এবার অনেক এলাকায় সর্বনিম্ম ৩৪ কেজি ওপরে ৬৫ কেজি ফুলকপি বিক্রি করে এক কেজি চাল কিনেছে সবজি চাষী। কেন সবজি চাষীরা এভাবে বিপাকে পড়লো?
সবজি চাষীদের এই বিপাকে পড়ার মূল কারণ অনেকটা অভিভাবকহীনতা। কারণ একটি রাষ্ট্রে সরকারই থাকে মূলত সবার অভিভাবক। এবার কিন্তু সবজি চাষীদের ক্ষেত্রে তাদের অভিভাবক সে দ্বায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করতে পারেনি।
কারণ, সবজি চাষীদের এবার যারা অভিভাবক তাদের অধিকাংশেরই ধারণা নেই যে রবি সবজি মৌসুমের আগে বন্যা হলে সেবার দুই কারণে সবজি বেশি হয়। এক কৃষকদের যেহেতু বন্যায় একটি ফসল মারা যায় সেহেতু তারা তাদের সব-শক্তি দিয়ে রবি মৌসুমের সবজি চাষের ওপর জোর দেয়। যাতে তারা তাদের বন্যার ক্ষতি পুষিয়ে উঠতে না পারলেও অন্তত টিকে থাকতে পারবে সবজি বিক্রি করে। দুই, বন্যা কবলিত এলাকায় বন্যার পানির সঙ্গে নতুন পলি আসাতে সবজির উৎপাদন বেড়ে যায়।
এছাড়া এবার দেশজুড়ে রবি সবজি চাষের দিকে কৃষকরা সাধারণভাবে জোর দিয়েছিলো কারণ রবি মৌসুমের আগেই এবছর বাংলাদেশের ইতিহাসে সবজির দাম সব থেকে বেশি ছিলো। তাই কৃষক মনে করেছিলো এবার তারা সবজি চাষে লাভবান হবে। এজন্য ঋন করেও কৃষক সবজি চাষে নেমে পড়ে।
সরকার যদি কৃষক, কৃষিপন্য ও দেশের মানুষের প্রতি মনোযোগী হতো তাহলে এগুলো জানতে পারতো। আর জানতে পারলে তারা তিনটে কাজ সহজে করতে পারতো। উৎপাদন ক্ষেত্র থেকে শহর অবধি সাপ্লাই চে্ইন সচল রাখা। সবজি ব্যবসায়ীদের বিনা জামানতে ঋন দিয়েও শহরে বেশি সবজি আনার সুযোগ দেয়া । আর সরকার সবজি উৎপাদনের হিসাব নিলে ইনসেনটিভ দিয়ে হলেও বিদেশে সবজি রফতানি বাড়াতে পারতো।
এগুলো সঠিক অর্থে ঘটেনি বলে সবজি চাষী শুধু একমন বা দেড়মন ফুলকপি বিক্রি করে এক সের চাল কেনেনি, তারা তাদের উতপাদন খরচের জন্যে নেয়া ঋন নিয়েও বিপাকে পড়েছে। আর এমন ঘটনা কৃষকদের মধ্য যে প্রতিক্রিয়া ঘটায় তার ফল দীর্ঘ মেয়াদি হয় সব সময়ই।