আমাদের বাংলাদেশের শ্রমিকরা বিদেশে যেখানে থাকুক না কেন, তারা পরিশ্রমী হিসেবে স্বীকৃত হয়। স্বচক্ষে যারা দেখি তারাও বলতে পারি বাংলাদেশে তারা কখনও এমন পরিশ্রম করে না।
ছেলে মেয়েরা যারা বিদেশে পড়তে যায়, তারা নিজের হাতে সব কাজ করে। অথচ দেশে থাকতে তারা সব সময়ই অন্যর ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। এমনকি দেশে যারা গবেষণা করেন, তারাও সব সময়ই সুবিধা খোঁজেন তার সুপারভাইজার যেন তাকে সহজে পার করিয়ে দেন। যার ফলে দেশীয় গবেষণা মান নিয়ে কথা না বলাই ভালো। ঠিক একই অবস্থা দেশীয় সার্ভে থেকে বিভিন্ন সময়ে বিভন্ন ধরনের কমিশন রিপোর্টের। যেগুলোর মান অনেক সময় পত্রিকার রিপোর্টের থেকে নিচে নেমে যায়। অথচ এই ছেলে মেয়েরা যখন বিদেশে ডিগ্রী নিতে যায়, গবেষণা করতে যায় সে সময়ে তারা দিনরাত পরিশ্রম করে পড়াশুনা করে। তাদের কথা বলারও সুযোগ থাকে না।

আমাদের দেশে বিভিন্ন সময়ে যারা ক্ষমতায় থাকেন সেই সব ক্ষমতাসীনদের ভূরি ভূরি প্রকৃত দূর্নীতির রিপোর্ট ছাপা হয় পত্র পত্রিকায়। সরকার তা নিয়ে কোন তদন্ত কমিশণও করে না। এবং যার বিরুদ্ধে দুর্নীতি তিনিও পদ থেকে সরে দাঁড়ান না সঠিক তদন্তের জন্যে। এমনকি বর্তমানে যে সরকার যারা সংস্কার করা ও দুর্নীতি বন্ধ করতে বদ্ধ পরিকর। তাদের নিয়েও সম্পাদক মতিউর রহমান চৌধুরি বলছেন, “ এই সকারের সবাই কি ধোয়া তুলসি পাতা, দুর্নীতির খবর কি আমাদের কাছে আসছে না। আমরা কি ছাপাতে পারছি”। সিনিয়র সাংবাদিক এম এ আজিজ টিভি টকশোতে বলেছেন, কীভাবে অফিস খুলে তদবীর বানিজ্য চলছে। সরকার কিন্তু সাংবাদিকদের এসব কথা বিন্দুমাত্র আমলে নেয়নি।
অথচ এই বাঙালি যখন ব্রিটেনে এমপি এবং মন্ত্রী তখন তার বিরুদ্ধে পত্র পত্রিকায় দুর্নীতির খবর এলেই সে দেশের সরকার যেমন তদন্ত কমিশণ করেছেন। পাশাপাশি তাকে পদত্যাগ করতে বলা না হলেও তিনি নিজেই পদত্যাগ করে তদন্তকে নিরপেক্ষ বা প্রভাবমুক্ত হবার সুযোগ করে দিয়েছেন।
তাই স্বভাবতই প্রশ্ন আসে, বাঙালির সমস্যাটা কোথায় নিজ চরিত্রে না পরিবেশে?
Sarakhon Report 



















