০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ নভেম্বর ২০২৫
অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস নাসার চন্দ্র মিশনের গতি ফেরাতে ‘সবকিছু করবে’ ব্লু অরিজিন” ট্রাম্প বনাম সুপ্রিম কোর্ট: শুল্ক সংকটে নতুন আইনি লড়াই সম্ভাব্য বাজার ধসের পূর্বাভাস: ওয়াল স্ট্রিটও জানে না কখন আসবে পতন দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ঢাকা (পর্ব-৫২) শেয়ারবাজারে ধস অব্যাহত: ডিএসই-তে লেনদেন ৩০০ কোটি টাকার নিচে সিটি ব্যাংক ও ইউনিসেফের চুক্তি: প্রান্তিক যুবকদের সবুজ দক্ষতায় সক্ষম করে তুলতে উদ্যোগ বিবিসি চেয়ারম্যানের ক্ষমাপ্রার্থনা: ট্রাম্পের বক্তৃতা সম্পাদনায় ‘বিচারের ভুল’ স্বীকার দিল্লির লালকেল্লার কাছে গাড়ি বিস্ফোরণ, আহত বহু বৃষ্টি থামাল চতুর্থ টি-টোয়েন্টি, ২–১ ব্যবধানে এগিয়ে নিউজিল্যান্ড

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৭)

  • Sarakhon Report
  • ১০:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫
  • 48

প্রদীপ কুমার মজুমদার

সাধারণতঃ জৈন গণিতশাস্ত্রে অঙ্কপাত দক্ষিণাগতিতে করা হয়। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও দেখা যায় যেমন জিনসেন তাঁর নেমীপুরাণে বলেছেন-

একমষ্টোচ চত্বারি চতুঃষট, সপ্তভিশ্চতুঃ।

চতুঃশূনাংচ সপ্তনিসপ্তশূন্যং নবাপি চ।

পঞ্চপঞ্চৈকং যট, চ তথৈকং পঞ্চ তত্ত্বতঃ।

সমস্তশ্রুতবর্ণানাং প্রমাণং পরিকীত্তিতং।

এখানে উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছেঃ ১৮, ৪৪৬, ৭৪৪, ০৭৩, ৭০৯, ৫৫১, ৬১৪, তাছাড়াও জিনভদ্রগণি বৃহৎক্ষেত্রসমাসে লিখেছেন-

দুবীষ চোয়াল সুন্নট,ঠ ২২৪৪,০০০০,০০০০ গ্রীষ্টীয় দশম শতাব্দীতে নেমীচন্দ্র গোম্মটসারের জীবকাণ্ডের ১৫৮ তম গাথায় বলেছেন:

তললীনমধুগাবিমলং ধমুসিল। গাবিচোরভয়মেরূ

তটহরিখঝসা হোংতি হ মানুস পঙ্গুত্ত সংখ্যক।।

অর্থাৎ এক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছে-৭৯, ২২৮, ১৬২, ৫১৪, ২৬৪ ৩৩৭, ৫৯৩,৫৪৩, ৯৫০, ৩৩৬।

লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে নাম সংখ্যা প্রণালী, অক্ষর সংখ্যা প্রণালী ও কটপযাদি প্রণালীতে বামাগতি ও দক্ষিণাগতি উভয় প্রণালীই ব্যবহৃত হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৬)

জনপ্রিয় সংবাদ

অক্ষরের রহস্য: কেন ‘Q’-এর প্রয়োজন ‘U’ — ভাষার আত্মার এক বিস্ময়কর ইতিহাস

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৭)

১০:০০:৪৬ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৫

প্রদীপ কুমার মজুমদার

সাধারণতঃ জৈন গণিতশাস্ত্রে অঙ্কপাত দক্ষিণাগতিতে করা হয়। কিন্তু এর ব্যতিক্রমও দেখা যায় যেমন জিনসেন তাঁর নেমীপুরাণে বলেছেন-

একমষ্টোচ চত্বারি চতুঃষট, সপ্তভিশ্চতুঃ।

চতুঃশূনাংচ সপ্তনিসপ্তশূন্যং নবাপি চ।

পঞ্চপঞ্চৈকং যট, চ তথৈকং পঞ্চ তত্ত্বতঃ।

সমস্তশ্রুতবর্ণানাং প্রমাণং পরিকীত্তিতং।

এখানে উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছেঃ ১৮, ৪৪৬, ৭৪৪, ০৭৩, ৭০৯, ৫৫১, ৬১৪, তাছাড়াও জিনভদ্রগণি বৃহৎক্ষেত্রসমাসে লিখেছেন-

দুবীষ চোয়াল সুন্নট,ঠ ২২৪৪,০০০০,০০০০ গ্রীষ্টীয় দশম শতাব্দীতে নেমীচন্দ্র গোম্মটসারের জীবকাণ্ডের ১৫৮ তম গাথায় বলেছেন:

তললীনমধুগাবিমলং ধমুসিল। গাবিচোরভয়মেরূ

তটহরিখঝসা হোংতি হ মানুস পঙ্গুত্ত সংখ্যক।।

অর্থাৎ এক্ষেত্রে উদ্দিষ্ট সংখ্যাটি হচ্ছে-৭৯, ২২৮, ১৬২, ৫১৪, ২৬৪ ৩৩৭, ৫৯৩,৫৪৩, ৯৫০, ৩৩৬।

লক্ষ্য করলেই দেখা যাবে ভারতীয় গণিতশাস্ত্রে নাম সংখ্যা প্রণালী, অক্ষর সংখ্যা প্রণালী ও কটপযাদি প্রণালীতে বামাগতি ও দক্ষিণাগতি উভয় প্রণালীই ব্যবহৃত হয়েছে।

(চলবে)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৬)

প্রাচীন ভারতে গণিতচর্চা (পর্ব-৫৬)