০৭:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫
লন্ডনের ‘এভিটা’-তে ব্যালকনি ছেড়ে জনতার গানে ডুবে গেলেন র‌্যাচেল জেগলার সাংবাদিকদের ওপর হামলা ও হয়রানির প্রতিবাদে অর্ধশতাধিক সাংবাদিকের যৌথ বিবৃতি মীর জাফরের বিশ্বাসঘাতকতা নিয়ে কী বলেন তার বংশধররা? জনগণকে বিভক্ত করলেই রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হয় মব ভায়োলেন্স গত এগার মাসে ৮০ থেকে একশ মিলিয়ন ডলারের ক্ষতি করেছে পর্যটন খাতে টানা তিন জয়ে উজ্জ্বল বাংলাদেশের অনূর্ধ্ব-১৮ দল বাংলাদেশের গাড়ি শিল্প: পিছিয়ে থাকার বাস্তবতা ও উত্তরণের পথ সন্ত্রাস কেন সর্বদা মানবতার বিরুদ্ধে? হলি আর্টিজান বেকারি হামলার আলোকে চাল সংকটে বাংলাদেশ — জাপানের উল্টো ধাননীতি কী পথ দেখায়? ব্রিকসের সন্ত্রাসবাদবিরোধী অবস্থান: বাংলাদেশের নীরবতা কতটা ঝুঁকিপূর্ণ?

ইন্টারনেট, রেস্তোরাঁ, পোশাকে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত

  • Sarakhon Report
  • ০৯:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫
  • 23

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ইন্টারনেট, রেস্তোরাঁ, পোশাকে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত”

মানুষের ব্যাপক সমালোচনা ও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কয়েকটি খাতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মুঠোফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ তথ্যপ্রযুক্তি সেবার ওপর ২৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আগের মতো ২০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।

একইভাবে রেস্তোরাঁর খাবারে বিলের ওপর ১৫ শতাংশের পরিবর্তে আগের মতো ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর পোশাক, মিষ্টি, নন–এসি হোটেলসহ বেশ কিছু খাতের ভ্যাট হার কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এসব খাতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকটি খাতে ভ্যাট হার কমানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটির দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, ভ্যাট হার কমানোর এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি কয়েক দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে হঠাৎ করে ৯ জানুয়ারি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে হঠাৎ করে বিপুলসংখ্যক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে ভ্যাট বাড়ানোর প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। ভ্যাট কমানোর দাবিতে গতকাল সকালে এনবিআরের সামনে মানববন্ধনও করেছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অর্থবছরের মাঝপথে হঠাৎ করে ভ্যাট বৃদ্ধি করায় ব্যবসায়ীদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাধার মুখে পড়ে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে এভাবে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করি না। সরকার ভ্যাট বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি ভুল সময়ে ভুল পদক্ষেপ। এর প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে। তবে এখন কিছু পণ্যে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “গার্মেন্টস খাতের রপ্তানি ৩০ হাজার চালানের ২০ হাজার কোটি টাকা দেশে আসেনি”

একটি অসাধু চক্রের কারণে গার্মেন্টস খাতের রপ্তানির ৩০ হাজার চালানের বিপরীতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দেশে আসেনি। এর সঙ্গে শিপিং লাইন্স, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স এবং অনেক ক্ষেত্রে গার্মেন্টস মালিকও জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কঠোর অবস্থান গ্রহণ না করায় এবং অনেক ক্ষেত্রে আইনি ফাঁকফোকরের সুযোগে দীর্ঘ ২০-৩০ বছরেও মামলার সমাধান হচ্ছে না।

