০১:১১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৭)

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৫১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 19

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

ইনকারা এখনো বিশ্বাস করে এই সৌরজগৎ বা সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে দ্বৈত সত্তা বা নীতি। মর্ত্যের মলিন মানুষের মধ্যেও আছে দুটি সত্তা-দেহ ও আত্মা। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল ইনকাদের এই দেহ ও সৃষ্টিতত্ত্বের মধ্যে সাংখ্য দর্শনের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়। আত্মাকে (Soul) ইনকারা অমর অবিনশ্বর বলে বিশ্বাস করেন। আর দেহ হল নশ্বর, অস্থায়ী। এই পৃথিবীকে ইনকারা আলপা কামাসকা (Allpacamasca) বলে ভাবে।

ইনকাদের মধ্যে রুনা (Runa) শব্দের অর্থ হল যুক্তি বুদ্ধি এবং লামা (Lama) শব্দের অর্থ হল পশু। গার্সিলাসো (Garcilaso) মনে করেন ইনকারা হিন্দুদের মত সব কিছুর পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। নতুন জীবনে আনন্দ, ব্যথা সব কিছুই ক্ষণস্থায়ী। বরং ইনকারা নিজেদের জীবন, দেহের বিভিন্ন অংশকে স্থায়ী, অক্ষত রাখার ব্যাপারে যত্নবান। লোকগল্পের সূত্র বলছে শরীরের চুল, নখ, চামড়া- সুরক্ষিত রাখার জন্য যাবতীয় চেষ্টা চালিয়ে যায়। শরীরের এই অংশ রক্ষার বিশেষ যত্নর কারণ প্রসঙ্গে তাদের উত্তরও প্রস্তুত।

ইনকারা এলেন এইভাবে শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশ ভাল রেখে তারা পরবর্তী জন্মে অক্ষত দেহ নিয়ে এ পৃথিবীতে জন্ম নিতে পারবে। এবং তাদের পরবর্তী বংশধর যখন এই নখ, চুলের খোঁজ করবে তখন তাদের মধ্যে এইসব পাওয়ার আনন্দ ভেসে উঠবে। ভারতবর্ষের বুদ্ধস্তূপেও এরকমভাবে চুল, নখ সংরক্ষণের রীতি প্রচলিত আছে।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৬)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৬)

 

২০২৫ সালে ফিলিপাইনের ১২টি প্রধান অবকাঠামো প্রকল্প: রিয়েল এস্টেটের রূপান্তর

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৭)

০৫:৫১:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

ইনকারা এখনো বিশ্বাস করে এই সৌরজগৎ বা সৃষ্টির মধ্যে রয়েছে দ্বৈত সত্তা বা নীতি। মর্ত্যের মলিন মানুষের মধ্যেও আছে দুটি সত্তা-দেহ ও আত্মা। লক্ষ্যনীয় বিষয় হল ইনকাদের এই দেহ ও সৃষ্টিতত্ত্বের মধ্যে সাংখ্য দর্শনের চিহ্ন খুঁজে পাওয়া যায়। আত্মাকে (Soul) ইনকারা অমর অবিনশ্বর বলে বিশ্বাস করেন। আর দেহ হল নশ্বর, অস্থায়ী। এই পৃথিবীকে ইনকারা আলপা কামাসকা (Allpacamasca) বলে ভাবে।

ইনকাদের মধ্যে রুনা (Runa) শব্দের অর্থ হল যুক্তি বুদ্ধি এবং লামা (Lama) শব্দের অর্থ হল পশু। গার্সিলাসো (Garcilaso) মনে করেন ইনকারা হিন্দুদের মত সব কিছুর পুনর্জন্মে বিশ্বাস করে। নতুন জীবনে আনন্দ, ব্যথা সব কিছুই ক্ষণস্থায়ী। বরং ইনকারা নিজেদের জীবন, দেহের বিভিন্ন অংশকে স্থায়ী, অক্ষত রাখার ব্যাপারে যত্নবান। লোকগল্পের সূত্র বলছে শরীরের চুল, নখ, চামড়া- সুরক্ষিত রাখার জন্য যাবতীয় চেষ্টা চালিয়ে যায়। শরীরের এই অংশ রক্ষার বিশেষ যত্নর কারণ প্রসঙ্গে তাদের উত্তরও প্রস্তুত।

ইনকারা এলেন এইভাবে শরীরের বিশেষ বিশেষ অংশ ভাল রেখে তারা পরবর্তী জন্মে অক্ষত দেহ নিয়ে এ পৃথিবীতে জন্ম নিতে পারবে। এবং তাদের পরবর্তী বংশধর যখন এই নখ, চুলের খোঁজ করবে তখন তাদের মধ্যে এইসব পাওয়ার আনন্দ ভেসে উঠবে। ভারতবর্ষের বুদ্ধস্তূপেও এরকমভাবে চুল, নখ সংরক্ষণের রীতি প্রচলিত আছে।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৬)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-২৬)