক ছিলেন। আবার ভালো মানুষ ছিলেন। বিপদে তিনি সবার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি অসম্ভব সাহসী ও চিন্তাশীল মানুষ ছিলেন। আইন, কানুন, বিধি বিধান সম্পর্কে তাঁর জ্ঞান ছিল অনন্য। মেডিক্যাল সাইন্সে তাঁর অবদান অপরিসীম।

বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহীনুল আলম বলেন, অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ একজন মহান শিক্ষক ছিলেন। লেখাপড়ার বিষয়ে তাঁর কাছে গেলে তিনি যেকোনো পরিস্থিতিতে থাকুন না কে ছাত্রছাত্রীদের সহায়তা করতেন। সারাক্ষণ তিনি কাজ করতে পছন্দ করতেন। তিনি শিক্ষক হিসেবে ছাত্রছাত্রীদের রোল মডেল ছিলেন। মেডিক্যাল শিক্ষা ও গবেষণায় তাঁর অবদান অপরিসীম।

অসম্ভব সাহসী ও চিন্তাশীল মানুষ অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর স্মরণসভায় মাননীয় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. মোঃ সায়েদুর রহমান, বিএসএমএমইউ এর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ শাহিনুল আলম, উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ডা. মোঃ আবুল কালাম আজাদ, উপ-উপাচার্য (গবেষণা ও উন্নয়ন) অধ্যাপক ডা. মোঃ মুজিবুর রহমান হাওলাদার, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. নাহরীন আকতার, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমিন মিয়া, সাবেক উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ডা. ছয়েফ উদ্দিন আহমদ, জ্যেষ্ঠ শিক্ষক অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, ডিন অধ্যাপক ডা. সাইফ উল্লাহ মুন্সী, ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ মোজ্জাম্মেল হক, ডিন অধ্যাপক ডা. শামীম আহমেদ, ডিন অধ্যাপক ডা. মোঃ রুহুল আমিন, ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ আলী আসগর মোড়ল, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ডা. মোঃ নজরুল ইসলাম, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, অধ্যাপক ডা. খন্দকার মানজারে শামীম, অধ্যাপক ডা. অসীম রঞ্জন বড়–য়া, অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ কামাল, অধ্যাক ডা. কামরুল হাসান জায়গীরদার, অধ্যাপক ডা. মোঃ জাফর খালেদ, অধ্যাপক ডা. শিরিন তরফদার, অধ্যাপক ডা. শাহিনা তাবাসসুম, মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের শিক্ষক ডা. চন্দন কুমার রায়, অতিরিক্ত পরিচালক (সুপার স্পেশালাইজড হাসপাতাল) ডা. মোঃ শহীদুল হাসান, অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর ছোট বোন মিসেস এহসানী প্রমুখসহ সর্বস্তরের শিক্ষক, চিকৎসক, ছাত্রছাত্রী, কর্মকর্তা, মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ান, কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ, গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ইং তারিখ সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেছেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তিনি সিলেট ওসমানী মেডিক্যাল কলেজের ১৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি স্ত্রীসহ এক ছেলে ও এক মেয়ে, আত্মীয়-স্বজন, অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তাঁকে তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেটের হবিগঞ্জে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।

অধ্যাপক ডা. আহমেদ আবু সালেহ এর বর্ণাঢ্য জীবন

অধ্যাপক ডা. আহমেদ সালেহ ১৯৬২ সালের ১০ জানুয়ারি মৌলভীবাজার জেলঅর বালিকান্দি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা মরহুম আবদুল বারি তারাফদার এবং মাতা মরহুম সৈয়দা আমেনা খাতুন। তিনি পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে তুতীয়, বড় ভাই একজন চিকিৎসক। অধ্যাপক সালেহ ১৯৭৭ সালে পাবনা জেলা স্কুল থেকে এসএসইস এবং ১৯৭৯ সালে ঢাকার তিতুমীর কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় প্রথম বিভাগে উর্ত্তীণ হন। ১৯৮৫ সালে সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ থেকে এমবিবিএস ডিগ্রী অজর্নন করেন এবং ১৯৯৫ সালে ইনস্টিটিউট অফ পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিক্যাল রিসার্চ (আইপিজিএমআর) থেকে মেডিক্যাল মাইক্রোবায়েলজিতে এমফিল সম্পন্ন করেন। তিনি ১৯৯৫-১৯৯৮ পর্যন্ত ৪ বছর ঢাকা মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত ছিলেন এবং ১৯৯৮ সালে ইনস্টিটিউট অফ পোস্টগ্রাজুয়েট মেডিক্যাল রিসার্চ (আইপিজিএমআর)-এ যোগ দেন। ১৯৯৮-২০০৩ সময়কালে বিএসএমএমইউতে সহকারী অধ্যাপক, ২০০৩-২০০৯ সালে সহযোগী অধ্যাপক এবং ২০০৯-২০২৪ সাল পর্যন্ত অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তিনি ২০১০-২০২৩ সাল পর্যন্ত বিএসএমএমইউ-এর বেসিক সায়েন্স ও প্যারাক্লিনিক্যাল সায়েন্স কোর্স ডিরেক্টর ছিলেন। ২০১৮ থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত তিনি বিএসএমএমইউ-এর মাইক্রোবায়োলজি ও ইমিউনোলজি বিভাগের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ২০২৩-২০২৪ সালে তিনি বিএসএমএমইউ এর বেসিন ও প্যারিাক্লিনিক্যাল সায়েন্স অনুষদের ডিন ছিলেন। অধ্যাপক সালেহ আইসিডিডিআরবির এথিক্যাল রিভিউ কমিটির সদস্য (২০১৯-২০২৪), কো-চেয়ারপার্সন এবং চেয়ারপার্সন হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। এছাড়া তিনি বিএসএমএমইউ-এর ল্যাব সার্ভিস ম্যানেজমেন্ট কমিটির মেম্বার সেক্রেটারি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। অধ্যাপক আহমেদ আবু সালেহ বাংলাদেশের মেডিক্যাল মাইক্রোবায়োলজি ক্ষেত্রে একজন অন্যতশ খ্যাতনামা ব্যক্তিত্ব। তিনি অসংখ্য গবেষণার সাথে জড়িত ছিলেন। তার লেখা ‘হিউমান মাইকোলোজি’ ছাত্রদের জন্য একটি আবশ্যিক পাঠ্য বই। তার সহধর্মিণী নুরজাহান হেলেন একজন চিকিৎসক প্রসূতি ও গাইনি রোগ বিশেষজ্ঞ। গত ১৩ নভেম্বর ২০২৪ তিনি সকাল ৯টা ১৫ মিনিটে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। তাঁর এই মৃত্যু শুধু এই বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্যই ক্ষতি বয়ে আনেনি, দেশ হারিয়েছে একজন নিবেদিত চিকিৎসক ও চিকিৎসা বিজ্ঞানী।