১০:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫
ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা জোহরান মামদানির সিরিয়ান স্ত্রী রামা দুয়াজি সম্পর্কে এই বিষয়গুলো কি জানেন? পুঁজিবাজারে পতনের ধারা অব্যাহত: সপ্তাহ শেষে ডিএসই ও সিএসই লাল সূচকে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে মৃত্যু সংবিধান উপেক্ষা করে গণভোটের তাড়াহুড়ো জনমনে সন্দেহ জাগাচ্ছে: আমীর খসরু শেয়ারবাজারে পতন: সপ্তাহ শেষে লাল সংকেতে ডিএসই ও সিএসই ব্যাংক একীভূতকরণে বিনিয়োগকারীদের ক্ষোভ: পদত্যাগ দাবি ও আন্দোলনের হুঁশিয়ারি নির্বাচনে সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা ও ধর্মনিরপেক্ষতা নিশ্চিতের আহ্বান হিন্দু মহাজোটের সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণন: গাজা পুনর্গঠন ও শান্তি আলোচনায় বাস্তব পদক্ষেপ চাইলেন এনক্রিপ্টেড ফোন কলেই ফাঁস ষড়যন্ত্রের খবর

শতবর্ষী রং বেরঙের গামছার হাট

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 57

রেজাই রাব্বী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাঁত সমৃদ্ধ জেলা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ। লোকেমুখে শোনা যায় প্রায় শত বছর আগে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় পাঁচিলিয়া গ্রামে গড়ে ওঠে এক গামছার হাট । যাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গামছার হাট বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।আর এই হাটে বিক্রি হয় বিভিন্ন রঙের ছোট থেকে বড় সব রকমের গামছা। তাঁতিদের নিপুন হাতে তৈরি এসব গামছার গুণগত মান ভালো হওয়ায় চাহিদা রয়েছে পুরো দেশ জুড়ে। পাঁচিলিয়ায় বিশাল এই গামছার হাট প্রতি সপ্তাহে দু’দিন মঙ্গলবার ও শুক্রবার বসে থাকে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই রং বেরঙের গামছা নিয়ে হাঁটে আসে ব্যবসায়ীরা। গামছা কেনাবেচার জন্য  হাট খুব ভোরবেলা থেকে শুরু হয় এবং সকাল নয়টার মধ্যেই শেষ হয় । প্রকার বেঁধে এক হাত থেকে ছয় হাত পর্যন্ত গামছা পাওয়া যায় পাইকারি এই হাটে।

ব্যবসায়ীরা গামছা থান হিসেবে বিক্রি করেন। এক থানে থাকে চারটি করে গামছা  আর গামছার এক একটি পেটিতে থাকে ২০ থেকে ৫০ টি বা তারও বেশি থান। আকার অনুযায়ী প্রতি থান সর্বনিম্ন ৯০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় পাইকারি দরে । শুধু গামছাই নয় তাঁতিদের জন্য বান্ডিল বান্ডিল সুতাও বিক্রি হয় বিশাল এই গামছার হাটে। আর এসব সুতার কাউন্ট হয়ে থাকে ২০ থেকে ১০০ কাউন্ট পর্যন্ত। স্থানীয় গ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন রকমেরও বিভিন্ন রঙের সুতাও পাওয়া যায় এখানে। এক একটি বান্ডিলে সুতা থাকে সাড়ে চার কেজি করে। আর এসব সুতায় কেবল গামছা-ই তৈরি হয়।

ব্যবসায়ী ঈমান আলী জানান, ফজরের নামাজ শেষ করেই ভ্যানে করে গামছা নিয়ে আসেন এই হাটে, এরপর হাটের একটা স্থানে জায়গা দখল করে গামছা নিয়ে বসেন,  তার একটু পর থেকেই পাইকাররা আসতে শুরু করে এবং দামাদামি করে পাইকাররা গামছা কিনে নিয়ে যান।

পাইকারি ক্রেতা মোজাম্মেল হক বলেন, হাট থেকে পাইকারি দামে গামছা কিনে নিয়ে আমাদের স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রি করি।

শুধু গামছা আর সুতা-ই নয় বিশাল এই হাটে  ক্ষুধা লাগলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা। শত বছরের বিশাল এই গামছার হাটে কোটি কোটি টাকার গামছা ও সুতা বিক্রি হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

জনপ্রিয় সংবাদ

ক্ষমতার নৃত্য: ট্রাম্পের হোয়াইট হাউস বলরুম প্রকল্পে দানের আড়ালে ব্যবসায়িক স্বার্থের খেলা

শতবর্ষী রং বেরঙের গামছার হাট

১০:০০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রেজাই রাব্বী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাঁত সমৃদ্ধ জেলা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ। লোকেমুখে শোনা যায় প্রায় শত বছর আগে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় পাঁচিলিয়া গ্রামে গড়ে ওঠে এক গামছার হাট । যাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গামছার হাট বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।আর এই হাটে বিক্রি হয় বিভিন্ন রঙের ছোট থেকে বড় সব রকমের গামছা। তাঁতিদের নিপুন হাতে তৈরি এসব গামছার গুণগত মান ভালো হওয়ায় চাহিদা রয়েছে পুরো দেশ জুড়ে। পাঁচিলিয়ায় বিশাল এই গামছার হাট প্রতি সপ্তাহে দু’দিন মঙ্গলবার ও শুক্রবার বসে থাকে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই রং বেরঙের গামছা নিয়ে হাঁটে আসে ব্যবসায়ীরা। গামছা কেনাবেচার জন্য  হাট খুব ভোরবেলা থেকে শুরু হয় এবং সকাল নয়টার মধ্যেই শেষ হয় । প্রকার বেঁধে এক হাত থেকে ছয় হাত পর্যন্ত গামছা পাওয়া যায় পাইকারি এই হাটে।

ব্যবসায়ীরা গামছা থান হিসেবে বিক্রি করেন। এক থানে থাকে চারটি করে গামছা  আর গামছার এক একটি পেটিতে থাকে ২০ থেকে ৫০ টি বা তারও বেশি থান। আকার অনুযায়ী প্রতি থান সর্বনিম্ন ৯০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় পাইকারি দরে । শুধু গামছাই নয় তাঁতিদের জন্য বান্ডিল বান্ডিল সুতাও বিক্রি হয় বিশাল এই গামছার হাটে। আর এসব সুতার কাউন্ট হয়ে থাকে ২০ থেকে ১০০ কাউন্ট পর্যন্ত। স্থানীয় গ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন রকমেরও বিভিন্ন রঙের সুতাও পাওয়া যায় এখানে। এক একটি বান্ডিলে সুতা থাকে সাড়ে চার কেজি করে। আর এসব সুতায় কেবল গামছা-ই তৈরি হয়।

ব্যবসায়ী ঈমান আলী জানান, ফজরের নামাজ শেষ করেই ভ্যানে করে গামছা নিয়ে আসেন এই হাটে, এরপর হাটের একটা স্থানে জায়গা দখল করে গামছা নিয়ে বসেন,  তার একটু পর থেকেই পাইকাররা আসতে শুরু করে এবং দামাদামি করে পাইকাররা গামছা কিনে নিয়ে যান।

পাইকারি ক্রেতা মোজাম্মেল হক বলেন, হাট থেকে পাইকারি দামে গামছা কিনে নিয়ে আমাদের স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রি করি।

শুধু গামছা আর সুতা-ই নয় বিশাল এই হাটে  ক্ষুধা লাগলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা। শত বছরের বিশাল এই গামছার হাটে কোটি কোটি টাকার গামছা ও সুতা বিক্রি হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।