সরকারের রপ্তানি গাইড লাইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির ছয় মাসের মধ্যে রপ্তানি মূল্য দেশে ফেরত আসার কথা। ঐ সময়ের মধ্যে পণ্য মূল্য ফেরত না আসলে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কম আসলে ব্যাংকে ওভার ডিউজ হিসেবে পরিগণিত হবে। আবার অনেক সময় রপ্তানি মূল্যের ডিসকাউন্ট করা হলে কম মূল্য ফেরত আসে। সেক্ষেত্রে বায়ারকে দেওয়া ডিসকাউন্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কমিটিকে অবহিত করে অনুমোদন নিতে হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিপিং লাইন্স ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স কর্তৃক আমেরিকা কিংবা সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যাংকের ডকুমেন্ট ছাড়াই বায়ারকে পণ্য ডেলিভারি দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বায়ার বাংলাদেশের রপ্তানিকারক কর্তৃক তার ব্যাংকে পাঠানো ডকুমেন্ট ছাড় না করে স্থানীয় ফরোয়ার্ডার্স ও শিপিং লাইনের সঙ্গে যোগসাজশ করে পণ্য ডেলিভারি নিয়ে নেয়। কারণ ব্যাংক থেকে ডকুমেন্ট ছাড় করতে পণ্যের সকল মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এতে করে বিদেশি ব্যংক বাংলাদেশের ব্যাংকে পণ্যের মূল্য আসে না। বিদেশি ব্যাংক নির্দিষ্ট সময়ে বায়ার ডকুমেন্ট ক্লিয়ার না করলে তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়।

গার্মেন্টস মালিক সূত্রে জানা যায়, রপ্তানির পরিমাণ মূল্য ফেরত না আসার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ার তার ব্যাংক থেকে ডকুমেন্ট সংগ্রহ না করে পরস্পর যোগসাজশে শিপিং লাইন থেকে পণ্য খালাস নেওয়া। যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানির জন্য অনুমতি নেওয়া হয় সেই পরিমাণ পণ্য বায়ারের নিকট না পাঠানোর কারণে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা হয় না। বায়ারের অর্ডার অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানি করতে না পারায় আবার অনেক সময় বায়ার অর্ডার দিলেও শিপমেন্ট পর্যায়ে বায়ার তার আর্থিক অনটনের কথা জানিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ডকুমেন্ট না পাঠিয়ে সরাসরি তার নিকট ডকুমেন্ট পাঠানোর অনুরোধ করে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”ছয় মাসেও দৃশ্যমান সংস্কার কার্যক্রম নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষায়”

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। পেশায় তিনি একজন মনোরোগ চিকিৎসক। তার অধীন মন্ত্রণালয়ের আওতায় দপ্তর আছে পাঁচটি। মহাপরিচালক ও উপ-মহাপরিচালক হিসেবে এগুলোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। মোটাদাগে দেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের প্রায় সবারই এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা তেমন একটা নেই।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে বিবেচনা করা হয় শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হিসেবে। এ ধাপের শিক্ষার মানের ওপর নির্ভর করেই শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতার ভিত গড়ে ওঠে। এ কারণে উন্নত বিশ্বে এ পর্যায়ের শিক্ষা গুরুত্ব পায় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে এ পর্যায়ের শিক্ষাকে কখনই কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এর মধ্যে আবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পঠন-পাঠনের পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষকদের দক্ষতা নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। বিগত কয়েক দশকে দেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এ পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে সেগুলো কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সেদিক থেকে বড় ধরনের ঘাটতি থেকে গেছে।

আবার সরকারের সংস্কার কর্মসূচিতেও অবহেলিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাত। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য গঠিত বিভিন্ন কমিশন এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদনও জমা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় সংস্কার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ আছে শুধু পরামর্শক কমিটি গঠনের মধ্যেই।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এক সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে তার উল্লেখযোগ্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “জুলাই ঘোষণা সর্বদলীয় বৈঠকে ঐকমত্যের তাগিদ”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন কোনো ধরনের ফাটল না ধরে সেদিকে খেয়াল রাখতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, এ ঐক্য ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ। এটি না হলে পতিত সরকার সুযোগ নেবে। তাই সবার সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই আন্দোলনের ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করতে হবে। যাতে সবাই মনে করে এটি তার ঘোষণাপত্র। এছাড়াও ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করতে গিয়ে যেন কালবিলম্ব না হয়, আবার তাড়াহুড়োও না করা হয় সে বিষয়েও সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বৈঠক সূত্র জানায়, ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে একটি কমিটি করার বিষয় আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই ঘোষণা ঐক্যবদ্ধভাবে করতে না পারলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই ঘোষণা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা, আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, ফরিদা আখতার, মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, গণফ্রন্টের কামরুজ্জামান প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ও মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ প্রমুখ নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সর্বদলীয় বৈঠকের আমন্ত্রণের পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বিশেষ করে ঘোষণাপত্রের খসড়া কয়েকটি দলকে দুপুর ২টার দিকে পাঠানোয় অনেকে দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে পারেনি বলে জানান। এছাড়াও বৈঠকে বিএনপি’র অংশ নেয়া নিয়ে দিনব্যাপী নানা নাটকীয়তা দেখা যায়। যদিও বিকালে বৈঠকে হাজির হন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।

