১১:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৮ জুন ২০২৫
কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি হিউএনচাঙ (পর্ব-১৩২) ট্রাম্পের বিপরীতে, প্রাচীন চীন এর শিক্ষার্থীদের স্বাগত জানানোর ঐতিহ্য রণক্ষেত্রে (পর্ব-৭৭) সমুদ্রের ওপার থেকে নতুন স্বপ্ন: তাইওয়ান তরুণদের ফুচিয়ানে নতুন জীবনগাঁথা ব্যর্থ কলম্বো, গলের লড়াই -এ বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কার ঘরে জয় কেন ? ‘আকাশ হয়ে যাই’ মিউজিক ভিডিতে প্রশংসিত পূর্ণিমা বৃষ্টি সাউথ চায়নান মর্নিং পোস্টের প্রতিবেদন: ইরান আক্রমনে লাভ ক্ষতি ইউক্রেন দাবি করেছে বাংলাদেশের কিছু সংস্থার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা দিক ইইউ কলকাতার কলেজ ক্যাম্পাসে ছাত্রীকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার তিন

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৪৯)

  • Sarakhon Report
  • ০৮:০০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫
  • 17

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

ধোঁয়ায় আর স্কুল-কালিতে কালো-হয়ে-থাকা ছোট্ট-ছোট্ট বাড়িগুলোর দিকে অবাক হয়ে আর কিছুটা কৌতূহল নিয়েও তাকাতে-তাকাতে পথ হাঁটছিলুম। দেখছিলুম কারখানাগুলোর পাথরের দেয়াল, আর তার মধ্যে বসানো অন্ধকার জানলাগুলোর ভেতর দিয়ে নজরে আসছিল লাফিয়ে লাফিয়ে-ওঠা আগুনের উজ্জল শিখা আর বন্দী যন্ত্রদানবের চাপা গর্জন।

কারখানাগুলোয় ঠিক তখনই দুপুরের খাওয়ার ছুটি হচ্ছে। পাহাড়-প্রমাণ গাড়ির চাকায় ভরতি কয়েকটা খোলা মালগাড়িকে টেনে একটা এঞ্জিন আমার পাশ দিয়ে আড়াআড়িভাবে রাস্তা পেরিয়ে চলে গেল। যাবার সময় এঞ্জিনটার পাশ থেকে হঠাৎ ফোঁস-করে ধোঁয়া বেরুনোয় রাস্তার কুকুরগুলো ভয় পেয়ে গেল। কারখানাগুলোয় ভোঁ বাজতে লাগল নানান সুরে। কারখানার গেটগুলো দিয়ে ঘাম-চপচপে ক্লান্ত শরীর নিয়ে হড়হড় করে বেরিয়ে আসতে লাগলেন শ্রমিকরা।

আর দলে দলে বাচ্চারা খালি পায়ে, হাতে খাবার আর বাসনকোসনের ছোট-ছোট পুটলি ঝুলিয়ে ওঁদের দিকে ছুটে আসতে লাগল। পুটলিগুলো থেকে পেয়াজ, টক, বাঁধাকপি আর ভাপের গন্ধ উঠছিল।

অনেকগুলো আঁকাবাঁকা সর্-সরু রাস্তা পার হয়ে অবশেষে দাঁড়কাক যে-রাস্তায় থাকতেন সেখানে এসে পৌঁছলুম।

নম্বর মিলিয়ে একটা ছোট্ট কাঠের বাড়ির জানলায় টোকা দিলুম। হাড্ডিসার পাকাচুলো এক বুড়ি কাপড় কাচতে-কাচতে গামলাটার কাছ থেকে উঠে এসে, জানলা দিয়ে টকটকে লাল মুখ বাড়িয়ে খরখরে গলায় জিজ্ঞেস করল, কী চাই।

বললুম।

‘ও তো আর এখেনে থাকে না। অনেক দিন চলি গেচে।’ বলেই আমার মুখের ওপর দড়াম করে জানলাটা বন্ধ করে দিল।

 

কংগ্রেসের বহু নেতা ইন্দিরা জি ও জেপি-র সংলাপ চেয়েছিলেন, তবে তাঁর ঘনিষ্ঠ মহল তা হতে দেয়নি

রোমাঞ্চকর সময় (পর্ব -৪৯)

০৮:০০:০১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

আর্কাদি গাইদার

ষষ্ঠ পরিচ্ছেদ

ধোঁয়ায় আর স্কুল-কালিতে কালো-হয়ে-থাকা ছোট্ট-ছোট্ট বাড়িগুলোর দিকে অবাক হয়ে আর কিছুটা কৌতূহল নিয়েও তাকাতে-তাকাতে পথ হাঁটছিলুম। দেখছিলুম কারখানাগুলোর পাথরের দেয়াল, আর তার মধ্যে বসানো অন্ধকার জানলাগুলোর ভেতর দিয়ে নজরে আসছিল লাফিয়ে লাফিয়ে-ওঠা আগুনের উজ্জল শিখা আর বন্দী যন্ত্রদানবের চাপা গর্জন।

কারখানাগুলোয় ঠিক তখনই দুপুরের খাওয়ার ছুটি হচ্ছে। পাহাড়-প্রমাণ গাড়ির চাকায় ভরতি কয়েকটা খোলা মালগাড়িকে টেনে একটা এঞ্জিন আমার পাশ দিয়ে আড়াআড়িভাবে রাস্তা পেরিয়ে চলে গেল। যাবার সময় এঞ্জিনটার পাশ থেকে হঠাৎ ফোঁস-করে ধোঁয়া বেরুনোয় রাস্তার কুকুরগুলো ভয় পেয়ে গেল। কারখানাগুলোয় ভোঁ বাজতে লাগল নানান সুরে। কারখানার গেটগুলো দিয়ে ঘাম-চপচপে ক্লান্ত শরীর নিয়ে হড়হড় করে বেরিয়ে আসতে লাগলেন শ্রমিকরা।

আর দলে দলে বাচ্চারা খালি পায়ে, হাতে খাবার আর বাসনকোসনের ছোট-ছোট পুটলি ঝুলিয়ে ওঁদের দিকে ছুটে আসতে লাগল। পুটলিগুলো থেকে পেয়াজ, টক, বাঁধাকপি আর ভাপের গন্ধ উঠছিল।

অনেকগুলো আঁকাবাঁকা সর্-সরু রাস্তা পার হয়ে অবশেষে দাঁড়কাক যে-রাস্তায় থাকতেন সেখানে এসে পৌঁছলুম।

নম্বর মিলিয়ে একটা ছোট্ট কাঠের বাড়ির জানলায় টোকা দিলুম। হাড্ডিসার পাকাচুলো এক বুড়ি কাপড় কাচতে-কাচতে গামলাটার কাছ থেকে উঠে এসে, জানলা দিয়ে টকটকে লাল মুখ বাড়িয়ে খরখরে গলায় জিজ্ঞেস করল, কী চাই।

বললুম।

‘ও তো আর এখেনে থাকে না। অনেক দিন চলি গেচে।’ বলেই আমার মুখের ওপর দড়াম করে জানলাটা বন্ধ করে দিল।