শশাঙ্ক মণ্ডল
(৩)
যা মা তোর জামাইর বাড়ী আমি যাব না। দালান দেখি দিলি বিয়ে
দালান ধুয়ে খাই
তোর জামাই ওই চাকরী করে
বসিরহাটের জেলখানায়।
(8)
পাড়ার লোকের চোখ ছিল না
বাবা ছিল কানা।
বুড়োর সাথে ছুড়ির বিয়ে
কেউ করে না মানা।
(৫)
স্বামী অন্ধ কপাল মন্দ
দাওনা দুটি পয়সারে
বরের বোনাই চশমখোর
পয়সা দেখে সোনার মোহর।”
আদিবাসী সংস্কৃতি ও লোক সংগীত।
সুন্দরবন এলাকার বনাঞ্চল গড়ে ওঠার সময় সাঁওতাল পরগণা রাঁচী ছোটনাগপুর থেকে আদিবাসীদের এনে কাজে লাগিয়েছিলেন সে যুগে নতুন জমিদাররা; এসময়ে বিভিন্ন প্রান্তে নীলচাষের কাজেও আদিবাসীদের নিয়ে আসে নীলকর সাহেবরা। আদিবাসীদের বসবাস শুরু হয় ১৮৪০ এর পর থেকে। সমগ্র ব্রিটিশ রাজত্বে তারা একশ বছর ধরে তাদের পূর্ব বাসভূমি ছেড়ে সুন্দরবনের বিভিন্নাংশে ছড়িয়ে পড়ে। ছোট ছোট গোষ্ঠীর অভ্যস্ত জীবন-যাত্রার পরিবর্তন ঘটে গেল। ক্রমশ হিন্দু-মুসলমান সমাজের পাশে এসে তাদের সম্প্রদায় চেতনা বেশ কিছুটা লুপ্ত হলেও তারা প্রয়াগ সঙ্গমের মতো দীর্ঘকাল ভিন্নবর্ণ হয়ে থাকল।
স্বাধীনতাপরবর্তী কালে যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নতি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, অর্থনৈতিক সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি এবং হিন্দু মুসলমান সমাজের তলাকার মানুষের সঙ্গে গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অংশ গ্রহণের মধ্য দিয়ে তাদের এই সম্প্রদায়-চেতনা অনেকটা আলাদা হয়ে থাকার মানসিকতা কমেছে পরিবর্তন কতটা হয়েছে তা নিশ্চয়ই সমাজতত্ত্ববিদ এবং নৃতত্ত্ববিদদের আলোচ্য বিষয় এবং তা স্বতন্ত্র বিষয় হিসাবে আলোচনার বিষয়ও বটে।