 

লন্ডনের ‘এভিটা’-তে ব্যালকনি ছেড়ে জনতার গানে ডুবে গেলেন র‌্যাচেল জেগলার

ইন্টারনেট, রেস্তোরাঁ, পোশাকে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত

০৯:০৩:০৮ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫

সারাক্ষণ ডেস্ক

প্রথম আলোর একটি শিরোনাম “ইন্টারনেট, রেস্তোরাঁ, পোশাকে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্ত”

মানুষের ব্যাপক সমালোচনা ও ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে কয়েকটি খাতে ভ্যাট বাড়ানোর সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হটল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। মুঠোফোনে কথা বলা, ইন্টারনেট ব্যবহারসহ তথ্যপ্রযুক্তি সেবার ওপর ২৩ শতাংশ সম্পূরক শুল্ক কমিয়ে আগের মতো ২০ শতাংশ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এনবিআর।

একইভাবে রেস্তোরাঁর খাবারে বিলের ওপর ১৫ শতাংশের পরিবর্তে আগের মতো ৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর পোশাক, মিষ্টি, নন–এসি হোটেলসহ বেশ কিছু খাতের ভ্যাট হার কমিয়ে করা হয়েছে ১০ শতাংশ। এসব খাতে ১৫ শতাংশ হারে ভ্যাট আরোপ করা হয়েছিল।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) গতকাল বৃহস্পতিবার কয়েকটি খাতে ভ্যাট হার কমানোর এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সংস্থাটির দায়িত্বশীল সূত্রে এসব তথ্য জানিয়েছে। সূত্রটি জানায়, ভ্যাট হার কমানোর এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি কয়েক দিনের মধ্যে প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে চূড়ান্ত করা হবে।

চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরের মাঝপথে এসে হঠাৎ করে ৯ জানুয়ারি এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে শতাধিক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট ও শুল্ক বাড়ানো হয়। উচ্চ মূল্যস্ফীতির এই সময়ে হঠাৎ করে বিপুলসংখ্যক পণ্য ও সেবায় ভ্যাট বাড়ানোয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়ে। বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠন সংবাদ সম্মেলন করে ভ্যাট বাড়ানোর প্রতিক্রিয়া জানাতে শুরু করেছে। ভ্যাট কমানোর দাবিতে গতকাল সকালে এনবিআরের সামনে মানববন্ধনও করেছেন রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির ব্যানারে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।

জানতে চাইলে ঢাকা চেম্বারের সভাপতি তাসকীন আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, ‘অর্থবছরের মাঝপথে হঠাৎ করে ভ্যাট বৃদ্ধি করায় ব্যবসায়ীদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা বাধার মুখে পড়ে। পাশাপাশি অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। ব্যবসায়ীদের সঙ্গে আলোচনা না করে এভাবে ভ্যাট বৃদ্ধির সিদ্ধান্তকে আমরা সমর্থন করি না। সরকার ভ্যাট বাড়ানোর যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটি ভুল সময়ে ভুল পদক্ষেপ। এর প্রভাব অর্থনীতিতে পড়বে। তবে এখন কিছু পণ্যে ভ্যাট কমানোর সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানাচ্ছি।’

 

 

দৈনিক ইত্তেফাকের একটি শিরোনাম “গার্মেন্টস খাতের রপ্তানি ৩০ হাজার চালানের ২০ হাজার কোটি টাকা দেশে আসেনি”

একটি অসাধু চক্রের কারণে গার্মেন্টস খাতের রপ্তানির ৩০ হাজার চালানের বিপরীতে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা দেশে আসেনি। এর সঙ্গে শিপিং লাইন্স, ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স এবং অনেক ক্ষেত্রে গার্মেন্টস মালিকও জড়িত রয়েছে। বাংলাদেশ ব্যাংকসহ সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কঠোর অবস্থান গ্রহণ না করায় এবং অনেক ক্ষেত্রে আইনি ফাঁকফোকরের সুযোগে দীর্ঘ ২০-৩০ বছরেও মামলার সমাধান হচ্ছে না।

