০৩:৫৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫

ক্ষমা করে দিও প্রভু

  • Sarakhon Report
  • ০৪:৪৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫
  • 16


ক্ষমা করে দিও প্রভু

স্বদেশ রায়


তোমার গৈরিক বরনের ওপর ওরা গভীর কালো দাগ

দিয়ে দিতে চায়।

তুমি ওদের ক্ষমা করো দিও প্রভু।

হিংসায় উম্মত্ত পৃথিবীতে

চির ললিতবানী শোনাতে তুমি অজয়ের কূলে কূলে গেয়েছিলে-

সুমধুর জাগরনী গান গৈরিক বসন গায়ে।

শ্রীহট্টের জল আর বাতাসে আরো নরম হয়েছিলো সে গান।

তোমার কোন অস্ত্রে বিশ্বাস নেই-

তুমি বিশ্বাস করো ভালোবাসায় পাথর গলে যায়-

তোমার বুকে ছুরি চালাতে এসে তোমার বুকেই তারা লুটিয়ে পড়ে।

তুমি নির্ভয়ে গ্রহন করো সেই ছুরি হাতের পাষন্ডকে।

তুমি জান জীবন জীর্ণ বসন-

জীবনের কর্ম স্বর্ণময়।

মানুষ ছাড়া তোমার কোন আত্মীয় নেই

তাই তুমি নিজ সংসার ছেড়েছো

বার বার।

মাতৃমুক্তি, মানব মুক্তিতে যে সন্ন্যাস নেয়-

পিছে যার থাকে না মানুষ ছাড়া কোন

আপনগৃহের বন্ধন-

তার শক্তি আকাশের ওই লাল সূর্যটার মতো-

যে কেবল জগতের গতিতে বাধা-

আত্ম চাহিদার দুর্বলতাকে করেছে চূর্ণ

আপন আত্মার অবিনাসী শক্তি দিয়ে।

আত্ম চাহিদা পৃথিবীর সব থেকে কঠিনতম অস্ত্র

তাকে যে করেছে জয়-

রাষ্ট্র শক্তি, দুবৃত্ত শক্তি তার কাছে তো ক্ষণকালের বায়ু।

নিজেকে যে জয় করেছে মৃত্যু তো তার কাছে বিকেলের বাতাস মাত্র।

নিপীড়ন,মৃত্যু আর রাষ্ট্র নামক শেকলের ঝনঝনানি –

কেবলই আর বুকের ভেতর থাকা অবিনাসী রশ্মি-

ছড়িয়ে দেয় প্রাণ থেকে প্রাণে।

 আপনাকে যে ছেড়েছে তার রশ্মিকে

আপনাকে নিয়ে ব্যস্ত যে সে রুখবে কোন ক্ষমতা দিয়ে!

কঠিন শেলের মৃত্যু বার বার হেরে গেছে

ভালোবাসা-কোমল বুকে আঘাত হেনে-

অমনি নরম কোমলে কেবলই জয়ের ফুল ফোটে-

হিংস্র অস্ত্র আর মৃত্যু পরাজিত হয়-

কালের নৌকায় ঠিক চিরকালের জন্যে।

ক্ষমা করে দিও প্রভু

০৪:৪৭:৪১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ জানুয়ারী ২০২৫


ক্ষমা করে দিও প্রভু

স্বদেশ রায়


তোমার গৈরিক বরনের ওপর ওরা গভীর কালো দাগ

দিয়ে দিতে চায়।

তুমি ওদের ক্ষমা করো দিও প্রভু।

হিংসায় উম্মত্ত পৃথিবীতে

চির ললিতবানী শোনাতে তুমি অজয়ের কূলে কূলে গেয়েছিলে-

সুমধুর জাগরনী গান গৈরিক বসন গায়ে।

শ্রীহট্টের জল আর বাতাসে আরো নরম হয়েছিলো সে গান।

তোমার কোন অস্ত্রে বিশ্বাস নেই-

তুমি বিশ্বাস করো ভালোবাসায় পাথর গলে যায়-

তোমার বুকে ছুরি চালাতে এসে তোমার বুকেই তারা লুটিয়ে পড়ে।

তুমি নির্ভয়ে গ্রহন করো সেই ছুরি হাতের পাষন্ডকে।

তুমি জান জীবন জীর্ণ বসন-

জীবনের কর্ম স্বর্ণময়।

মানুষ ছাড়া তোমার কোন আত্মীয় নেই

তাই তুমি নিজ সংসার ছেড়েছো

বার বার।

মাতৃমুক্তি, মানব মুক্তিতে যে সন্ন্যাস নেয়-

পিছে যার থাকে না মানুষ ছাড়া কোন

আপনগৃহের বন্ধন-

তার শক্তি আকাশের ওই লাল সূর্যটার মতো-

যে কেবল জগতের গতিতে বাধা-

আত্ম চাহিদার দুর্বলতাকে করেছে চূর্ণ

আপন আত্মার অবিনাসী শক্তি দিয়ে।

আত্ম চাহিদা পৃথিবীর সব থেকে কঠিনতম অস্ত্র

তাকে যে করেছে জয়-

রাষ্ট্র শক্তি, দুবৃত্ত শক্তি তার কাছে তো ক্ষণকালের বায়ু।

নিজেকে যে জয় করেছে মৃত্যু তো তার কাছে বিকেলের বাতাস মাত্র।

নিপীড়ন,মৃত্যু আর রাষ্ট্র নামক শেকলের ঝনঝনানি –

কেবলই আর বুকের ভেতর থাকা অবিনাসী রশ্মি-

ছড়িয়ে দেয় প্রাণ থেকে প্রাণে।

 আপনাকে যে ছেড়েছে তার রশ্মিকে

আপনাকে নিয়ে ব্যস্ত যে সে রুখবে কোন ক্ষমতা দিয়ে!

কঠিন শেলের মৃত্যু বার বার হেরে গেছে

ভালোবাসা-কোমল বুকে আঘাত হেনে-

অমনি নরম কোমলে কেবলই জয়ের ফুল ফোটে-

হিংস্র অস্ত্র আর মৃত্যু পরাজিত হয়-

কালের নৌকায় ঠিক চিরকালের জন্যে।