০৭:৩৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০৪ জুলাই ২০২৫

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৬)

  • Sarakhon Report
  • ০৫:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪
  • 18

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

আপাচেতা (Apacheta)

আপাচেতা হল এক ধরনের খোলামেলা জায়গা। ইনকারা তাদের ভাষায় একে বলে কোতোরায়াক রুমি (Cotorayac Rumi)-এর সাধারণ অর্থ হল পাথরের এক গাদা স্তুপ। এই পাথরের গাদায় নাকি থাকে দেচেস কানোপাস (Deches Canopas), চাংকাস (Chancas) বা হুয়াসিকামায়োস (Huasicamays)। এরা হলেন সেচ, চাষ এবং ফসল ঘরে তোলার অবতার বিশেষ। এদের নানাভাবে নানা লিঙ্গ পরিচয়ে বিশ্বাস করা হয়।

একজন মেয়ের পোশাকে পুতুলের মত হয়ে আসেন। এই পুতুল তৈরি হয় ভুট্টা দিয়ে। দ্বিতীয় অবতার থাকেন পাথরের রূপ নিয়ে। তৃতীয় অবতার আসেন শস্য বীজ-এর কাঠির রূপ গ্রহণ করে। এদের নাম হল হুয়ানতাসারা (Huantasara)। এই সঙ্গে অপর দেবীর নামও পাওয়া যায় অ্যাজোমামা (Ajomamas)। অ্যাজোমামা হলেন শস্যবোনা এবং ফল-এর দেবী।

আতাগুজো (Atagujo): আতাগুজোর সম্পর্কে লোকপুরাণ জানা যায় ১৫৬০ খ্রিস্টাব্দের কিছু পর থেকে। ঐ লোকপুরাণ থেকে আমরা আরও জনতে পারি যে আভাগুজোর পূজো সাধারণত হয় মন্দিরের ভেতরে। এই মন্দির অনেক সময় চারপাশ ঘেরা খেতের পাশে থাকে। এই পূজোর লোকউৎসব ৪/৫ দিন ব্যাপী হয়। এই সময় কোকাও এবং অন্যান্য কিছু পণ্য পোড়ান হয়।

এই কোকাও পোড়ার ধোঁওয়া আকাশ পর্যন্ত চলে যায়। এই সঙ্গে সব রকমের পানীয় তিনকাকে উৎসর্গ করা হয়। ঈশ্বরের কাছে সাধারণ মানুষের প্রার্থনায় এই কথা বলা হয় যে মহান স্রষ্টা যেন এই পথিবীতে কোনরমক ঝড় না পাঠান। এবং এই সঙ্গে এই আবেদনও রাখা হয় যে য়োসা শিশুদের উৎসর্গ দেওয়া সম্পর্কে তিনি যেন সদয় ও সহানুভূতিশীল হন।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৫)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৫)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৬)

০৫:৪২:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩১ ডিসেম্বর ২০২৪

সুবীর বন্দ্যোপাধ্যায়

আপাচেতা (Apacheta)

আপাচেতা হল এক ধরনের খোলামেলা জায়গা। ইনকারা তাদের ভাষায় একে বলে কোতোরায়াক রুমি (Cotorayac Rumi)-এর সাধারণ অর্থ হল পাথরের এক গাদা স্তুপ। এই পাথরের গাদায় নাকি থাকে দেচেস কানোপাস (Deches Canopas), চাংকাস (Chancas) বা হুয়াসিকামায়োস (Huasicamays)। এরা হলেন সেচ, চাষ এবং ফসল ঘরে তোলার অবতার বিশেষ। এদের নানাভাবে নানা লিঙ্গ পরিচয়ে বিশ্বাস করা হয়।

একজন মেয়ের পোশাকে পুতুলের মত হয়ে আসেন। এই পুতুল তৈরি হয় ভুট্টা দিয়ে। দ্বিতীয় অবতার থাকেন পাথরের রূপ নিয়ে। তৃতীয় অবতার আসেন শস্য বীজ-এর কাঠির রূপ গ্রহণ করে। এদের নাম হল হুয়ানতাসারা (Huantasara)। এই সঙ্গে অপর দেবীর নামও পাওয়া যায় অ্যাজোমামা (Ajomamas)। অ্যাজোমামা হলেন শস্যবোনা এবং ফল-এর দেবী।

আতাগুজো (Atagujo): আতাগুজোর সম্পর্কে লোকপুরাণ জানা যায় ১৫৬০ খ্রিস্টাব্দের কিছু পর থেকে। ঐ লোকপুরাণ থেকে আমরা আরও জনতে পারি যে আভাগুজোর পূজো সাধারণত হয় মন্দিরের ভেতরে। এই মন্দির অনেক সময় চারপাশ ঘেরা খেতের পাশে থাকে। এই পূজোর লোকউৎসব ৪/৫ দিন ব্যাপী হয়। এই সময় কোকাও এবং অন্যান্য কিছু পণ্য পোড়ান হয়।

এই কোকাও পোড়ার ধোঁওয়া আকাশ পর্যন্ত চলে যায়। এই সঙ্গে সব রকমের পানীয় তিনকাকে উৎসর্গ করা হয়। ঈশ্বরের কাছে সাধারণ মানুষের প্রার্থনায় এই কথা বলা হয় যে মহান স্রষ্টা যেন এই পথিবীতে কোনরমক ঝড় না পাঠান। এবং এই সঙ্গে এই আবেদনও রাখা হয় যে য়োসা শিশুদের উৎসর্গ দেওয়া সম্পর্কে তিনি যেন সদয় ও সহানুভূতিশীল হন।

(চলবে)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৫)

ইনকা সভ্যতার ইতিহাস (পর্ব-৩৫)