সরকারের রপ্তানি গাইড লাইন অনুযায়ী পণ্য রপ্তানির ছয় মাসের মধ্যে রপ্তানি মূল্য দেশে ফেরত আসার কথা। ঐ সময়ের মধ্যে পণ্য মূল্য ফেরত না আসলে এবং নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে কম আসলে ব্যাংকে ওভার ডিউজ হিসেবে পরিগণিত হবে। আবার অনেক সময় রপ্তানি মূল্যের ডিসকাউন্ট করা হলে কম মূল্য ফেরত আসে। সেক্ষেত্রে বায়ারকে দেওয়া ডিসকাউন্ট বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট কমিটিকে অবহিত করে অনুমোদন নিতে হয়। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে শিপিং লাইন্স ও ফ্রেইট ফরোয়ার্ডার্স কর্তৃক আমেরিকা কিংবা সংশ্লিষ্ট দেশের ব্যাংকের ডকুমেন্ট ছাড়াই বায়ারকে পণ্য ডেলিভারি দিয়ে দেওয়ার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। বায়ার বাংলাদেশের রপ্তানিকারক কর্তৃক তার ব্যাংকে পাঠানো ডকুমেন্ট ছাড় না করে স্থানীয় ফরোয়ার্ডার্স ও শিপিং লাইনের সঙ্গে যোগসাজশ করে পণ্য ডেলিভারি নিয়ে নেয়। কারণ ব্যাংক থেকে ডকুমেন্ট ছাড় করতে পণ্যের সকল মূল্য পরিশোধ করতে হয়। এতে করে বিদেশি ব্যংক বাংলাদেশের ব্যাংকে পণ্যের মূল্য আসে না। বিদেশি ব্যাংক নির্দিষ্ট সময়ে বায়ার ডকুমেন্ট ক্লিয়ার না করলে তা ফেরত পাঠিয়ে দেয়।

গার্মেন্টস মালিক সূত্রে জানা যায়, রপ্তানির পরিমাণ মূল্য ফেরত না আসার কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে বায়ার তার ব্যাংক থেকে ডকুমেন্ট সংগ্রহ না করে পরস্পর যোগসাজশে শিপিং লাইন থেকে পণ্য খালাস নেওয়া। যে পরিমাণ পণ্য রপ্তানির জন্য অনুমতি নেওয়া হয় সেই পরিমাণ পণ্য বায়ারের নিকট না পাঠানোর কারণে নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা ব্যাংকে জমা হয় না। বায়ারের অর্ডার অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে রপ্তানি করতে না পারায় আবার অনেক সময় বায়ার অর্ডার দিলেও শিপমেন্ট পর্যায়ে বায়ার তার আর্থিক অনটনের কথা জানিয়ে ব্যাংকের মাধ্যমে ডকুমেন্ট না পাঠিয়ে সরাসরি তার নিকট ডকুমেন্ট পাঠানোর অনুরোধ করে।

 

 

বণিক বার্তার একটি শিরোনাম”ছয় মাসেও দৃশ্যমান সংস্কার কার্যক্রম নেই প্রাথমিক ও গণশিক্ষায়”

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার। পেশায় তিনি একজন মনোরোগ চিকিৎসক। তার অধীন মন্ত্রণালয়ের আওতায় দপ্তর আছে পাঁচটি। মহাপরিচালক ও উপ-মহাপরিচালক হিসেবে এগুলোর দায়িত্ব সামলাচ্ছেন প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারা। মোটাদাগে দেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতের শীর্ষ নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যারা দায়িত্ব পালন করছেন, তাদের প্রায় সবারই এ বিষয়ে মাঠ পর্যায়ে কাজের অভিজ্ঞতা তেমন একটা নেই।

শিক্ষাবিদরা বলছেন, প্রাথমিক শিক্ষাকে বিবেচনা করা হয় শিক্ষার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় হিসেবে। এ ধাপের শিক্ষার মানের ওপর নির্ভর করেই শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও দক্ষতার ভিত গড়ে ওঠে। এ কারণে উন্নত বিশ্বে এ পর্যায়ের শিক্ষা গুরুত্ব পায় সবচেয়ে বেশি। কিন্তু বাংলাদেশে এ পর্যায়ের শিক্ষাকে কখনই কাঙ্ক্ষিত মাত্রায় গুরুত্ব দেয়া হয়নি। এর মধ্যে আবার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর পঠন-পাঠনের পদ্ধতি প্রশ্নবিদ্ধ। শিক্ষকদের দক্ষতা নিয়েও রয়েছে অভিযোগ। বিগত কয়েক দশকে দেশের প্রাথমিক ও গণশিক্ষার উন্নয়নে নানা উদ্যোগ নেয়া হয়েছে ঠিকই। কিন্তু রাজনৈতিক হস্তক্ষেপ ও নানা অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে এ পর্যায়ের শিক্ষার মানোন্নয়নে সেগুলো কার্যকর কোনো ভূমিকা রাখতে পারেনি। এ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে যে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন ছিল, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ক্ষমতায় আসা অন্তর্বর্তী সরকারের সময়ও সেদিক থেকে বড় ধরনের ঘাটতি থেকে গেছে।

