১২:১৫ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন

শতবর্ষী রং বেরঙের গামছার হাট

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 17

রেজাই রাব্বী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাঁত সমৃদ্ধ জেলা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ। লোকেমুখে শোনা যায় প্রায় শত বছর আগে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় পাঁচিলিয়া গ্রামে গড়ে ওঠে এক গামছার হাট । যাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গামছার হাট বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।আর এই হাটে বিক্রি হয় বিভিন্ন রঙের ছোট থেকে বড় সব রকমের গামছা। তাঁতিদের নিপুন হাতে তৈরি এসব গামছার গুণগত মান ভালো হওয়ায় চাহিদা রয়েছে পুরো দেশ জুড়ে। পাঁচিলিয়ায় বিশাল এই গামছার হাট প্রতি সপ্তাহে দু’দিন মঙ্গলবার ও শুক্রবার বসে থাকে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই রং বেরঙের গামছা নিয়ে হাঁটে আসে ব্যবসায়ীরা। গামছা কেনাবেচার জন্য  হাট খুব ভোরবেলা থেকে শুরু হয় এবং সকাল নয়টার মধ্যেই শেষ হয় । প্রকার বেঁধে এক হাত থেকে ছয় হাত পর্যন্ত গামছা পাওয়া যায় পাইকারি এই হাটে।

ব্যবসায়ীরা গামছা থান হিসেবে বিক্রি করেন। এক থানে থাকে চারটি করে গামছা  আর গামছার এক একটি পেটিতে থাকে ২০ থেকে ৫০ টি বা তারও বেশি থান। আকার অনুযায়ী প্রতি থান সর্বনিম্ন ৯০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় পাইকারি দরে । শুধু গামছাই নয় তাঁতিদের জন্য বান্ডিল বান্ডিল সুতাও বিক্রি হয় বিশাল এই গামছার হাটে। আর এসব সুতার কাউন্ট হয়ে থাকে ২০ থেকে ১০০ কাউন্ট পর্যন্ত। স্থানীয় গ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন রকমেরও বিভিন্ন রঙের সুতাও পাওয়া যায় এখানে। এক একটি বান্ডিলে সুতা থাকে সাড়ে চার কেজি করে। আর এসব সুতায় কেবল গামছা-ই তৈরি হয়।

ব্যবসায়ী ঈমান আলী জানান, ফজরের নামাজ শেষ করেই ভ্যানে করে গামছা নিয়ে আসেন এই হাটে, এরপর হাটের একটা স্থানে জায়গা দখল করে গামছা নিয়ে বসেন,  তার একটু পর থেকেই পাইকাররা আসতে শুরু করে এবং দামাদামি করে পাইকাররা গামছা কিনে নিয়ে যান।

পাইকারি ক্রেতা মোজাম্মেল হক বলেন, হাট থেকে পাইকারি দামে গামছা কিনে নিয়ে আমাদের স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রি করি।

শুধু গামছা আর সুতা-ই নয় বিশাল এই হাটে  ক্ষুধা লাগলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা। শত বছরের বিশাল এই গামছার হাটে কোটি কোটি টাকার গামছা ও সুতা বিক্রি হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি

শতবর্ষী রং বেরঙের গামছার হাট

১০:০০:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

রেজাই রাব্বী

প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের পাশাপাশি তাঁত সমৃদ্ধ জেলা উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার সিরাজগঞ্জ। লোকেমুখে শোনা যায় প্রায় শত বছর আগে সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানায় পাঁচিলিয়া গ্রামে গড়ে ওঠে এক গামছার হাট । যাকে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় গামছার হাট বলেও আখ্যা দেওয়া হয়।আর এই হাটে বিক্রি হয় বিভিন্ন রঙের ছোট থেকে বড় সব রকমের গামছা। তাঁতিদের নিপুন হাতে তৈরি এসব গামছার গুণগত মান ভালো হওয়ায় চাহিদা রয়েছে পুরো দেশ জুড়ে। পাঁচিলিয়ায় বিশাল এই গামছার হাট প্রতি সপ্তাহে দু’দিন মঙ্গলবার ও শুক্রবার বসে থাকে। ভোরের আলো ফোটার সাথে সাথেই রং বেরঙের গামছা নিয়ে হাঁটে আসে ব্যবসায়ীরা। গামছা কেনাবেচার জন্য  হাট খুব ভোরবেলা থেকে শুরু হয় এবং সকাল নয়টার মধ্যেই শেষ হয় । প্রকার বেঁধে এক হাত থেকে ছয় হাত পর্যন্ত গামছা পাওয়া যায় পাইকারি এই হাটে।

ব্যবসায়ীরা গামছা থান হিসেবে বিক্রি করেন। এক থানে থাকে চারটি করে গামছা  আর গামছার এক একটি পেটিতে থাকে ২০ থেকে ৫০ টি বা তারও বেশি থান। আকার অনুযায়ী প্রতি থান সর্বনিম্ন ৯০ টাকা থেকে সর্বোচ্চ ৭০০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হয় পাইকারি দরে । শুধু গামছাই নয় তাঁতিদের জন্য বান্ডিল বান্ডিল সুতাও বিক্রি হয় বিশাল এই গামছার হাটে। আর এসব সুতার কাউন্ট হয়ে থাকে ২০ থেকে ১০০ কাউন্ট পর্যন্ত। স্থানীয় গ্রাম থেকে আসা বিভিন্ন রকমেরও বিভিন্ন রঙের সুতাও পাওয়া যায় এখানে। এক একটি বান্ডিলে সুতা থাকে সাড়ে চার কেজি করে। আর এসব সুতায় কেবল গামছা-ই তৈরি হয়।

ব্যবসায়ী ঈমান আলী জানান, ফজরের নামাজ শেষ করেই ভ্যানে করে গামছা নিয়ে আসেন এই হাটে, এরপর হাটের একটা স্থানে জায়গা দখল করে গামছা নিয়ে বসেন,  তার একটু পর থেকেই পাইকাররা আসতে শুরু করে এবং দামাদামি করে পাইকাররা গামছা কিনে নিয়ে যান।

পাইকারি ক্রেতা মোজাম্মেল হক বলেন, হাট থেকে পাইকারি দামে গামছা কিনে নিয়ে আমাদের স্থানীয় বাজারে খুচরা বিক্রি করি।

শুধু গামছা আর সুতা-ই নয় বিশাল এই হাটে  ক্ষুধা লাগলে রয়েছে বিভিন্ন ধরনের খাবারের ব্যবস্থা। শত বছরের বিশাল এই গামছার হাটে কোটি কোটি টাকার গামছা ও সুতা বিক্রি হয় বলে জানান ব্যবসায়ীরা।