আবার সরকারের সংস্কার কর্মসূচিতেও অবহেলিত প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাত। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের পর বিভিন্ন খাতে সংস্কারের জোর উদ্যোগ নিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার। এজন্য গঠিত বিভিন্ন কমিশন এরই মধ্যে তাদের প্রতিবেদনও জমা দিয়ে দিয়েছে। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষায় সংস্কার কার্যক্রম সীমাবদ্ধ আছে শুধু পরামর্শক কমিটি গঠনের মধ্যেই।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার এক সময় ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালের মনোরোগবিদ্যা বিভাগের প্রধানের দায়িত্ব পালন করেছেন। জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালনের অভিজ্ঞতা রয়েছে তার। কিন্তু প্রাথমিক ও গণশিক্ষা খাতে তার উল্লেখযোগ্য কোনো প্রাতিষ্ঠানিক অভিজ্ঞতা নেই বললেই চলে।

 

 

মানবজমিনের একটি শিরোনাম “জুলাই ঘোষণা সর্বদলীয় বৈঠকে ঐকমত্যের তাগিদ”

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে যেন কোনো ধরনের ফাটল না ধরে সেদিকে খেয়াল রাখতে সরকারকে অনুরোধ করেছেন রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ। তারা বলেন, এ ঐক্য ধরে রাখা চ্যালেঞ্জ। এটি না হলে পতিত সরকার সুযোগ নেবে। তাই সবার সঙ্গে আলোচনা করে জুলাই আন্দোলনের ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করতে হবে। যাতে সবাই মনে করে এটি তার ঘোষণাপত্র। এছাড়াও ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করতে গিয়ে যেন কালবিলম্ব না হয়, আবার তাড়াহুড়োও না করা হয় সে বিষয়েও সরকারকে পরামর্শ দিয়েছেন তারা। বৈঠক সূত্র জানায়, ঘোষণাপত্র চূড়ান্ত করতে একটি কমিটি করার বিষয় আলোচনা হয়।

প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছেন, জুলাই ঘোষণা ঐক্যবদ্ধভাবে করতে না পারলে উদ্দেশ্য ব্যাহত হবে। গতকাল বিকালে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে জুলাই ঘোষণা নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠকে বসেন প্রধান উপদেষ্টা। বৈঠকে সরকারের উপদেষ্টা, আসিফ নজরুল, আদিলুর রহমান খান, ফরিদা আখতার, মাহফুজ আলম, আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া উপস্থিত ছিলেন। রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের মধ্যে বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ, জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ-এর জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাসদের (মার্ক্সবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানা, এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ূম, জেএসডি’র সাধারণ সম্পাদক শহীদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আব্দুল কাদের, গণফ্রন্টের কামরুজ্জামান প্রমুখ।
জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী ও সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্যসচিব আরিফ সোহেল ও মুখ্য সংগঠক আবদুল হান্নান মাসউদ প্রমুখ নেতারা বৈঠকে অংশ নেন। বৈঠকে রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ সর্বদলীয় বৈঠকের আমন্ত্রণের পদ্ধতি নিয়ে আপত্তি জানিয়েছেন। বিশেষ করে ঘোষণাপত্রের খসড়া কয়েকটি দলকে দুপুর ২টার দিকে পাঠানোয় অনেকে দলীয় ফোরামে আলোচনা করতে পারেনি বলে জানান। এছাড়াও বৈঠকে বিএনপি’র অংশ নেয়া নিয়ে দিনব্যাপী নানা নাটকীয়তা দেখা যায়। যদিও বিকালে বৈঠকে হাজির হন স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহ উদ্দিন আহমেদ।